২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে যখন নারী গৃহকর্মীদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় তখন তার বিরোধীতা করে লেখা আমার ব্লগ পোস্টটির কথা আজ সংবাদটি দেখে হঠাৎ মনে পড়ে গেল, যার শিরোনাম ছিল- “নারী গৃহকর্মী নামের ক্রীতদাসী রপ্তানী করা উচিত হবে কি?”
সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে এ বছরে (২০১৯) জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসে ৮৫০ জন নারী দেশে ফিরে এসেছেন। ফেরত আসা নারী শ্রমিকদের তথ্যমতে প্রবাসী নারী শ্রমিকদের ৬১ শতাংশ শারীরিক নির্যাতন ১৪ শতাংশ যৌন নিপীড়ন এবং ৫২ শতাংশ দীর্ঘ শ্রম, নির্যাতন জনিত অসুস্থতা ৬৩ শতাংশ, ৮৬ শতাংশ নারী শ্রমিক বেতন পান না অথবা নিম্ন বেতন পান।
সম্প্রতি বিবিসির একটি অনুসন্ধানে কুয়েতে ইন্টারনেটে গৃহকর্মীদের দাস হিসাবে ব্যবসার তথ্য পাওয়া গেছে। বিবিসি নিউজ অ্যারাবিকের তদন্তে দেখা যায়, গুগল ও অ্যাপলের অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারনেটে দাস ব্যবসার পাশাপাশি, ফেসবুক মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রামেও এই ব্যবসা চলছে।
এসব অনলাইনের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। বিক্রির সময় হ্যাশট্যাগে লেখা হয় 'মেইডস ফর ট্রান্সফার' (হস্তান্তরের জন্য গৃহকর্মী) বা 'মেইডস ফর সেল' (বিক্রয়ের জন্য গৃহকর্মী)।
মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর বিরোধীতা করে আমার সেই লেখার পর পেরিয়ে গেছে ৮ বছর। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার নির্যাতিত ও মৃত শতাধিক নারীর দেহ দেশে এসে পৌছেঁছে তার পরেও কারো টনক নড়েনি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের নিয়ে যখন দাস ব্যবসা করা হচ্ছে তার পরেও কারো ভ্রুক্ষেপ নেই!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৩