দীর্ঘদিন পর সামহোয়ারের তুমুল জনপ্রিয় ব্লগার হমপগ্র ফিরে এসেছেন সুন্দরবনে তার স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে। তিনি দু-মাস আগে এক ব্লগারের উপর অভিমান করে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছিলেন, ব্লগারের নাম মোঃ নাজমুল হাসান।
সেদিন ছিলো, ১৬ই ডিসেম্বর। হমপগ্রের প্রাইভেট প্লেন ল্যান্ড করলো সুন্দরবনে (সুন্দরবনে এয়ারপোর্ট আছে না নাই, এইরকম প্রশ্ন অবান্তর)। এরপর তার বান্দর বন্ধু বান্ধব, এক বাঘ বান্ধবী, আর একঝাক "ছায়ার আলোর", বেহাইদের বিদায় জানিয়ে উনি প্লেনে উঠলেন। সঙ্গে গাধার লেজের ভাজি, আর বুনো শুয়োরের মাংস ভূনা নিতে ভুললেন না। বান্দরদের রান্না খেতেই তিনি অভ্যস্ত ছিলেন।
যাই হোক, প্লেন ঢাকা এয়ারপোর্টে আসতেই নিরাপত্তা কর্মীদের দৌড়া দৌড়ি শুরু হলো। চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললো, নিরাপত্তা বাহিনীর সাজোয়া গাড়ী। প্লেন নামতেই লাল-গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হলো, হমপগ্রকে। রিসিভ করলেন, সেনা-প্রধান, প্রধান-উপদেষ্টা, রাষ্ট্রপতি, ১০ জন উপদেষ্টা, আরিল, আরও সামহোয়ার কর্মীরা।
কিন্তু হমপগ্রের চেহারার পরিবর্তন দেখে, কেউ মুখ ফেরাতে পারছিলো না। রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টাকে বললেন, "এতো আমাকেও হার-মানালো"। পাশ থেকে সেনাপ্রধান বললেন, "আমাকেও"।
সারা রাস্তা হমপগ্র এসেছেন আরিলের পাশে বসে বসে। আরিল, হমপগ্রের দিকে খুব আগ্রহ নিয়ে তাকিয়েছিলেন, কেন তা ছবি দেখলে বুঝবেন।
হমপগ্র সারা রাস্তা অদৃশ্য লাখো জনতার দিকে হাত নাড়ছিলেন। আরিল তাকে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, "এখন জরুরী অবস্থা তাই কেউ আসতে পারেনি, তাই আমিও হাত-নাড়ছি, মানে তুমি বুঝবে না"।
যাইহোক, পরেরদিন সকালে সামহোয়ার ইন এ যেতেই এই দৃশ্য। হমপগ্রকে মেরে একাঠ্যা করে দেওয়া হলো। হায় এইটা তো মিলিনিয়ামের শ্রেষ্ঠ ঘটনা হতে পারতো। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি দিলেন, আল-কায়েদা অথবা মুশাররফ, বেনজিরকে হত্যা করে।
হমপগ্র এর উপর হামলাকারীদের সনাক্ত করার জন্য আবার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
(এইটা কাল্পনিক কথন, বা প্রলাপ, বাস্তবতার সাথে মিলে গেলে আমি সত্যি সেটাকে কাকতাল ভাববো-না। তবে একে সত্য মনে করে গালাগালি গ্রহণযোগ্য।)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪১