COVID-19, করোনা ভাইরাস মোটামুটি আজকের খবর অনুযায়ী সাড়ে চার লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে।
তার ভয়াবহ উপস্থিতি জানান দিয়েছে প্রায় ১৯৮ টি দেশে।
মারা গেছে প্রায় ২২ হাজার মানুষ!
কোন রোগ বা ভাইরাস মনে হয়না ইতঃপূর্বে এত বড় কণ্টিনেন্টাল সীমা অতিক্রম করছে। এটাই বিপজ্জনক।
যেহেতু এটা ভাইরাস, এর কোন এন্টিবায়োটিক নেই।
হয় মানব দেহের ইমিউনিটি ফাইট করে এটাকে পরাজিত করবে অথবা, ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে হবে।
ভ্যাকসিন তৈরি হতে সম্ভাবত দেরি হবে, এতে করে যদি আরো বেশি লোক আক্রান্ত হয় তাহলে মৃত্যুর হারও অনেক বেড়ে যাবে।
যেকোন রোগে ভালনারেবল গ্রুপ হল পূর্ব থেকে অসুস্থ ( এজমা, শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশান, ডায়াবেটিস রোগি), "শিশু" নবজাতক এবং বৃদ্ধ।
সুতরাং এদের যাতে করে বাইরের পরিবেশে এক্সোপোজার কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
বিশেষত মায়েরা ও পরিচর্যাকারী পরিচারিকাদের খুব বেশি সচেতনতা প্রয়োজন। বাচ্চা ও রোগির স্বার্থে মা ও সেবাদানকারীদের নিয়মিত বারে বারে সাবান দিয়ে হাত মুখ ধোয়া, ও এলকোহল বেজড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে।
প্রয়োজনে বাসাতেও মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে যদি ভাইরাসের কোন লক্ষণ কারো মধ্যে প্রকাশ পায় তা করোনা হোক আর অন্য ভাইরাস হোক।
বিভিন্ন দেশ ও শহর 'লক-ডাউন' করে দেয়া হয়েছে।
যেহেতু করোনা ভাইরাস খুবই সংক্রামক এজন্য পাবলিক গ্যাদারিং টোটালি নিষিদ্ধ।
যারা সাসপেক্টেড, তাদের 'কোয়ারান্টিন ' করে রাখা প্রয়োজন। সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতই এতে জ্বর, গলাব্যথা, শরীর ব্যথা, ঠাণ্ডা,হাঁচি-কাশি, অবসাদ সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
এজন্য এটা করোনা কিনা? তা ডায়াগনোসিস করা কঠিন।
যেসব পেশেন্ট মারা গ্যাছে তাদের ম্যাক্সিমাম সিভিয়ার নিউমোনিয়া বা মাল্টি অরগান ফেইলুর তে মারা গ্যাছেন, যাতে স্পেশাল ICU সাপোর্ট প্রয়োজন।
দেশে কিন্তু হসপিটাল গুলাতে ডাক্তার বা হেলথ কেয়ার প্রভাইডার দের প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট এর কিছুটা অভাব আছে এখন । যদিও সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, দ্রুতই প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট PPE আরো এভেইলেভল হবে।
টাকা থাকলেও দামি হসপিটাল গুলোও কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগি ভর্তি হয়ত নিতে চাইবেনা। এজন্য করোনার জন্য অনুমোদিত হসপিটালে চিকিৎসা নিতে হবে।
বর্তমানে কুয়েত মৈত্রী হসপিটাল সহ বেশ কিছু হসপিটাল করোনা নিয়ে কাজ করছে, সেবা প্রদান করছে।
নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করে নিতে হবে।
আর যারা পজেটিভ তাদের আলদা করে ট্রিটমেন্ট এর চেষ্টা করতে হবে।
IEDCR এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
নইলে কিন্তু বায়ো-হ্যাজার্ড শুরু হয়ে যেতে পারে।
বিদেশ প্রবাসীদের এই মুহূর্তে আলাদা থাকা প্রয়োজন।
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুনো বন্ধ করতে হবে। যেহেতু এটা রেস্পাইরেটরি ড্রপলেট দিয়ে ছড়ায় তাই পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিৎ।
হ্যান্ড শেক, কোলাকুলি নিষিদ্ধ, বাজার রাস্তাঘাট, এ কম যাওয়া,
সব ধরনের সভা সম্মেলোন পাবলিক গ্যাদারিং বন্ধ করতে হবে।
বাইরে গেলে সর্বদা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
আপাতত ঘরে নামাজ পড়া উচিৎ।
বাইরে থেকে এসে কাপড় চোপড়, ধুয়ে দিতে হবে এবং ভালো মত গোসল দিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে মেশা উচিৎ।
এটা পরিবারের সদস্যদের সেফটির জন্যই।
যেহেতু এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে পুরা পৃথিবী এখন পর্যন্ত ব্যর্থ,
সেখানে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে সব কিছুর দায় সরকার কে না দিয়ে নিজেদেরো নিতে হবে।
পার্সোনাল সেফটির দ্বায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।
সবার জন্য শুভকামনা আল্লাহর কাছে।।
- ডা: ইমতিয়াজ হোসেন, এমবিবিএস ।।