somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ারিং

১৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনারা হয়ত বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথা শুনে থাকবেন। ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। কিন্তু শুনে নিশ্চই অবাক হয়েছিলেন যে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বলেও একটি ব্যাপার আছে। প্রতিপক্ষকে গনতান্ত্রীক দেশে সহজে ঘায়েল করার জন্যই এই বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, শেষ হওয়ার কথা ও নয়। পৃথিবীতে খুবই পুরোনো এবং হাওয়ায় লুকিয়ে থাকা এক বিশেষ ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং আছে। জ্ঞানী ব্যাক্তিরা খুব সহজেই এই ইঞ্জিনিয়ারিং ধরতে পারলেও, সাধারন ব্যাক্তিদের জন্য এই কাজ টি খুব কঠিন। আবার অনেকে বুদ্ধিমান হওয়া সত্তেও দাবার গুটির মত এই ইংজিনিয়ারিং এর চালে পরে, একেই শক্তিশালী করেন তা বুঝেই উঠতে পারেন না। কখন কখন কেউ কেউ পারেন, কিন্তু তখন বুঝতে পারেন, বহু দেরী হয়েগেছে। এর নির্মম পরিহাস অনেক কেই ভোগতে হয়, অনেক সময় এই ব্যাপক ইঙ্গিনিয়ারিং তার সয়ং ইঞ্জিনিয়ার কেও ছাড়ে না। আমি এতক্ষন যে বিশেষ প্রকার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা বলছিলাম, তা আর কিছুই নয়, তা হল মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ারিং।

এই ইঞ্জিনিয়ারিং কবে থেকে পৃথিবীতে শুরু হয়েছিল তা বুঝা না গেলেও, এর মূল আবিষ্কারের পিছিনে মূল শয়তানকেই পাওয়া যায়, যার নাম ইবলিশ। সেই প্রথম মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাবহার করেছিল হযরত আদম আঃ কে ধোকায় ফালানোর জন্য। পাঠক নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন, এই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মূল উদ্দোশ্য ধোকায় ফালানো। আজ পর্যন্ত এই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্দোশ্য একই রয়েছে। তবে এর ক্রিয়াকৌশল বহু দূর এগিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষ ফল আমরা বাংলার ইতিহাসেও দেখেছিলাম। নবাব সিরাজ উদ্দোলাকে উদ্দোশ্য করে, এই চাল চালানো হয়েছিল। পরে এই মিথ্যা প্রপোগান্ডা যে আসলেই মিথ্যা তা বহু পরে প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু যা হবার তা আগেই হয়েগেছে, উনি পলাশীতে হেরে গেছেন।

সে যাই হোক, মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষ উচ্চতা পেয়েছিল, হিটলারের আমলে। তার একজন বিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, যার নাম জোসেফ গবলেস। তিনি বলেছিলেন, "যদি তুমি বড় একটি মিথ্যা বলে থাক, তাহলে এটি বার বার বলতে থাকো, তাহলেই বিশ্বাস হতে বাধ্য হবেই"। তিনি এত সব খারাপ কাজের ফাকে একটি কাজের কথাও বলেছিলেন, "সত্য হচ্ছে আমৃত্যু মিথ্যার শত্রু"। এই সত্য মিথ্যার অস্তিত্ব থেকে কিন্তু সহজেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব বুঝা যায়, কারন, ঈশ্বর যদি না ই থাকতেন, তাহলে এই সত্য মিথ্যার ধারনা আসল কোথা থেকে। প্রানী জগতে সব কিছুই সত্য, মিথ্যার কোন অস্বিত্ব সেখানে নেই। এই সহজ বিষয় কে অনেকে বুঝতে চান না। সে যাইহোক, গবলেস সাহেব কিন্তু এ কথাও বলতে ভুলেন নি, "বিশ্বাস পাহাড় কে নড়ায়, কিন্তু জ্ঞান তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসে"।

এই যে গবলেস সাহেবের সহায়তায় মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষ উচ্চতায় পোছল, তা কিন্তু আরো উচ্চতায় গেল বিভিন্ন ব্যাক্তির হাত ঘুরে। ক্রমান্নয়ে সে উন্নতিই করে যাচ্ছে, থামার কোন লক্ষন নেই। চার্চিল সাহেবের বইয়ে উল্লেখ করেন, "একজনের উচিত নয়, কারো গোপন কিছু ফাস করা, কারন সে জানে না, কখন এটি দরকার হতে পারে"। এই কার্যকারী কৌশল আমাদের দরিদ্র দেশগুলির লিডার দের উপর প্রয়োগ করা হয়। আপনারা জেনে থাকবেন, প্রত্যেক মানুষের ই কোন না কোন ভুল আছে, এবং এই তত্য করো না কারো জানা আছে। এবং শক্তিশালী গোয়ান্দা সংস্থার তো ভাল করেই জানা আছে, তাই যখন ই দেখা যায়, কোন দুর্বল দেশের লিডার, তার দেশকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে, তখনই তা ফাস করে দেওয়া হয়। একেই বলে রাজনিতি। সময়ের কাজ সময়ে করে, প্রয়োজন মত নিজের সার্থ উর্দ্ধার করে নেওয়া। যাইহোক, উনার বইয়ে আরো উল্লেখ করা আছে, "ইংরেজ মানে একটি নীতি, যখন কেউ মিথ্যা বলবে, সে বড় মিথ্যা বলবে এবং এই মিথ্যার উপর শক্ত হয়ে থাকবে। তারা তাদের মিথ্যা রক্ষা করে চলবে, এতে তাদের যত রিডিকিউলাস ই লাগুক" । হিটলার নিজেও এ ব্যাপারে কম বুঝেন না, তিনি বলেছিলেন, "একসময়ে একজন শত্রুর দিকে দৃষ্ঠি নিক্ষেপ কর, তার সকল ভুলের জন্য তাকে দোষারূপ কর, মানুষ বিশ্বাস করবে বড় মিথ্যা ছোট মিথ্যার আগে, তুমি যদি বার বার এটি বলতে থাকো তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে খুব দ্রুত বা পরে"।

এই যে জার্মান আর ইংরেজদের হাতে ধরে মিথ্যার ইংজিনিয়ারিং এর এত উন্নতি হল, তা ব্যাবহার করা হল এক জাতির উপর যাদের নেতা এই কথা বলেন, ‘খোদার শপথ! যদি ষড়যন্ত্র অপছন্দনীয় ব্যাপার না হতো,তাহলে আমি হতাম বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চতুর লোক ৷ কিন্তু প্রত্যেক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাই পাপ ৷ আর প্রতিটি পাপই হলো অকৃতজ্ঞতা ৷ আর প্রতিটি হঠকারিতা বা চাতুর্য এমন এক পতাকার মতো যেই পতাকার মাধ্যমে কেয়ামতে তা চিনতে পারা যাবে৷ খোদার শপথ ! আমি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নতজানু হবো না, কিংবা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও অক্ষম হবো না ৷" -হযরত আলী (রাঃ)

এই ব্লগিং শুরু হবার পর এখানেও সেই মিথ্যার ইংজিনিয়ারিং পুরো দমেই চলছে। তবে ইংজেনিয়ারের সংখ্যা অসংখ্য। সেই আগে যে বলেছিলাম "অনেকে বুদ্ধিমান হওয়া সত্তেও দাবার গুটির মত এই ইংজিনিয়ারিং এর চালে পরে, একেই শক্তিশালী করেন তা বুঝেই উঠতে পারেন না"। এই অসংখ্য ইংজেনিয়ার দের মধ্যে বেশীর ভাগ ই হচ্ছেন এরকম। সে যাইহোক, ব্লগে মুসলিম নিক নিয়ে ইসলামের নামে অপপ্রচার চালানো হয়, তা আপনারা আগেই জানেন। এই কৌশল নুতুন করে তুলে ধরার কিছু নেই। কিন্তু কৌশল সেখানেই শেষ নয়, একই কথা বার বার ভিন্ন ভিন্ন নিকে নিয়ে আসা হয়, বরাবরের মত-ই একটু আধটু চেইঞ্জ করা, বা চেইঞ্জ ছাড়াই।
যাইহোক, কৌশল এখানে থেমে থাকলেই একটি কথা ছিল, কিন্তু থেমে নেই ঐখানে আরেক দল বের হয়েছেন, যদি আপনি সত্য কিছু তুলে ধরেন, তাহলেই শুরু হবে গালি গালাজ, মানে এই গালিগালাজ খেয়ে যাতে আপনি আর উঠে দাড়িয়ে সত্য কথা না বলতে পারেন। মানে উতৃসাহ হারিয়ে ফেলেন।

এইতো দেখলেন প্রকাশ্যে কৌশল, এখন অপ্রকাশ্য কৌশল ও আছে, যেমন আপনি কিছু লেখলেন, অমনি একজন ইসলাম দরদী এসে যাবেন, এসে বলবেন আপনাদের জন্যই তো এই অবস্থা, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আগে উনারে দেখা যায় নাই, আগে উনারে কোন সময় মিথ্যাচরের জবাব দিতেও দেখা যায় নাই। বরং অনেক সময় দেখা যায়, মিথ্যাচারীদের সাথে হাতে তালি বাজাতে। আর হাসাহাসি করতে। এরা হয়ত কেমন মানুষ আমার জানা নেই? এরা হয়ত দাবার ঘুটির মত ব্যাবহৃত হচ্ছে যে এরা নিজেই জানে না। পুতুল নাচ নেচে চলছে। আর আরালে ঐ ইংজেনিয়ার রা হাসতেছেন।

আরেক খানা সহজ কৌশল দেখবেন যা আমার সাথেই ঘটেছে, একজন সম্মানিত ব্লগার, আমার ব্লগে এসে বললেনঃ "আমি মুসলিম জাতি এবং ইসলাম ধর্মের বিরোধী না। তবে আপনার মতো যারা ধর্মীয় অন্ধত্বায়, না বুঝে ইসলাম ধর্ম কে হাস্যকর এবং অযৌক্তিক পর্যায়ে তুলে ধরে, তাদের বিরোধী। সৃষ্টিকর্তা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।" কত ইসলাম দরদী, ইসলামের পক্ষের মানব। আমার মত নালায়েকদের মানে যারা না বুঝে ইসলাম ধর্মকে, তাদের বিরুদ্ধী। কিন্তু উনার মত অসাধারন ব্যাক্তির ব্লগে গিয়েই দেখি এই পোষ্ট দিয়েছেনঃ
সূরা বাকার'র শুরুতে রয়েছে তিনটি আরবী অক্ষর। আলিফ, লাম, মিম। স্কুলে পড়তে, আরবী ক্লাশের স্যার বলেছিলেন, এর মানে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না, এটি খুবই গোপনীয় বিষয়।

ইন্টারনেট ঘেটে যা বুঝলাম, তা হলোঃ

আলিফঃ আল-উয্‌যা।
লামঃ লাত।
মিমঃ মানাত।


এখন বোঝেন, এরা আসলে কার বিরুদ্ধী? ঐ যে মিথ্যার প্রকৌশল। ইনারা ইনডাইরক্ট আক্রমন করেন, যেমনঃ উনার আর্টিক্যালে লিখেনঃ
"মুসলমানরা ইসলামের উৎপত্তির আগের সময়কে জাহলেয়াতের যুগ বলে থাকে। পৃথিবীর অন্য দুটি প্রধান ধর্ম ইহুদী এবং খ্রীষ্টান’রা কিন্তু এ ব্যাপারে কিছু বলেনা। কারন ঐ সময়ে তারা তাদের ধর্ম প্রচার এবং পালন করতো। কোরানের দাবীকৃত নবীদের(মূসা, ঈসা) ধর্মপালনকারীদের যুগ ইসলামধর্মে কিভাবে অন্ধকার যুগ হয় এটা চিন্তার বিষয়। "

কিন্তু জনাব আইয়ামে জাহেলিয়াত ইসলাম পূর্ব আরব কে বলা হয়, নাকি ইহুদী খ্রীষ্ঠান কে বলা হয় তা জ্ঞানী পাঠক ভাল করেই জানেন। আল কুরানে আহলে কিতাব বলে যাদের বলা হয়েছে তারা কারা এটাও বুদ্ধিমান পাঠক জানেন। দেখুন সহজ সরল ব্যাক্তিদের এ ধরনের ব্যাক্তিরা কিভাবে ধোকায় ফেলে।

আস্তিকের ধর্মকথা লেখায় একই ব্যাক্তি বলেনঃ
"ইসলাম পূর্ব যুগের প্রায় সব দেব-দেবীদেরকেই আল্লাহ বা ইলাহ নামে ডাকা হতো। দি গড’এর মতই এটি ছিল কমন নাম। তবে ক্ষমতার দিক দিয়ে যেহেতু হুবাল ছিল শ্রেষ্ঠ, সেহেতু সময়ের সাথে সাথে হুবাল’ই আল্লহ হিসেবে বেশী পরিচিত এবং উপাস্য হতে থাকে। হুবাল শব্দটি হু-বাল এবং বা-আল শব্দ থেকে এসেছে। অনেকেই মনে করে হুবাল’ই ইসলাম পূর্ব আরবদের আল্লাহ। কারন সেই সময়ের আল্লাহ’র প্রতীকও ছিল হুবাল’এর মতো সরু নতুন চাঁদ।"

একেই বলে পিছন থেকে ছুড়ি মারা উনি লিখেনঃ
"সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহ শব্দটি শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, ইসলামের আগের যুগের মূর্তি পূজ়ারী, আরবীভাষী ইহূদী, খ্রীষ্টান এবং ইব্রাহীমের অনূসারীরাও ব্যাবহার করতো। তবে ধর্ম, ভাষা, আঞ্চলিকতা এবং উচ্চারনভেদে আল্লাহ নামের সামান্য পার্থক্য দেখা যায়। যেমনঃ আল-ইলাহ, আল-লাহ, এলাহা, আলাহা, আলোহো, ইত্যাদি। শাব্দিকভাবে আল্লাহ এসেছে আল-ইলাহ শব্দ থেকে। ইলাহ বা ইলাহা শব্দ এসেছে আল-লাত থেকে।"

উনি লাত কেই আল্লাহ প্রমান করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে পিছন দিকে ছুড়ি মারেন, পাঠক এদের চিনে রাখুন, ব্লগে এদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেছে, সামনে দিয়ে না পেরে পিছন দিকে আক্রমন। আন্সারিং ইসলাম সাইটের সাথে যাদের পরিচয় আছে, তারা জানেন এই লেখা গুলি সাধারনত কাদের এবং কারা কি উদ্দোশ্যে লিখে এবং বহু আগেই মুসলিমরা এর জবাব দিয়ে দিয়েছেআরো দেখুন এখানে ।
যাইহোক, পাঠক যাতে বিভ্রান্ত না হন, সেহেতু আল্লাহ শব্দের দিকে সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য চোখ রাখতে বলি, ইসরাঈল শব্দে। ঈসরাঈল মানে ঈল এর গোলাম, ঈল~ঈলাহ~ঈল্লালাহ~আল্লাহ একই শব্দ। এটি ই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আসল নাম, আল্লাহ। দেখুনঃ
http://www.youtube.com/watch?v=j54xJtvnCMs

আরো দেখুন মেলগিবসনের পেশন অব জিসাস ক্রাইস্ট মুভিটির একটি ক্লিপ ঃ http://www.youtube.com/watch?v=GUB1eqWsSow

আল্লাহ নামে রাসূলগন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গুন গান গেয়েছেন। জেনে নিন ইহূদী দের ১০ কমান্ডাস
I am the Lord your God
You shall have no other gods before me
You shall not make for yourself an idol
You shall not make wrongful use of the name of your God
Remember the Sabbath and keep it holy
Honor your father and mother
You shall not murder***
You shall not commit adultery
You shall not steal****
You shall not bear false witness against your neighbor
You shall not covet***** your neighbor's wife
You shall not covet***** anything that belongs to your neighbor


তাহলে কি পরিষ্কার হল, ইহুদীরা এক আল্লাহর পুজাই করত? আর এই আল্লাহ ই আসল আল্লাহ। এখন যদি আমি একটি মুর্তি বসিয়ে বলি এই হচ্ছে তোমাদের আল্লাহ। এখন কি এতে প্রমান হবে? এটি ই আল্লাহ। এখন আমার দেশের কতকো লোক আমার কথা মত একে আল্লাহ জ্ঞান করে পুজো শুরু করল। এখন বহু বছর যাবার পর, একজন উঠে এসে বলল, আসলে আল্লাহ শব্দ এসেছে ঐ মুর্তী থেকে। তাহলেই কি প্রমান হয়ে গেল যে আল্লাহ শব্দ ঐ মুর্তির নাম থেকে এসেছে।

যাইহোক, এঘটনা আমার স্কুলের এক শিক্ষকের কথা মনে করিয়ে দিল। তিনি বলতেন ঃ "আমি শিক্ষকদের কিছু বলি না, তারা অনেক ভাল, কারন শিক্ষক হচ্ছে জাতির মা বাপ, কিন্তু জাতি হচ্ছে কোত্তার বাচ্চা" {সম্মানিত শিক্ষকদের আমি অনেক শ্রদ্ধা করি, এটি আমার শিক্ষক মনের দুঃখে বলেছিলেন, তাই কেউ কষ্ট নিয়েন না}

প্রিয় পাঠক, উপরের উল্লেখিত ব্যাক্তির মত ব্যাক্তিদের থেকে সাবধান হন। ঐ ব্যাক্তিই কিন্তু এই কথা বলেছিলঃ "আমি মুসলিম জাতি এবং ইসলাম ধর্মের বিরোধী না। তবে আপনার মতো যারা ধর্মীয় অন্ধত্বায়, না বুঝে ইসলাম ধর্ম কে হাস্যকর এবং অযৌক্তিক পর্যায়ে তুলে ধরে, তাদের বিরোধী। সৃষ্টিকর্তা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।" একেই বলে মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ার।

{বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে উপরের লেখাটি মূলত মিথ্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কৌশল সাধারন মানব যাতে সহজে বুঝে এই জন্য দেওয়া হয়েছে, শেষে যা দেওয়া হয়েছে, তা একটি উদাহারন মাত্র। উদাহারনের সহায়তায় পাঠক সহজে মূল বক্তব্য বুঝে নিতে পারবে}

আল্লাহ শব্দ সম্পর্কে ভাল সাইট http://www.godallah.com/
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৮:১২
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×