অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বুশ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এমন আরও অনেকের নাম আমরা খুঁজে পাব যারা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আভিজাত্যের জোরে ক্ষমতাসীন হননি। তারা জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। যে প্রক্রিয়াকে আমরা বলি রাজনীতি।
রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে সাধারণ মানুষ। যেহেতু এর নিয়ন্ত্রণ বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের বিচারকদের হাতে নেই, সেহেতু এই সমাজের করণীয় হতে পারে সর্বাÍক প্রয়াসে মানুষের মতামতের উপর প্রভাব বিস্তার করা। কোনও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সংস্কার বা পরিবর্তন চাপিয়ে দেয়া নয়। এভাবে কোনও কিছু স্থায়ী বা দৃঢ়মূল করা যায় না।
মানুষ ভালোমন্দ বিচারে আমাদের বিবেচনায় ভুল করতে পারে কিন্তু সেই ভুল উপলব্ধি করে তাদেরই সুযোগ করে দিতে হবে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার বা পরিবর্তনের। এই ভুল থেকে সঠিকের পথপরিক্রমায় মানুষের যদি কিছু দুর্ভোগ হয়, দেশের অগ্রগতি থমকে থাকে, যদি সময়ক্ষেপণ হয়, মানুষ সেটা সীমিত সময়ের জন্য মেনে নেবে। এ জন্যই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটা কথা চালু আছে, একটি জাতি তেমন সরকারই পায়, যা সে ডিজার্ভ করে অর্থাৎ যা তার প্রাপ্য।