যেকোন চাকরি হতে ভুল খুঁজে বের করা বেশ সহজ। যাহাই হোক, আপনার পেশা বা ব্যবসা, সেখানে সর্বদাই কিছু অপ্রীতিকর এবং জাগতিক (সংসারিক) কাজগুলো থাকবে যেগুলো আপনার উচিত উপেক্ষা করা। আপনি যে জিনিসগুলো অপছন্দ করেন সেগুলোকে আপনার চিন্তার উপর কর্তৃত্ব করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া অতি সহজ এবং আপনার জন্য এই ব্যাপারটা দেখিয়াও না দেখা যে আপনার কাজ সম্বন্ধীয় অপছন্দের জিনিসগুলো প্রকৃতপক্ষে একটি খুবই ছোট শতাংশ সম্পূর্ণ কাজের। সম্পূর্ণ কাজটি জুড়ে রয়েছে অনেক ভালো দিক এবং অনেক ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে যা করতে আপনার ভালো লাগে। কিন্তু যখন আপনি অপছন্দের জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করেন যা আপনার কাজের হয়ত ১০% হতে পারে এগুলো আপনাকে বাকি ৯০% ইতিবাচক দিকগুলো দেখা হতে বিরত রাখবে এবং আপনাকে কাজটির ইতিবাচক এবং ভালো দিকগুলো দেখতে অনাগ্রহী করে তুলবে।
আপনি নিজের কাজগুলোর ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। ইহাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয় করে তুলুন যে আপনার প্রত্যেক দিনের কাজের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বের করবেন। ইহা কোন বড়, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হওয়ার দরকার নেই; সহজভাবে শুধু আনন্দ খুঁজে নিন একটি বিশেষ কিছুতে যা ভালোভাবেই চলবে। তারপর, দিনের শেষে কাজটিকে বিরক্ত হয়ে দেখার পরিবর্তে আপনি প্রকৃতপক্ষে নিজেকে কাজের প্রতি মনোযোগী এবং কাজে সামনে এগিয়ে যেতে দেখবেন।
একটি চাকরিতে সাফল্য অর্জনের জন্য কাজের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বের করতে হবে এবং এই ব্যাপারগুলো নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে হবে। একইভাবে আমাদের জীবনে ব্যক্তিগত উন্নয়ন করতে হলে আমাদের প্রতিদিনকার জীবনের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বের করতে হবে। একজন যখন তার নিজের জীবনের ভালো এবং ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করে তখন তিনি নিজের জীবনকে আরও সুন্দরভাবে গঠন করার প্রথম পদক্ষেপ নেয়।
আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে অনেক সুন্দর এবং আমাদের জীবনে অনেক ইতিবাচক এবং সুবিধাজনক দিকগুলো রয়েছে যেগুলোর প্রতি আমরা দৃষ্টি দিলে এগুলো আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও আমাদের জীবনে অনেক সমস্যা রয়েছে এবং প্রতিদিনকার অনেক ঘটনার কারণে আমরা বিরক্ত তবুও যদি আমরা চেষ্টা করি এবং ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেই তবে আমাদের জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।
জীবনকে আরও সুন্দর এবং সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রতিনিয়ত গবেষণা করতে হবে। ব্যক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে এই গবেষণা, ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে নজর দেওয়ার প্রতি আহ্বান। এইভাবেই কাজে এগিয়ে যেতে হয়, কাজ করতে গেলে সমস্যা আসবেই কিন্তু সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সমাধান নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আপনার কাছে সমাধানের জন্য কি তথ্যগুলো আছে এবং কি তথ্যগুলো নেই তা নির্দিষ্ট করে একটি কাগজে লিখুন। তারপর যেগুলো আছে সেগুলো কিভাবে প্রয়োগ করবেন তার পরিকল্পনা করুন এবং যেগুলো নেই সেগুলো সংগ্রহ করুন। বসে থাকবেন না। সমাধানের চিন্তা করলে এবং কাজ করলেই সমাধান তৈরী হয়।
আপনার আশেপাশের ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিন। সাফল্যমণ্ডিত চরিত্রগুলো সম্বন্ধে পাঠ করুন। কারণ সাফল্য অর্জন করতে হতে হলে সাফল্যমণ্ডিত চরিত্রগুলোর বিশ্লেষণ করতে হয় এবং ইতিবাচক গুণগুলো অর্জন করতে হয়। তাই ব্যক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে গুণগুলো জানতে এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে সদা চেষ্টা করে যান। যতক্ষণ পর্যন্ত সাফল্য অর্জিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত অধ্যবসায় পালন করতে হবে। শেষ করছি চে গুয়েবারের একটি অমোচনীয় বাক্য দিয়ে। “বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করো।” – চে গুয়েবার
তথ্য সহযোগিতায়ঃ নেপোলিয়ন হিল ফাউন্ডেশন
ঠিক ধারণা ব্লগ
ব্যক্তিগত উন্নয়ন সম্বন্ধে বাংলা উইকিপিডিয়ার রচনা পাঠ করতে পারেন। ব্যক্তিগত উন্নয়ন