যহন তহন ডাকো কেন মাঝি?
জানো না আমার শেকল বান্ধা
আমি কি আর তোমার মতন
উড়াল দিতে পারি?
বিষের শেকলে টান পড়ে যে
আর তুমি ডাকলে পরানে আমার
উথাল পাথাল ঢেউ উঠে
মনে হয় দেই ঘরে লাগায়ে আগুন
সব ফালাইয়া তোমার গায়ের
শীতের কাথা হই
তুমিও বা কেমন পুরুষ?
পারো না আমারে লইয়া
দূর তেপান্তরে উড়াল দিতে
মনে যদি এতই শরম তাইলে,
যহন তহন ডাকো কেনে মাঝি?
রমলা গো তোমারে না দেখলে
দিন যে আমার দিন রয় না
সারা দুইন্নাডারে তিতা তিতা লাগে
তুমি ছাড়া আমার আছে কে কও!
কারেই বা ডাকুম যহন তহন?
কেউ শোনে না আমার কথা
সেই ছুডবেলা থেইক্কা তোমারে ভালবাসি
যেদিন ভাইয়ে তোমারে
লাল শাড়ী দিয়া পেচায়া
আনলো ঐ ছোট্ট ঘরে ঠিক সেইদিন থেইক্কা।
যখন ভাইয়ে তোমার হাতটা ধরে
আমার বুকটা যদি তোমায় দেহাইতে পারতাম
দেখতা কেমনে খান খান
কইরা এই মনডা জ্বইলা যায়
সেই কবে থাকি তোমারে লইয়া
দেশান্তরী হইতে চায় মন
কিন্তু সমাজ!!
সমাজ তো তোমার আমার প্রেমরে
নষ্টামি গন্য করে।
এই তুমি একবার তেপান্তরী হইতে চাও
সেই তুমিই আবার কুসুমের মুখে তাকাইয়া
শুধু মা হইয়া যাও
আমার কি দোষ?
কও না পাখি, তোমারে ছাড়া আমি কেমনে বাঁচি?
এমনি ভাবে দিন চলি যায়, রাত চলি যায়
সমাজের বৈধতা আর অবৈধতায়
তোমার আমার ভালবাসা
ভাসি যায় বিষের নীল দরিয়ায়।।
ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩০