somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পত্থরবা 'চেফোঙ' - ঙাতোপকী মনম নমলুসি ঙাহাক ( পুরনো পত্রিকা থেকে কিছু কথা )

২৫ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিনয় ঘোষ রচিত '' বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা '' গ্রন্থখানি এ পাতা ও পাতা পড়ে দেখলাম, বেশ কাজের জিনিস। সেল্ফএ রাখার মতো একখানা ' মাল ' বটে, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। বেশ পরিশ্রমি কাজ, যত্নের ছাপ স্পষ্ট।

তৎকালিন সময়ের মানুষজনদের ধ্যান ধারণা ঐ সময়কার পত্রিকা গুলোতে উঠে এসেছে, ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি, পাশে একটু জ্ঞান চর্চাও হলো আর কী-বোর্ড চর্চাও হলো। আর উপরি (বোনাস ) হিসাবে মনিপুরী ভাষাতে টীকাটিপ্পনি সহ কিছু ব্যাখ্যা দাঁড় করাবার চেষ্টা করলাম।

আমার আগ্রহ, ( ১৮০০ -১৯০০ ) ঐ সময় কালে বাংলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যরা কি ভাবে ছিল, তখনকার ' ভদ্র ' এবং ' শিক্ষিত ' বাংলাভাষীদের মনোজগতে তাদের ( প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ) অবস্থানটা কোথায়, এসব নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করা। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, আরেকদিন অন্য কোথাও বলা যাবে। আ্পাতত পত্রিকার পাতাগুলোর দিকে নজর দেয়া যাক। -------------------

১। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ( শ্রাবণ ১৭৭৮ শক ) :

`` বঙ্গসমাজে দিন দিন যত ইংরাজ জাতির আচার ব্যবহার ও রীতিনীতি প্রবিষ্ট হইতেছে, ততই আরও দেশের দরিদ্রতা বৃদ্ধি হইতেছে। ইহারা ইংরাজ প্রভৃতি সভ্যজাতির নিকট হইতে যত প্রকার অভিনব সভ্যতার শিক্ষা পাইতেছে, ততই নানাপ্রকরে ইহাদিগের প্রয়োজন বৃদ্ধি হইতেছে। ইহারা আর সামান্য দ্রব্য আহার করিয়া তৃপ্ত হইতে পারে না, সামান্য প্রকার বেশভূষার তুষ্ট হয় না এবং সামান্যরূর গৃহাদিতে বাস করিয়াও সুখী হয় না, অথচ অতি সামান্য অবস্থায় কাল যাপন করিয়া জীবনধারণ করিবারও ইহাদিগের কোন সাধ্য নাই। জলশূন্য মরুদেশীয় লোকের জলতৃষ্ণা অধিক হইলে যে প্রকার অবস্থা হয়, এক্ষণে এদেশীয় লোকেরও অবিকল তদ্রুপ অবস্থা হইয়াছে। "


‘‘ শিক্ষিতদলের মধ্যে অনেকে যে ধর্মের প্রতি ঔদাসীন্য অবলম্বন করিয়া আছেন তাহা একবিধ কারণে নহে। কেহ কেহ বলিয়া থাকেন, প্রচলিত ধর্মই তাঁহাদের উন্নত অবস্থার উপযুক্ত নহে। অনেকে ধর্মের নাম অত্যন্ত বিবিদাষ্পদ দেখিয়া সমাজের শাস্তীভঙ্গের ভয়ে ঔদাসীন্য অবলম্বন করেন। কেহ কেহ ধর্মের অস্তিত্বও অস্বীকার করিয়া থাকেন। এই সকল কারণে অনেকের নিকট এদেশের ধর্মসংস্কার বিষয়ে আশানুরুপ সাহায্য প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে না। ’’

২। সোমপ্রকাশ: (১৮৬৬-৬৯ ) :

'' সহরের নিকটে থাকাতে নানাপ্রকার সামাজিক বিপ্লবও ঘটিয়াছে। সমাজের প্রাচীন শৃঙ্খলা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। ....................... ......................................................................... এই কারণে সমাজের অনেক লোক রীতিনীতি সম্বন্ধে উচ্ছৃঙ্খল হইয়া উঠিয়াছে। ধর্মশ্রাস্ত্রের যে শাসন ছিল তাহাও ইংরেজি শিক্ষার গুণে ও সহরের বাতাসে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, এখন শাস্ত্র ও সমাজবিরুদ্ধ পাপ সকল সমাজ মধ্যে অবারিত হইতেছে। নিবারণের উপযুক্ত শাসনশক্তি কাহারও নাই। ''

’’ সমাজ সম্বন্ধেও কৃতবিদ্যদিগের বিষম সংকট উপস্থিত হইয়াছে। উপধর্ম দুষিত হিন্দুসমাজের নানা দোষ ইঁহাদিগের নয়নপথে উপনীত হইতেছে। ইঁহারা সেগুলির নিকটে মস্তক নত করিতে পারিতেছেন না। সমাজ সম্বন্ধে কর্তব্যের ব্যাঘাত ভয়ে সমাজ পরিত্যাগ করিতেও পারিতেছেন না। এরূপ অবস্থা কি ক্লেশকর নয়? ইংরাজী শিক্ষা কি এই অসুখের কারন নয়? ইঁহারা যদি ইংরাজী না শিখিতেন, সেই বাল্যবিবাহ, সেই বহুবিবাহ, সেই কৌলিন্য কি ইঁহাদিগের প্রীতি উৎপাদন করিত না? অশিক্ষিত ব্যক্তিরা ঐ সকল যেরূপ অকৃত্রিম আনন্দ লাভ করিতেছেন, ইঁহারাও কি সেরুপ করিতেন না? এক ইংরেজী শিখিয়া ইঁহাদিগের তাঁতিকুল বৈষ্ণবকুল সব গেল। ’’

`` ইংরাজী শিক্ষা সেই গর্বিত ইংরাজদিগের মনোবাঞ্ছা পুর্ণ হইবার বিষয়ে ব্যাঘাত জন্মাইয়াছে। যাঁহারা ইংরাজী শিখিতেছেন, তাঁহাদিগেরই মন অন্যপ্রকার হইয়া উঠিতেছে। তাঁহারা ইংরাজদিগের দোষগুণ দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইতেছেন। ইংরাজেরা কি পদার্থ বুঝিতে পারিতেছেন; তাঁহারা দেবতার ন্যায় আমাদিগের আরাধ্য কিনা তাহা বুঝিতেছেন, অনুমাত্র দোষ দর্শন করিলেই পষ্টাক্ষরে তাহা ব্যক্ত করিতে সাহসী হইতেছেন; সর্বতোভাবে সমকক্ষের ন্যায় ব্যবহার করিতে আরম্ভ করিয়াছেন; তুল্যসম্মান ও তুল্যপদ লইয়া বিবাদ করিতেছেন...’’

৩ ।
কিন্তু '' বাংলার মুসলমানরা পাশ্চাত্যশিক্ষা ও ইংরেজি শিক্ষার প্রতি প্রথম থেকেই বিরূপ মনোভাব পোষন করতেন। মনে হয় যেন রাজক্ষমতাচ্যুত হয়ে তাঁরা কিছুতেই ইংরেজি ভাষাকে সম্মান দিতে চাইছিলেন না। মনে মনে তাঁরা একটা ক্ষোভ ও বিদ্রোহভাব ইংরেজি শিক্ষার বিরুদ্ধে পোষণ করতেন। এ ক্ষোভ ঐতিহাসিক কারণে তাঁদের থাকা স্বাভাবিক। আরবি - ফারসি ও মাদরাসা-মক্তবের শিক্ষার প্রতি তাঁদের প্রায় অন্ধ অনুরাগ ছিল। ......
..... উনিশ শতকের তৃতীয় পর্ব পর্যন্ত বাংলার মুসলমানদের এই সামাজি-আর্থনীতিক অবস্থার অন্যতম কারণ, রাষ্ট্রিয় ক্ষমতাচ্যুতির ফলে জাতিগত অভিমান, আধুনিকতা ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের প্রতি ধর্মগোঁড়ামি-জনিত বিরূপ মনোভাব এবং হিন্দুদের তুলনায় নিজেদের পশ্চাদগতির ফলে নৈরাশ্য ও হীনমন্যতাবোধ। উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত এই অবস্থার উল্লেখ্য পরিবর্তন হয়নি। ------
--------- বিশ শতকে পৌছে, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পর থেকে প্রায়, বাংলার মুসলমানরা আধুনিক শিক্ষার সামাজিক উপযোগিতা সম্বন্ধে যেন অকস্মাৎ সচেতন হয়ে ওঠেন।"
বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা - বিনয় ঘোষ, প‌ৃ: ১৮১ -১৮৩ ।

৪। `` ইংরেজি শিক্ষা --> চাকরি / টাকা ---- > স্টেটাস "

৫। সোমপ্রকাশ (১৮৮১-৮২ ) :
`` আমাদিগের দেশের লোকেরা পুত্রকে যে লেখাপড়া শিখান, মূলে চাকুরীই তাহার উদ্দেশ্য। পুত্র লেখাপড়া শিখিয়া কৃতী হইবেন, তাঁহার দ্বারা দেশের উপকার হইবে, স্বাধীন প্রবৃত্তি ও মত হইবে, এ চেষ্টা আমাদিগের দেশের লোকের অন্তকরণে এক মূহুর্তের জন্যও বোধ হয় স্থান প্রাপ্ত হয় না। সমাজে বল, সভায় বল, পিতা-মাতা গুরুজনের নিকট বল, চাকুরীর মত সমাদর এমন কিছুরই নহে। অন্য উপায়ে সহস্র সহস্র টাকা উপার্জন কর তথাপি চাকুরীর ন্যায় লোকের তাহা তত শ্রবণ সুখকর ও নয়ন তৃপ্তির নহে। সাহেবে সহিত দুটা কথা কহিলে ,সাহেব ভাল বলিলে চাকুরে ভাবে গদগদ হইয়া থাকেন। যিনি বড় চাকুরী করেন, যিনি মোটা বেতন পান অধুনা সমাজে তাহাদিগের যত সম্মান, স্বদেশের উপকার সাধন অথবা স্বাধীন বাণিজ্য ব্যবসা করিয়া তদপেক্ষা অধিক টাকা উপার্জন করিতেছেন তাঁহার তত সমাদর নহে। যিনি বড় চাকুরী রেন, মোটা বেতন পান তাঁহার তত সমদার নহে। যিনি বড় চাকুরী করেন, মোটা বেতন পান তাঁহার পিতা -মাতা, বড় চাকুরের পিতামাত মনে করিয়া সুখানুভব করিয়া থাকেন ।''

৬। সোমপ্রকাশ , ১০ আষাঢ় ১২৯১ :
পণ গ্রহণ করিয়া কন্যার যে বিবাহ দেওয়া হয় তাহারই নাম আসুর। বঙ্গদেশে অনেকদিন অবধি এ বিবাহটি চলিয়া আসিতেছে। কুলিন মৌলিক বংশজ প্রভৃতির ব্যবস্থাই এ কুৎসিত প্রথার কারণ। ... একে এই প্রথার জ্বালায় বাঁচা যায় না, কত বৃদ্ধ ও গুণহীন কাপুরুষ গুণবতী ও রূপবতীর পানিগ্রহণ করিতেছে। ... এই জ্বালার উপরে আবার পুত্রবিক্রয়ের জ্বালা উপস্থিত। এই পুত্রবিক্রয়ের প্রথা উপস্থিত হওয়াতে সকল শ্রেণীরই, বিশেষতঃ কায়স্থশ্রেণীর কন্যার বিবাহ হওয়া ভার হইয়া উঠিয়াছে। যাঁহার দুই তিনটি কন্যা জন্মে, তিনি অগাধ বিপদসাগরে নিমগ্ন হন। বরকর্তার চিত্তসন্তোষ সাধনার্থ তাঁহাকে ইটে-ভিটে বিক্রয় করিতে হয়। লক্ষী তাঁহার গৃহে বাসা বাঁধেন না। ছেলে যে পরিমাণে পাস দিতে আরম্ভ করে, সেই পরিমাণে মূল্য বৃদ্ধি হইতে থাকে। ... একি সভ্য ব্যবহার? "

৭। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (১৮৭৬ ) :

`` বর্তমান কাল অল্পবিদ্যার কাল। পূর্বকাল বিদ্যার্থীরা একটি বিশেষ বিদ্যাকে আপনার অনুশীলনের বিষয় করিতেন এবং অনেক বৎসর ধরিয়া তাহা অধ্যয়ন করিতেন সুতরাং তাহাতে বিশেষ ব্যুৎপত্তিলাভ করিতে সমর্থ হইতেন। -------------------- ------------------- ------------ বর্তমান কাল লঘুচিত্ততার কাল। অধিকাংশ লোকই কোন প্রগাঢ় বিষয়ের পুস্তক অধ্যয়ন করে না। .....তাঁহারা এমনি পরিশ্রম ও অভিনিবেশবিমুখ যে, বিজ্ঞান ও দর্শন প্রভৃতি গুরুতর বিদ্যা বিষয়ক সংবাদ তাহাদিগকে প্রদান করিতে হইলে তাহা তরল ও লোকরঞ্জন আকারে প্রদান করিতে হয়।

... পুত্তলিকার ন্যায় নৃত্য করিতে বল, সঙ সাজিতে বল, গড্ডলিকাপ্রবাহের ন্যায় চলিতে বল, শুকপক্ষীর ন্যায় কতা কহিতে বল, তোমার কথাগুলিকে মস্তকের উপরে স্থান দিব; কিন্তু যদি স্বাধীনরূপে বুদ্ধি চালনা করিতে বল, যদি আপনার দেশের পূর্বাপরের সহিত যোগ রাখিয়া চলিতে বল, যদি দেশ কাল পাত্র বিবেচনাপূর্বক বিদ্যাকে কার্যে প্রয়োগ করিতে বল, এককথায় এই যে, যদি জীবন্ত মনুষ্য হইতে পার, তবেই সর্বনাশ! বিদ্যাশিক্ষার ফল কি এই। "

৭। 'বাঙালিচরিত্রের বাক্যবিলাসকে ব্যঙ্গ করে ' এবং কথা ও কাজের অমিল দেখেই তখনকার সময়ের এক কবিকে এই পদ্য লিখতে হলো। -
`` সাহস কোথায় বল, প্রতিজ্ঞা কোথায়?
কিছুই না হতে পারে, মূখের কথায়।।
মিছি-মিছি অনুষ্ঠান, মিছে কাল হরা।
মুখে বলা বলা নয়, কাজে করা করা ।।

২৬ জুলাই ১৮৫৬ বিধবাবিবাহ আইন পাস হয়। আইনটি পাস হবার পর কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত উপরোক্ত কবিতা টি লেখেন। (সুত্র - বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা। পৃ: ২৩৯ )

৮। পাশ্চাত্যের আলো - ধর্মান্তর এবং খ্রীষ্টধর্ম :
`ইয়ং বেঙ্গল ' রা যখন স্বাধীন চিন্তা, যুক্তি ও বুদ্ধির আলো বাংলার চারিদেকে ছড়ানোর জন্য `এক হাতে ব্রান্ডি ' এবং `আর এক হাতে বই' নিয়ে কলকাতায় তথা সারা বংগদেশে ``বাতীজ্বালানো '' শুরু করলেন, তখন খ্রীষ্টান পাদ্রিরা খুশীতে নেচে উঠলেন আর বাংলার সভ্রান্ত সমাজ কেন বিচলিত হলেন তা আমাদের বুঝতে অসুবিধে হবার কারণ নাই। সমূহ কারণের জন্য 'ডিরোজিও ' সাহেবকে দায়ী করে সব ' কর্তা ' রা আঙুল দেখিয়ে যখন বল্লেন তখন কিইবা করার আছে বলুন ( যত দোষ নন্দ ঘোষ )-
`` অধ্যক্ষদের এই জরুরী সভা আহ্বান করার অন্যতম কারণ হল, এই বিদ্যালয়ের কোনো একজন শিক্ষকের অদ্ভুত আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে হিন্দুসমাজে আশঙ্কার সঞ্চার হচ্ছে এবং তার ফলে বিদ্যালয়েরও ক্ষতি হচ্ছে। এই শিক্ষকের ওপর বহু তরুণের চরিত্র গঠনের দায়িত্ব রয়েছে, কিন্তু তাঁর অভিনব শিক্ষাপদ্ধতির ফলে ছাত্রদের রুচিনীতিবোধ ক্ষুণ্ণ তো হচ্ছেই, উপরন্তু তাদের নৈতিক চরিত্র ক্রমে সমাজ ও পরিবারের পক্ষে অকল্যাণ ও অশান্তির কারণ হয়ে উঠছে। এর মধ্যে সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের প্রায় ২৫ জন ছাত্র বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংস্রব ত্যাগ করেছে। আরও প্রায় ১৬০ জন ছাত্র নানাবিধ অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেছে। অতএব এ বিষয়ে অধ্যক্ষদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে গ্রহণ করা উচিত। '' -- শনিবার, ২৩ শে এপ্রিল ১৮৩১ সালে হিন্দু কলেজের জরুরি সভায় পঠিত সম্পাদকের দেয়া বক্তৃতার অংশ বিশেষ। (সুত্র - বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা। পৃ: ২১৪ )
অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামে কিংবা মণিপুরে পাদ্রী মহাশয়দের এই পবিত্র কাজটি ( মিশনারি স্কুল প্রতিষ্ঠা ) করতে উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধেও সফল হতে পারিনি। -
Reverend William Pettigrew যখন মণিপুরে খ্রীষ্টান মীশনারী স্কুল এবং খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচারের মহান উদ্দেশ্য নিয়ে পদার্পন করেন তখন তৎকালিন মণিপুর রাজদরবার পাদ্রী মহাশয়ের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারনে বেশীদুর অগ্রসর হতে পারেনি। তারপরও নাছোরবান্দা পাদ্রীরা মণিপুরের সমতল ছেড়ে পাহাড়ে গিয়ে মিশনারী কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে মনিপুরের রাজা চন্দ্রকৃর্ত্তীর সময় ১৮৮৫ -৮৬ সালে '' জোনষ্টোন মিডল স্কুল '' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে 'পশ্চিমা শিক্ষার আলো' মণিপুরে এসে পৌছে। -
[মণিপুরদা নোংচুপকী শিক্ষা ( মণিপুরে পাশ্চাত্য শিক্ষা) , থোকচোম মঙ্গলজাও, পৃ: ৯-১০ ।]

`` ১৮৬২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে জেলার অস্থায়ী সদর দপ্তর চন্দ্রঘোনার সর্ব প্রথম একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই বিদ্যালয়ে আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাসহ চাকমা এবং মারমা ভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে চাকমা ও মারমা ভাষায় শিক্ষাদান স্থগিত হয়ে যাই। পরবর্তীকালে ১৯৪০ সালে মি. মিলার কর্তৃক ' চাকমা প্রাইমার ' নামক শিশু পাঠ্য প্রকাশ ও স্কুল পাঠ্য হিসাবে চালু করার চেষ্টা করেন। খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করার সুক্ষ পরিকল্পনা ছিলো বলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরোধীতার কারণে তা চালু হতে পারেনি।''
- [জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় আদিবাসীদের স্ব স্ব ভাষায় শিক্ষার গুরুত্ব - হেমল দেওয়ান, লাল (আধার ) - বৈসাবি ' ৯৯ , জাক-প্রকাশিত। ]

----------- ০০ ----------

মণিপুরদা নোংচুপকী মঙাল লাকখিবসি সমুদ্র ওয়াংমাগী লন্ডন -প‌্যারিস-নিউইয়র্ক তগী লাকখিদে। চীং কয়া জঙ্গল কয়া হুৎতুনা মঙাল অদো ইম্ফালদা থুংখিবদি সিলেট-ঢাকা-কলকাতা গী ` ময়াং ' শিংদগিনি। বৃটিশনা মণিপুরবু কোলোনি ওইদুনা লৌশল্লবসু মীয়ামগী থম্মোয়দি ' লোয় ' চন্বা ঙমখিদে। মখোয়দা ' বাবু ' শিংদগী মঙাল অসি য়ৌরিকখিবনি। মসিগী প্রমাণ ওইনা মতমদুগী চেফোং শিংদুগী মমিং মথা অমদি খোন্থোক-খোল্লাউদা উবা-তাবা ফংলি ।

চেফোঙ খরগী মীং অমসুং মতম :
নিতিগী ফোঙবা - দৈনিক মণিপুর পত্রিকা - ১৯৩২, ভাগ্যবতী পত্রিকা-১৯৪৬ , প্রজাতন্ত্র - ১৯৪৬, প্রজা - ১৯৪৭, ঐখোয়গী মণিপুর - ১৯৪৭, ঙসি - ১৯৪৮, লৌমী - ১৯৪৯, জন্মভূমি পত্রিকা - ১৯৫০, মাদর মণিপুর - ১৯৫৩।
চয়োলদা ফোংবা: -
তরুন মণিপুর - ১৯৩৮, মণিপুর মতম - ১৯৩৯, অনৌবা যুগ- ১৯৪৭, প্রজা - ১৯৪৭, লৌমী - ১৯৪৮, ভাগ্যবতী - ১৯৪৭, প্রজাশক্তি - ১৯৪৯, ভারত সেবক - ১৯৬৩ ।

থাখায়দা ফোঙবা; -
ঙসি - ১৯৪৬, খোঞ্জেল - ১৯৪৭ (ত্রিপুরা ), মৈত্রবাক - ১৯৬৬, লাসানী - ১৯৬৭ ( সম্পাদক - শ্রীহট্টদগী লাকপা শোনি ), ভারত ইমা - ১৯৭৫,

থাদা ফোঙবা: -
মাসিক জাগরণ - ১৯২৪ (সম্পাদক - শ্রীঅর্জ্জুন সিংহ বি, এল, সহকারী সম্পাদক - শ্রী পারিজাত সিংহ অমসুং শ্রীরামকৃষ্ণ সিংহ ওইদুনা সিলেটতাগী ফোংবা ) , য়াকাইরোল - ১৯৩০, ললিত মঞ্জরী পত্রিকা - ১৯৩৪, মৈতৈ মাইবা - ১৯৩৮, মণিপুরী মহিলা - ১৯৩৯, মৈতৈ - ১৯৪১, ছাত্র জগৎ - ১৯৪৬, পলেম - ১৯৪৭, ইমারোল - ১৯৪৭, জ্যোতি ( মাতৃভাষা উদ্বোধিনী মাসিক পত্রিকা ) - ১৯৪৮, কিষাণ মেগাজিন - ১৯৫০, সাহিত্যগী ঈচেল - ১৯৫০।
থা অহুমদা ফোঙবা :-
মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা - ১৯৩৭, মীংনাইদবী -১৯৪৭, মুক্তি - ১৯৪৯, পঞ্জেন - (কাছাড় ) ১৯৫২, লৌমিগী পাউজেল -১৯৬৩, সাহিত্য -১৯৬৩ ।

(লৌখৎচবা: মৈতৈ-চেফোং , রাজকুমার শ্রীস্নাহল সিংহ বি-কম, ইম্ফাল ।)

বাগানগী 'কুলিবাবু ' ' টিলাবাবু' না হাফপ‌্যান্ট শেৎলগা লমবি-লমখাংগা তুরিৎ তুরাৎ চৎলবসু নমথিকো হাইদুনা মনাক চংশিনলুদে। অদুবু টাই কোর্ট পুন্বা ` বাবু ' দি ঐখোয়না কৈদৌনুংদসু মিরাইখিদে। মিরাইফমসু থোকখিদে। মতমদুগী চৎনবীগী (ট্রেন্ড ) ওয়া নত্তে, মালেমগী মফম খুদিংমক্তা থোকখিবা থৌদোকনি। ঐখোয়দসু থোকখি, খরা থেংলবসু থেংনা থুংলখি। মদুগী তমক ' এ বি সি ডি বাবু ' দা তাইনফম থোকতে। মখোয়দি মতমদুগী ' পোৎথোক ' নি। মখোয়না ঙানলম্বদুসু থাজ ' গী মঙালগুম্বনি, নুমীৎকী- থওয়ানমিচাক্কী মঙাল ওইনা ঙানলম্বা কয়া য়াওখিদে। অদুদা পেঞ্জদবগী ওয়াতনি।
থাজ'গী মঙালদা ফৌ ফৌখিদে কৈদৌনুংদসু, শিং কংহনখিদে নোংমতসু। থাবল না ঐখোয়গী থম্মোয়বু শুমহৎলবসু, ইংলবা হকচাংবু শাগৎনবাদি নুঙাল্লকপগী নুমিৎকী মঙাল ঙাইদুনা লৈনখি। মেংলবা থাজগী থাবলদা কঙাওদুনা চৎলুরবসু থওয়ানমিচাক খরনা লম্বি তাকলকখি, পন্থুংফম য়ৌবগী লিচিংবিখি। নোংমতসু লম্বী হুকতুনা চৎখিদে মখোয়গী থোঙানদুদা, মতম খরা চংলবসু অনৌবা লম্বী গী কুরুক-কুরাক মরকতুদা চৎপদি তোকখিদে নোংমতসু।
নোংচুপকী মঙাল ফংবা 'বাবু' শিংদুগী হোৎনমনদগী মণিপুরী খুন্নাইদা অহোংবা কয়া লাকখিদবা নত্তে। মদো পুম্নমকতুসু ঐখোয়না কাওথোকফম থোকতে। অদুবু অসিমসু কাউফদে নোংচুপকী হওয়া-নুংশিৎকা কা লোইননা মহিক খরসু পাইশিল্লকখি। মশানা তাবনি। অদুনা ' ময়াং বাবু ' শিংদা থুংবা লাইনা লাইথুং পুম্নমক ঐখোয়দসু চঙকখি, চুরুঙনখি। খুদম ওইনা মতমদুদা ফোংখিবা চেফোঙ খরগী লামায় খরা হাইগৎতুনা য়েংসি কৈদৌগে , ..

সন্ধ্যাগী ভাগ্যবতী পত্রিকা, আগষ্ট -১৯৪৮:

" মণিপুর সভা সমিতিনা শন্থীয়েন চোংবগুম পংচোংদা চোংথোরকলে। প্রজা সংঘ, কৃষক সভা, মণিপুর মহাসভা, মৈতৈ মরুপ, চন্দন সভা, সেবক সভা, অমসুং পালা সভা মকোই অসিনি। সভাশিং অসিগী মরু ওইবা থবক্তি শোই খোম্বনি। ... .... .... হন্দক্কী সভা সমিতি অসুক য়ামনা চোংথোরকলিবা অসিগী উদ্দেশ্যদি ভোট পীদুনা মেম্বর হাপকদৌরে অদুনা মাগী মাগী কাংবগদগী মেম্বর থাগত্তবা য়াদে অসিনি। অতোপ্পা অমনা মরৈবাক নুংশিবা নাস্তিক কংগ্রেসনা ধর্ম্ম মাংহগদৌরে অমসুং নিংথৌনা মনিং মখা তমনা পায়রম্বা রাজশক্তি অদু কংগ্রেসনা লৌখিদুনা প্রজাদা পীথোকখিগদৌরে, অদুনা প্রজানা চাউখিবা তারে, চাউহনবা য়াদে, নিংথৌদা পাওয়ার পীশিনসি, নিংথৌ চাউনসি, প্রজাবু নৈখিসি, অদুনা কংগ্রেস শোলহনসি, কংগ্রেস থুগাইসি অসিনি। ( কংগ্রেসকী অমতা ওইবা মতমদুগী চেফোঙ নি । )

মাসিক জাগরণ, মার্চ - এপ্রিল, ১৯২৪ :
'' ( বাংলা অমসুং মৈতৈলোনগী থাগী চেফোঙদা মণিপুর অমসুং মণিপুর মপান্দা ফোঙবা চেফোঙশিংগী মনুংদা মসিনা মহাল্লে - অইবা )
.............................. বক্তা জাগরণের উৎপত্তির সমালোচনা করেন। মৈতৈ ভাষায় প্রবন্ধ লেখকের সংখ্যা অত্যন্ত কম এবং বিষ্ণুপ্রিয়াদের মধ্যে মৈতৈলোন বুঝিতে পারে এমন লোকও আবার কম - বিশেষত: জাগরণের অধিকাংশ গ্রাহকই বিষ্ণুপ্রিয়া বলিয়া আপাততঃ মৈতৈ ও বাঙ্গলী ভাষায় পত্রিকা চলিতে থাকিবে এবং মৈতৈ প্রবন্ধের বৃদ্ধির সহিত ও শিক্ষিত বিষ্ণুপ্রিয়াদের জাতীয় ভাষার জ্ঞান বৃদ্ধির সহিত উক্ত ভাষা বাঙ্গালার স্থান অধিকার করিবে। বর্ত্তমানে দলাদলি প্রভূতি নানা কারণে আমাদের সমাজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত বিশেষতঃ পরাধীনতার দরুণ " ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই '' হইতে আরম্ভ করিয়াছি। এমতাবস্থায় জাতীয় আন্দোলনের প্রারম্ভেই এই বিষয় নিয়া মৈতৈ ভাষাভাষী ও ................................................ জাগরণের ভাষা যখন ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ মৈতৈ হইবে, তখন উক্ত ভাষায় লিখিত মৈতৈ লৈমার আবশ্যকতা যে কি - বুঝিতে পারিতেছি না। আমাদের প্রতি কাছাড়ারের মৈতৈ ভাষাভাষী ভাইরা কি কতটুকু বিশ্বাস করিতে পারিতেছেন না? ( চেফোঙ অসি বাঙ্গালা অমসুং মৈতৈরোন নত্তনা অতোপ্পা লোনগী ওয়ারেং শৈরেং ফোঙবা য়ারমদে.... ) ''

তরুণ মণিপুর, সেপ্তেম্বর - ১৯৩৮:
মণিপুরদা নুপী অককপ লৈতনা নুপা অমন থিব য়াই। অদুগ খাইননিংব মতমদা খাইনবসু য়াই। অদুদ নিপা অদুন ঐ মাবু লৌররোই- মান থোকপা তৌজখিব য়ারে হায়রবদি নুপী অদু ময়ুম অমা পানজখিব য়াই, নত্তদুনা মওয়া অদুন থাবিদ্রিঙৈদা ময়ুম পাল্লুরবদি লুপা ৫০ - ময়েক ওইনা পিদবা য়াব নত্তে।
ফন ঙকপ য়াব চৎনবী অমনি। কনাগুম্বনা নুপী অম থিব মতমদা লুপা কয়া পিদুনা থিবগে নত্রগা লৈবগে? মমিং মকসু ' মমল হনবা' কৌনৈ - করম্বা মমলনো? নিপান নুপীবু করম্ব দলিল ইনদুন রেজিষ্টার তৌদুন লৈবগে? ......................................... অমসুং করম তৌরগা খাইনবা য়াব-নচিংব আইন শেম্বীদুন নুপান তৌবদি য়াব নুপীন তৌবদি য়াদব থিংবিব মতম ওইরে। নুপাসু নুপীগ ওয়া লোইনদ্রিঙৈদ মতু অম থিরবদি মতিক চাব শেল নুপীন ফংজব য়ানব আইন অম শেম্বীরবদি নুপী ঙাকপিব অম ওইন থোক্কনি। শেংখ্রব লুহোংববু মোৎখ্রব নুপীগী ললোনফম ওইব থিংবিব মতম ওইরে । ''

মণিপুর মতম, জানুয়ারী, ১৯৪০ :
" ইংরাজী ১৯৩৯ সাল লোইখরে, অমুক উবা ফংলরোই।তৌইগুম্বসুং চহি লোইখি হায়দুনা অতিয়াদা ঈশিং, নুংশিৎ অমসুং কংফান্দা অনৌবা অধ্যায় অমা হৌবদি খক য়াদে। ............................. চহিসিগী লোইরকপা মতাংদা ইউরোপ্তা অকনবা লাল অমা হৌই। হৌজিক মদুগী ইচেন্দো অহোইনদুম কনশিল্লকই। ........................................................ নোংপোক্তা চীন অমসুং জাপান কন্না লাল সোকনরি। চীন্না জপানগী আক্রমন নোংম নোংমগী জয় তৌরক্লি হাইরি। মণিপুরদা নিপা য়াওদনা নুপিনা আন্দোলন তৌরি। "

অনৌবা যুগ এপ্রিল ১৯৪৭ :
" .... হৌজিক মনিপুরদা বৈষ্ণব ধর্ম্ম চৎপদা নত্তনা মিতৈ মরুপ ( স্নামহি ), মিতৈ লাইনিং মরুপ ( পাখংবা ) অসিনচিংবা কয়া লৈরে। অসিনা কাংবু কাংবু মরৈ য়েৎনবা, খবরদা চৈনবা, ফি শেম্নবা ফাওবা য়াওরে। মাংলে হায়বগী দমক্তা কোর্টকী সাহয্য লৌনবগী থৌরাংদা কেশ তৌনবসু য়াওরে। অদুনা লৈবাক কুম্মৈ তারে। .... ........... .......... বামোন বামোন থেংনবগুম মৈতৈগা মৈতৈগসু থেংনরে অদুনা ধর্ম্মনা ওয়াহৌ ওইদুনা হিন্দু মণিপুরি সমাজ মশেন থেংনবা অশান্তি অমা ওইরে। .......... ................. ....... ধর্ম্ম খুদিং অচুম্বা লম্বীদা চাওখৎনবা হোৎনবিয়ু। অনৌবা যুগকি মঙান্না লৈপাক পুম্নমক ঙাল্লবা মতমসিদা ঐখোয় খৎনদুনা ভাবোক্কী কুম্মৈ তাহন্দুনা লৈখিগদ্রা? শুবনা মপুং চাবা শেৎপনা মনাতপ ওইবা মরাইবক থিরবা মী লক্ষা অওয়াবা কয়া খাংদুনা লৈরি। লৌউবা কয়া মীওইনা পানবা ঙমদ্রি। ঙসি ফাওবা লৈপাক্কী অওয়াবা অমত্তা কোক্‌ত্রি, লৈপাক্কী দাবী দায়িত্বশীল শাসন ফংদ্রি। দাবী ফংনবা হোৎনবদা পুকচেল তিন্নবিয়ু, দাবী অসি ধর্ম্ম জাৎ খাইদনা অপুনবা মণিপুরী জাতিগী দাবীনি। "

মরূপ, (ত্রিপুরা )মার্চ ১৯৭১ :
" .... ত্রিপুরাদা জাতি অতৈগী মরক্তা রাজ্য অসিমা পুমশিন শিন্না মরক মরক্তা হৎল হৎলদুনা খুন্দারিবা ঐখোই য়ামনদি ওয়ানরে। অদুবু করি করম তৌরগা হিংবা য়াগদগে হায়বগী ওয়াখল অসি পুবিরবসু ঐখোয় ইশেনতা য়েংথিনদুনতা লৈথোকলগা অমনা অমবু থৌশানদ্রগা লোইরে হায়দুনা লৈরে। অসিগুম্বা ওয়াখল অসি থাদোকতুনা অমত্তা ওইবগী পুকচেলদা হিংননবগী লম্বী শিন্দ্রবদি ঐখোই রাজ্যসিদা পুম্মাং মাংবা হায়বদু শোয়দনা ওইরগনি। ... .............. .................
ইজাতিবু কন্ননবগী ওয়াখল লাকতবনা অতৈ জাতিগী মরক্তা লৈবা খুদোং চারক্তবনা ত্রিপুরা থাদোকতুনা মপান্দা চেনখিবনা ঐখোয়গী অবস্থা অতৈসু হেন্না শোকখিবনি। মরম অসিগী ত্রিপুরাদা ঐখোয় অমত্তা ওইনা অতৈ জাতিগী মান্ননা হিংনবগী লম্বী শেমলসি। নত্রবদি ঐখোই ত্রিপুরা থাদোকতুনা চেনবা হা্য়বদু শোয়দ্রবনি। "
--- ---------- ----------
হৌজিক্তি রিসাইকলগী যুগনি- গ্রীণ গ্রীন এভরিহোয়ার। অমুক্তং শিজনবগী মহুৎতা য়ারিবা মখৈ হঞ্জন হঞ্জন্না শিজনবা পামনরকলে। মাংদা তাবা অতোয় -আকায় শিংসু অমদা অমদা থোক থোক লংথোকতনা মফম চানা খুঞ্জন্দুনা থম্নরে। মমাংঙৈদা করিসু কান্নদে খন্দুনা খোংবান-লুপান্দা লংশেকলম্বদো ফজনা মফম চানা থম্দুনা ' কম্পোজ ' তৌদুনা লৈহাউ ওইনবা শিজনবা হৌরকলে। ঐখোয়গী মীৎয়েংসু খরা তুং কোইনা, ইশাগী - ময়ামগী কান্নবা মশক খংনা য়েংবা মথৌ তারক্লবনি। ঙাহাক্কী নুঙাইনবা, পেন্থোকপতনা পুন্সী গী পন্থুংফম ওইবা য়াদে।

বাংলাদেশতসু ১৯৭৫ - ২০০০ গী মনুংদা সিলেট -ভানুগাছ - বিশগাঁও - শ্রীমঙ্গল দাগী চেফোং কয়া ফোংখি। মতমদুগী চেফোঙ খরদুগী লামাই খরা হাইগৎতুনা য়েংলুরগদি মখোয়না হোৎনরম্বদো থাগৎনিঙাইনি। তৌবতবু নিঙাই কন্বা, হোৎন কন্বা হাইবদুদি সম্পাদক ওইবিরিবা অমা -অনি নত্তনা কয়া য়াওখিদ্রে। মসি মখোয়তগী মরাল নত্তে, পাঠক - রিডার -অডিয়েন্সকীসু মরাল লৈতে হাইবা য়ারোই। চেফোঙ শিংদুগী মমল নোংমা নোংমাগী হেনগৎলকখিনি, মরমদি মরক মরক্তা তুং হন্না য়েংবা, নাক-য়েৎ -ওই য়েংবা অমসুং হৌজিক্কী ওইরকলিবা ফিভমসিগী মরম থিগৎপদা চংদবা য়াদ্রবা ' পোৎশক' অমা ওইরিবনি। (লোইদ্রি)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৬:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×