বছরটা বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে শেষ হয়ে আসল বুঝি। ২০১৫ সালটা খুব খুব বেশি স্পেশাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। স্বপ্নকে দুহাতের মুঠোয় কিভাবে পূরতে হয় সেটা দেখিয়েছে মাশরাফিরা। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের ম্যাচ দেখলে মনটা ভারী হয়ে যেত। জাবেদ ওমর,হাবিবুল বাসারদের উইকেট পতনের মিছিল আর অপরদিকে তাপস বইশ্য, নাজমুল হোসেনদের বলে বাউন্ডরির বন্যা দেখে চোখ ছলছল করত। সময় বদলেছে, শাবকরা আজ শিকারি বাঘে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালে আমার সবথেকে প্রিয় মুহূর্তগুলো
১। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ কোয়ার্টার রাউন্ডে খেলা। জিমি অ্যান্ডারসনের স্টাম উড়িয়ে রুবেলের দৌড়, সাথে সব প্লেয়ারদের দৌড়! এ্যাডলেইড অভালে লাল সবুজ পতাকার জয়ধ্বনি ! মুহূর্তটা সারাজীবন হৃদয় কুঠুরিতে আগলে রাখব। ঠিক কত জোরে সেদিন চিৎকার করেছিলাম ভাবতেই পারছি না।
২। সেই ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ মাঝে পেরিয়ে গেছে গোটা ১৬ টি বছর। ২০১২ সালের সেই এশিয়াকাপের ফাইনাল; নাহ এবারও পরাজয় সাথে কোটি কোটি বাঙালির চোখে অশ্রু। ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৬ কোটি মানুষ দেখল বিজয়, সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তাও আবার বাংলাওয়াস।
৩। বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের কলঙ্কিত ম্যাচ। ক্ষমতাবলে পুরো ক্রিকেটবিশ্বকে শাসন করে চলছে তারা। প্রতিশোধটাও টাইগার বাহিনী নিল কাব্যিকভাবে। ১৯ বছরের এক বালক চূর্ণ করে দিল তাদের সব গৌরব-অহ্ংকার। দুবার ডাবল সেঞ্চুরিয়ান রোহিতকে ৩ ম্যচে ৩ বারই আউট করল, সাথে রায়না ধোনিসহ ১৩ উইকেট।
৪। ক্রিকেটবিশ্বের পাওয়ার হাউস রাবাদার কল্যাণে খুব বাজেভাবে হারালো আমাদের। কিন্তু টাইগার ঘুরে দাঁড়াল হিংস্র বাঘের মতই। সৌম্য একাই সিরিজ ছিনিয়ে নিল, আর তার সঙ্গে বল হিসেবে সব থেকে বড় জয়ের রেকর্ড।
৫। সাইলেন্ট কিলার। নিঃস্বার্থভাবে খেলেছেন সবসময়ে কিন্তু সব সময়ে ছিলেন পর্দার পেছনে পরে।
বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নিজের নাম লেখালেন রিয়াদ। ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে নিলেন স্বপ্নচুড়ায়।
২০১৫ সালটা ঠিক স্বপ্নময় ছিল বললে ভুল হবে না। একটা ভঁয়ও জাগে ছন্দে পতন যেন না ঘটে। বদলে যাওয়া শুরু হয় একজন অনুপ্রেনার আইকনের কাছ থেকে যার ক্যাপ্টেন্সিকে আমি কোন কাউন্টডাউন বা র্যাংকিঙ্গে ফেলতে পারব না। তিনি আমাদের নেতা, "ক্যাপ্টেন কারেজাস.........
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩