বাংলাদেশের সুশীল সমাজ নিয়ে মরহুম লেখক সাহিত্যিক আহমেদ ছফা, প্রয়াত নাস্তিক পন্ডিত আহমেদ শরীফ এর আক্ষেপের শেষ ছিল না। ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল ’এ নিজের থাকার জন্য-বাঁচার জন্য ছাপ্পান্ন বর্গহাত শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পেরে ( বিদেশ গিয়েও শেষ পর্যন্ত কি হলো!) মৃ: অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদও শেষে সুশীল সমাজ নিয়ে যারপরনাই ক্ষুদ্ধ ছিলেন, বলেছিলেন - সুশীল সমাজ শুধু কলা খায় এবং বক্তৃতা দিয়ে বেড়ায়। কিন্তু আমাদের এই সুশীল সমাজ শুধু কলা খাওয়া হনুমান না হয়ে মাঝে মধ্যে বেশ লঙ্কাকান্ডও ঘটিয়ে ফেলে। এরকম একটি কান্ড হলো, সারাদেশ ঘুরে ঘুরে জনগনের সাথে সুবিধাজনক সময়ে সুবিধাজনক জায়গায় মিলিত হয়ে সুশাসন ও সুদুর ভবিষ্যৎ নিয়ে সুবৃহৎ একটি প্রস্তাবনা তৈরী করলেন। তারপর সেন্টার ফর পলিশি ডায়লগ (সিপিডি ) প্রকাশ করলেন ‘‘ বাংলাদেশ ভীশন ২০২১ ’’ । Click This Link । সুশীল সমাজের উর্বর মস্তীস্কের সমস্ত উর্বরতা দিয়ে প্রসূত এই প্রস্তাবনায় দুনিয়ার সমস্ত ভালো ভালো কথাগুলো থাকবে, এ আর নতুন কি। পাঠক, ইচছে হলে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিতে পারেন, বন্যা-ঘুর্ণীঝড়-সাইক্লোন-ভূমিকম্প ( ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে আমাদের মিডিয়া এবং ‘উন্নয়ন ব্যবসায়ী’রা যেভাবে হৈ চৈ করতেছে, কখন না আমরা সমুদ্রে তলিয়ে যাই! ) বাংলাদেশ ২০২১ সালে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।
এক/এগারো’র পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বেশ জটিল সময়ের মুখোমুখি হয়। এই মহাজটিলতার মধ্যেও ‘নাও’ কিন্তু ডুবে নাই। ধান ছড়াও পোকার আক্রমণে তেমন কিছু ক্ষতি করতে পারে নাই। সুতরাং আমরা যেরকম সেরকমই আছি, মাঝখানে একটু হৈ হোল্লা করে কয়েকজনের ঘুম হারাম হয়েছে, আমজনতা ‘আম্রকানন’ এর অভিশাপের প্রায়শ্চিত্ত করেই দিনাতিপাত করছে। যেই লাউ সেই কদু। এরই মধ্যে নির্বাচনি বৈতরনি পার হওয়ার জন্য দুই দলই বের করেছে দু’টো নির্বাচনী ইশতেহার-মেনিফেস্টো, ‘ দিনবদলের সনদ’ (Click This Link বাংলা ) ( Click This Link
ইংরেজী ) এবং ‘ দেশ বাঁচাই - মানুষ বাঁচাই ’ http://www.bnp-bd.com/BNP-Menifesto-2.pdf । দিন যে বদল হয়েছে, তা আকাশের দিকে তাকালেই বুঝা যাই, অতিথি পাখির সংখ্যা কমে গেলেও অতিথি উড়োজাহাজ আর ঈগল পাখির সংখ্যা দিন দিন বাড়তেছে। আর দেশ থাকুক আর না থাকুক, মানুষ বাঁচুক আর না বাঁচুক রাজপুত্র যে বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবেই তাতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। জয় হোক বাংলাদেশের -সাড়ে চৌদ্দ কোটি মানুষের।
ভারতের ‘ পুর্ব দিকে তাকাও ’ ( লুক ইষ্ট) নীতি Click This Link নিয়ে কপচাকপচি আর ‘ নর্থইষ্টার্ন রিজিওন ভিশন ২০২০’ (Click This Link ) যে ঢাউশ ভলিউম বের করলো, তাতে আমার চোখও ছানাবড়া হয়ে গেল। আর যাই হোক ‘ভারত মাতা’র যে সুমতি (নাকি কুমতি! ) হয়েছে তা নিয়ে হয়তো ‘‘ ঝগড়াতে সাত বোনের’’ কান্নাকাটি আর কাটাকাটি যে থেমে যাবে, তার লক্ষন দেখিনা। সাত বোন আর পালিত (কব্জিত না পালিত কোনটা বলবো তা নিয়ে ভীষন চিন্তায় আছি! ) এক ভাই নিয়ে তাদের ছোট্ট সংসার(!)এ অশান্তির শেষ নাই। প্রতিবেশীর সমস্যা মানে আমাদের ঘুমে ব্যাঘাট। রাত বিরেতে চিল্লাফেল্লা, কান্নাকাটি, ধমক-ধামক আমাদের স্বপ্ন দেখতে বার বার সমস্যা সৃষ্টি করে। আমরা হলাম গিয়ে স্বাপ্নিক জাতি, শান্তি প্রিয় জাতি, ঐসব কাটাকাটি - মারামারি’র খবর রাখতেও চাই না, শুনতেও চাই না। বরং আমরা শান্তিতে কিভাবে ঘুমাতে পারি, কি ভাবে আরও সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখতে পারি তার ব্যবস্থা করো, কাঁটাতার দিয়ে হউক আর বান্দর মোতায়েন করে হউক।
এতক্ষনে আমার চারপাশ তাকাতে গিয়ে হঠাৎ গিয়ে চোখ পড়লো আমার ছায়ার উপর। সুর্যের আলোকিত ছায়া নয়, মেট্রোপলিটন সিটির চোখ ধাঁধানো নিয়ন বাতির হলুদাভ আলোয় নিজেরই ছায়ামুর্তী। সুতরাং আমি যে ভাবে দাঁড়িয়ে থাকি সে ভাবেই মুর্তিটিও থেকে যাই, দৈর্ঘ্য-প্রস্থের কোন রকমফের হয়না, কিভাবেইবা হবে সুর্যমামা হলে না হয় উদিত কিংবা অস্তমিত হতো, তাই ছায়াও বাড়ত কিংবা কমত, অন্তত প্রতি মিনিটে-ঘন্টায় এদিক সেদিক ছোট হতো- বড় হতো। কিন্তু মুর্তি আমার, আমারই মতন নড়নচড়ন ছাড়াই লেপ্টে থাকে। কালো মুর্তিটার দিকে একটু আঁড়চোখে তাকিয়ে, সবাই যে যার মতো চলে যাই।
কখন যে ছায়ামুর্তিটি একটা ‘ ষ্টেচু ' হয়ে গেল, তা টেরই পেলাম না, চারিদিকের ঘটনা প্রবাহ আমি আমার ছায়াকেই ভুলে গেছিলাম, আর আমার এই অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে ‘ছায়ামুর্তি’ সাহেব যে কখন ‘পাথরে মুর্তি ’ হয়ে গেল টেরই পেলাম না। এখন আমি কি করি, কি যে করি আমি!
আমারই ছায়া, আমারই মুর্তি, কিভাবে রেখে যাই। সুতরাং আমাকেও থাকতে হলো ঐভাবে, ঠাই দাঁড়িয়ে। কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেল, আগে যখন ছায়া ছিল, তখন যে যার মতো করে পা মাড়িয়ে চলে যেত, এখন সবাই একটু সময় করে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। ( একটু সমীহ করে এই আর কি।) তবে এটুকু মনে রাখবেন পাঠক, ইহা একটি মুর্তি, কোনভাবেই ভাস্কর্য নই। নিজেরই ছায়া থেকে গড়ে উঠা একটি ছায়ামুর্তি, কোন শিল্পীর খোদাই করা ভাস্কর্য নই। ( ভাস্কর্য নিয়ে যা হচ্ছে, এই জন্য একটু সাবধান হতে চেয়েছি ) আর এই সাত টন ( সমগ্র বাংলাদেশ ) ভারী মুর্তি নিয়ে আমার হয়ে গেছে মহা‘দশা’, কিছুতেই যে নড়াতে পারছি না।
এর একটা বিহিত যে করতে হবে।
আপাতত, উপায়ান্তর না দেখে মুর্তিটির নিচে এই ‘ ফুটনোট ’ টুকু লিখে ঝুলিয়ে রাখি, যাতে সবাই মুর্তিটি নিয়ে যেন অযাচিত কোন সন্দেহ না হয়।
লম-লোন-ইমালোন-ইমালৈবাক
নোংমা নোংমগী হিংনবা হোৎনবদা, হৌজিক করি চাগনি - হোরেন নুমিদাং করি থোংগনি খনবদা চরম কংলবা য়ুমগী অহলশিংনা ঙাহাক্তং ফমথরগা য়ুকোক্তেনদা ঙাথরগা চিনি অঙাংবগি চা অমসুং হিদাকপুকতা হিদাক থকতুনা তুংগী ওয়াখন চনিং তানা খন্থৈ। অদুগা মতু-মচা-মমৌ-মশু শিংদা পাওমেনলি, য়ম্বানলোনগী পোথী-পোরম তাকপদো- নিংশিংলকই ঙসিদি। য়ুম্বু লৈত্রবা য়ুমশিগি, য়ুম্বুরেল পানদ্রবা য়ুম্নাকশিদা, শাগৈগী অহলনা অসুম শোন্থরকলবদা। কনানবু তাকপিরগবা ঙসিদি, খুন্নাইগী চিরবা মতমসিদা, তুংগী ওইবা পোথি-পোরম, ইশাগি শক্তম ঙাক্না, চাব-থকপা অওয়াৎপা লৈতবা নুঙাই-য়াইফবা খুন্নাই অমা ওইনা হিংদুনা লৈগনি হাইবা। অমরোমদনা খুক্কনপাঙ্গনলবা কাঙবুনা লুমদুনা লৈরি, খজিক্তং অহোবা ফংবগা, শাংলবা খুৎ অদো থিংজল্লক্তগী। অশোনবা তাঙফম ঙাইদুনা লৈরি, লাউরবা মখয়াৎ অদো কাথোক্তুনা, য়োৎশনগে হাইদুনা। মৌসুমী মতমগী নোংলৈ নুংশিৎনা কন্না কন্না হুমলকপদা লাইরবা য়ুমগী খাংপোকশংগুম কিন্থরকতগি ঙাইদুনা লৈরবা য়ুমজাওদো উবদা পাখৎচৈ, নুংশা থিজৈ।
নোংলৈ নুংশিৎতা, নোংখাকপদা ব্রজ তাই খংনা খংনা হৈনৌ খুনবা চৎলি, হাওরবা হৈনৌ দো মীতোপনা খুনখিনি খন্দুনা। নোংজু নুংশারক্তা লবুক্তা, পাৎতা ঈন থাদুনা, লোং খোন্দুনা, ইমা-ইন্দোন, ইচে-ইচন শিংনা ঙাখা-পুথি-ঙাকিচৌ-ঙামোইনু ফাব চৎলি অওয়া অনা থিদনা য়েঞ্জাং খরা হাওনবগীতমক। লৌপুশিংনা অহিং তুমদনা লমজাইদা য়ারেকই, পামফৌ ফৌরিবা লৌবুকশিংদো ঙাকশেন্দুনা। তমথিরবা শা-ঙা খুঙ্গংদা চঙকতনবা মখুৎ চাবা খুৎশু-খুৎলাই পাইদুনা ঙাকশেল্লি পাখংশিংনা, নহারোল শিংনা।
অনৌ-অনৌবা পোত্থোক্কা লোইননা অনৌ-অনৌবা মহিক কয়াসু চঙক্লে ঐখোয়গী খুন্নাইদা। লম্বেল-থোং ফরকপগী মতিক অনৌবা মখোন কয়াসু তাব ফংলে। ইলেক্টিশিটিগী মরিতা নত্তনা অনৌবা মরি কয়াসু থুংলরে য়েন্নখাদা-শন্দোংদা। গ্যাসকী পাইপকা লোইননা, মহু কল্লবা লিন কয়াসু চঙক্লে ঐখোয়গী চাখুমদা। টিভি গী অনৌ-অনৌবা চ্যানেল য়েংলিঙৈদা মীহুৎথোং লোনবা কাউথোক্নরে। অনৌ-অনৌবা মোবাইলগী ষ্টাইল হোংলিঙৈদা য়ুমগি য়ুম্বি শিন্বা ঙমদরে।
আশাদি, ঙসিগি মৈহৈরোয়শিংনা ঐখোয় খুন্নাইগী লায়েংবা হৌরকলিবসিনি, খরা থেংথরবসু টর্চলাইট থান্দুনা মীৎস্নাগী পিশুম হাইগৎতুনা য়েংলিবাসিনি। কনা কনাগুম্বনা পাখৎচৈ, নহানা মাইবা শারগা মং য়ৌবা য়াংই, হাইদুনা। ঐদি থাজখিদে। অনৌবা মুর্তী অমা শাগৎপদা হকচাংগী কয়াৎ খরদা নুংধং-পাইজৎনা খরা শোকচরবসু, ইশাগী মুর্তী
ইশানা শেমদোকচবনি, কাইদে।
ঐনা পাখৎচখিবদি ( ঐসে খরদি পাখৎকন্বা য়াৎনি, ৭১'গী লান মরক্তা পোকলপনা ওইরম্বসু য়াই, মেডিকেল সাইন্সনসু চুম্মী হাইনৈ ) লাইরবা ঐখোয়গী ফূঙ্গা লাইরুদা ফংখিবা মতিক-মগুন লৈরবা `লন' দুনি। করম্না ঙাকশেনগনি খংনদ্রিঙৈদা, ঐখোয় ইমুংমশেলতা মুন্নরিঙৈদা, মীখুৎতা তাখিগদ্রা। মার্কেট-ইকোনোমিগী খাবৈ না শক চু ফজরবা হেরিটেজ সে কোৎথোকপিখিগদ্রা, অসিদনি ঐ-না মং হা নুঙাইত্রিবসু।
বাংলাদেশতা ঙসি হোংলকলিবা ফীভম অমসুং ভারতকী অওয়াং-নোংপোক না অনৌবা ভীশন, অনৌবা মীহুৎথোং কয়া হাংদোরকলিবসে মুন্না নৈনফম থোকই, উচুক পাইদুনা অসুম য়েংদুনা লৈফম থোকতে। বাংলাগী চিদাই খরদা কোইচাই চাইদুনা তারিবা মৈতৈ মচাশিংনা ভারত অমসুং বাংলাদেশ লৈবাক অনিগী খোংথাংদা - মিহুন্দা অহোংবা কয়া লাকলিবসে খন্থফম থোকই।
( ফেব্রুয়ারী মাস তো, তাই মাতৃভাষা একটু চর্চা করলাম, মনো দুখখু নিয়েন না ।)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০৭