somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-২২

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


২.ধ্বংসের পথে মাকিন সমাজ ব্যবস্থা

ক্যামব্রীজ ইউনিভার্সিটির ডক্টর আইডিমিউম পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের এবং পুরাতন গোত্রসমূহের লোকদের জীবনী অধ্যায়ন করেছেন। এ অধ্যায়নের পর তিনি সভ্য সমাজের লোকদের জীবনী অধ্যায়ন করেছে। তারপর তিনি এবিষয়ক স্বীয় বই ‘‘সেক্স কালচার’’ এ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভূমিকায় তিনি লিখেন,আমি বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধানের পর যে ফলাফল লাভ করেছি তার সংক্ষিপ্ত বিবরন এই ঃ- প্রতিটি জাতি দুটি জিনিসের উপর নির্ভর করে। একটি হল তাদের সম্মিলিত জীবন ব্যবস্থা,দ্বিতীয়ত এমন আইন শৃঙ্খলা যা তারা যৌন চাহিদার উপর আরোপ করে। তিনি আরোও লিখেন যে,যদি আপনি কোন জাতির ইতিহাস দেখেন যে, কোন সময় তাদের সভ্যতা উন্নত হয়েছে অথবা নীচে নেমে গিয়েছে তাহলে আপনি খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে, তারা যৌন বিষয়ক আইনে রদবদল করেছে। যার ফলাফল সভ্যতার উন্নতি অথবা অবনতির আকৃতিতে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ৮০ টি গোত্রের সভ্যতা সংস্কৃতি অধ্যায়ন করে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন তা এই-
১.যে সকল গোত্রে বিবাহের পূর্বে যৌন চাহিদা মিটানোর অবাধ স্বাধীনতা ছিল,তারা সভ্যতার সর্বনিন্ম স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল।
২. যে সকল গোত্রে বিবাহের পূর্বে যৌন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে মোটামুটি আইনানুগ ব্যবস্থা ছিল,তারা সভ্যতার মধ্যস্তরে ছিল।
৩. সভ্যতার সর্বোচ্চ শিঔরে সে জাতিই আরোহন করেছে,যারা বিবাহের পূর্বে যৌনাচার থেকে পুতঃপবিত্র ছিল। যারা বিবাহের পূর্বে যৌনাচারকে অবৈধ ও অপরাধ মনে করত।
উক্ত লিখক আরো মন্তব্য করেন যে,মনোবিজ্ঞানের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, যৌনাচারের উপর আইন আরোপ করা হলে তার অবশ্যম্ভবী ফলাফল দাড়াঁবে এই যে,জাতির কর্ম ও চিন্তা চেতনার শক্তি ও যোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যে জাতি নারী পুরুষকে অবাধ যৌনতার সুযোগ দেয় তাদের কর্মক্ষমতা,চিন্তাশক্তি এবং যোগ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। রোমীয়দের অবস্থাও তাই হয়েছিল। রোমীয়রা আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবাধে পশুর ন্যায় যৌনতায় লিপ্ত হত। ফলে তারা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং কোন কাজ করার মত ক্ষমতা তাদের ছিল না। এভাবে পৃথিবীর ধ্বংসকৃত জাতির সবাই যৌন অপরাধের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আজকে যৌনতার ভয়াবহ অবক্ষয়ের পড়ে মার্কিনীরা যে পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা আপনাদের দেখাবো।

তালাকের রাজধানী আমেরিকা

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমানে তালাকের রাজধানী বলা হয়। বুক অফ ট্যাকসর ১৯৭৭ এর রির্পোট মোতাবেক ১৯৭৬ সালে প্রথম ছয় মাসে আমেরিকায় ৯৮৭০০০ টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৫৩৮০০০ টি তালাকের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি মিনিটে গড়ে ২ টি করে বিবাহ তালাকের মাধ্যমে ছিন্ন হয়। লসএঞ্জেলেসে প্রতি বছর প্রায় ৫০,০০০ তালাক সরকারী ভাবে নথীভূক্ত করা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পূর্বে ১৮ টি বিয়ের মধ্যে ১ টি তালাক কার্যকর করা হতো। ১৯৬০ সালে থেকে তা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তী ২৫ বছর এ হার তিন গুন বৃদ্ধি পায়। এখন বার্ষিক তালাকের সংখ্যা ১১,৬০,০০০ টি। আর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, আমেরিকায় বার্ষিক ১৫ লাখ নারী তালাক প্রাপ্ত হয়।

স্বপ্নের আমেরিকায় গিয়ে যৌনক্রীতদাস

পারুলেরইন্দোনেশিয়ার ২৫ বছর বয়সী তরুণী শান্দ্রা ওয়োরুন্থ। শিক্ষিত এই এক সন্তানের জননী হঠাৎ করেই নিজ দেশে ব্যাঙ্কের চাকরি হারিয়েছিলেন। সংবাদপত্রে যুক্তরাষ্ট্রে একটি কাজের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন পাঠান। তিনি দ্রুতই মোটা বেতনের চাকরির উত্তরও পেয়ে যান।
তার ইচ্ছা ছিল স্বপ্নের দেশে ছয় মাস কাটিয়েই দেশে ফিরে আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রে আয় করা অর্থে ছোট্ট মেয়ের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবেন -এই আশায় বিমানে বসেছিলেন। কিন্তু তার স্বপ্নের সবটুকুই বদলে গেলো জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে নামার পরই।
শান্দ্রার নিয়োগকর্তাদের মধ্যে যারা বিমানবন্দরে তাকে নিতে এসেছিল। গাড়িতে ওঠার পরেই তাদের চেহারা বদলে গেল। শান্দ্রার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউইয়র্কের পতিতাপল্লীর অন্ধকারে।
তারপরের কাহিনীটা শুধু রোজ রাতে হাত বদলানোর। প্রাণের ভয়ে, নিরুপায় হয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একেরপর এক পুরুষের শয্যা সঙ্গিনী হতে বাধ্য হলেন।
এরকম দুঘর্টনার শিকার শুধু শান্দ্রা নন। মার্কিনি মিথ্যে স্বপ্নের অন্ধকূপে তৃতীয় বিশ্বের মূলত এশিয়া-আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া অগণিত মেয়ে জমা হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাদের যৌনক্রীতদাসে পরিণত করা হয়। মাঝে মাঝে আমেরিকার বাইরে বিভিন্ন দেশে তাদের পাচারও করা হয়। তাদের অনেকেই অমানবিক যৌন হিংসার কবলে নিজেদের মানুষ বলে ভাবতেই ভুলে যায়। পড়ে থাকে শুধু শরীর আর সেই শরীরের বিশেষ কিছু অংশ।
২৫ বছরের শান্দ্রাই সেখানে থাকা মেয়েদের মধ্যে বয়সে সব থেকে বড়। বেশির ভাগই সদ্য কিশোরী। অনেকে এতটাই ছোট যে নারী হিসেবে তাদের আলাদা সত্ত্বা এটা তারা ভাবতেই শেখেনি।
শান্দ্রার বর্ণনায়, নিউইয়র্কের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে সারি বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় এইসব মেয়েদের। তারপর সেখান থেকে ক্রেতারা পছন্দমত কিশোরীকে এক রাতের জন্য বেছে নেয়।
এর শিকার শুধু মেয়েরাই নয়। পুরুষরাও যৌন ক্রীতদাস হিসাবে `দুঃস্বপ্নের` মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হয়। রেহাই পায় না শিশুরাও।
এক ক্যাসিনো থেকে আর এক ক্যাসিনো, এক পল্লী থেকে আরেক পল্লীতে ঠিকানা বদলায় তাদের ঘষা কাঁচের গাড়িতে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গী বা সঙ্গিনী হওয়া ছাড়া বাইরের জগতের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না। দিন-রাত, সবটুকুই ঢাকা শুধু নিকষ অন্ধকারে। তাদের বেশিরভাগই সময়ের হিসাবটুকু কষতেই ভুলে যান।
শান্দ্রা সাথে আরেক মেয়েকে নিয়ে একদিন দুই তলা এক হোটেলের জানলা দিয়ে লাফ দিয়েছিলেন। অদ্ভুতভাবে তারা বেঁচেও যান।

অবৈধ সন্তান

আমেরিকার জৈনিক বিশেষজ্ঞ মুহানী বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো এক গবেষনা করেছেন। তাতে তিনি এক পর্যায়ে বলেন,শ্বেতাংঙ্গ লোকদের মধ্যে অবৈধ সন্তানের ব্যাপকতা অনেক। ১৯৬০ সালে এই নোংরামী কৃষ্ণাঙ্গদের এলাকায় আসে। তখন মুহানী বিপদ সংকেত বাজিয়ে বলেছিল, যদি এই নোংরামী বন্ধ করা না হয়, তবে কৃষ্ণাঙ্গদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। ১৯৯১ সালে ১২ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম হয়েছে। গত দিন জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যা ৩০%, কৃষ্ণাঙ্গ ৩২%, শ্বেতাংঙ্গ ২২%। টাইমস এর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ২০ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৬৩ সালে ২০ লাখ জারজ সন্তান জন্ম নেয় পরবর্তী বছরে সাড়ে তেইশ লাখ। বর্তমানে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জারজ সন্তানে গিজ গিজ করছে।

অপরাধের দেশ

আমেরিকা তো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। সেখানে ১৯৬৫সালে ৫০ লাখ অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে।অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় বিপদজনক অপরাধের বৃদ্ধির পরিমান ১৪গুণ বেশি। অপরাধ বৃদ্ধির শতকরা হার ১৭৮% তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতকরা হার ছিল ১৩% ছিল। প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি অপরাধ সংঘঠিত হয়। প্রতি ঘন্টা পর একজন লোক খুন হচ্ছে, প্রতি ২৫ মিনিটে একটা করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, প্রতি মিনিটে একটি চুরির ঘটনা ঘটছে, প্রতি ৫ মিনিটে ১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ১৯৫১ সালে ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩০ জনে ১টি খুন। ১৯৬০ সালে ৫জন, ১৯৬৭ সালে ৯জন। প্রতি মিনিটে একটি হত্যাকান্ড, আটটি চুরির ঘটনা, মাসে পচিশ হাজার কার চুরি হয়। আমেরিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জাতীয় ঘটনায় কেবল ২০১০ সালে আমেরিকায় ১,৬০০ শিশু মারা গেছে।

অস্ত্র আর শিশু নিযাতনের দেশ

যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার শাসনামলে অস্ত্র বিক্রি সাংঘাতিক পরিমাণে বেড়ে গেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রাইফেল এ্যাসোসিয়েশন চার বছর আগে দেশটির ইতিহাসে বারাক ওবামাকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিরোধী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছিল কিন্তু এখন বাস্তব ঠিক তার উল্টো।

চাহিদা এত দ্রুত বাড়ছে যে অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তা সরবরাহ করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। বার্তা সংস্থা এপির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত কুড়ি বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত অস্ত্রের ডিলার সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে। বাড়ছে লাইসেন্সের সংখ্যাও।

তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নতুন করে অস্ত্র আইন নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষেও নয়। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন সন্ত্রাস মোকাবেলা অস্ত্রের ব্যবহার যত কম করা যায় ততই মঙ্গল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব এ্যালকোহল, ট্যোব্যাকো, ফায়ার আর্মস এন্ড অস্ত্র এবং এক্সপ্লোসিভস বলছে ২০১০ ও ২০১১ সালে ৫০ হাজার ৮১২ টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী ফ্রেডরিক প্রিন এক বছর আগে ছোট একটি দোকান দিয়ে শুরু করার পর এখন বলছেন, ব্যবসা ভালই চলছে। ওয়াউসাউতে তার দোকানে কর্মচারি বাড়াতে হচ্ছে আট জন আর স্পেস বাড়াতে হয়েছে দ্বিগুণ।

এদিকে শুধু অস্ত্র নয়, আমেরিকায় শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এ ব্যাপারে রুশ সংসদের নিম্নকক্ষ দুমায় পেশ করা এক প্রতিবেদনে কঠোর ভাষায় মার্কিন সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আমেরিকায় শিশুদের ওপর শারিরীক ও যৌন নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, পুলিশের নিষ্ঠুর আচরণ ও প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অসংখ্য লোমহর্ষক ঘটনা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়,আমেরিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জাতীয় ঘটনায় কেবল ২০১০ সালে আমেরিকায় ১,৬০০ শিশু মারা গেছে।

প্রতিবেদনটিতে মার্কিন পুলিশ সম্পর্কে বলা হয়েছে,প্রতি ১০০ পুলিশের মধ্যে অন্তত একজন অভদ্র আচরণ, যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণসহ নানা অপরাধী তৎপরতায় জড়িত। এ ছাড়া, বিশ্বের যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ কারাগারে রয়েছে তার অন্যতম হলো আমেরিকা এবং দেশটিতে ২২ লাখ নাগরিক কারাগারে আছে।

এক হিসেবে পৃথিবীর জনসংখ্যার ৫ ভাগ আমেরিকার মানুষ হলেও একই হিসেবে ২৫ ভাগ মানুষ দেশটির কারাগারে আটক রয়েছে।

আমেরিকার ‘বিশেষ’ বাহিনীগুলোকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা পরোয়া না করে ব্যক্তিগত ইমেইলের ওপর নজরদারির যে অসীম ক্ষমতা মার্কিন আইনে দেয়া হয়েছে তারও সমালোচনা করা হয় রুশ পার্লামেন্টের প্রতিবেদনে। এ ধরনের ক্ষমতা দেয়ার জন্য আদালতের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এ ধরণের নজরদারি ৩ হাজার গুণ বেড়েছে।
(সূত্র-রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম)

বিপদজনক শহর ওয়াশিংটন

আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন। যেখানে যুবকদের জন্য ১৬ জুলাই থেকে রাতে কারফিউ জারীর জন্য আইন করে ওয়াশিংটনের মেয়র স্বাক্ষর করেছেন। ঐ আইনের অধীনে ১৭ বছর ও তার চেয়ে কম বয়সী যুবকদের ঘুরাফেরা বে-আইনি ঘোষনা করা হয়েছে। উদ্দ্যেশ্য-রাতে যুবকদের ঘরে থাকতে হেেব। এ আইন না মানলে অর্থদন্ড জরিমান গুনতে হবে অভিভাকদের। ওয়াশিংটন ডিসির অপরাধ প্রবনতা কমানোর এ উদ্যেগ। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক শহন হল ওয়াশিংটন। ১৭ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক ‘খবর’ পত্রিকায়ও ওয়াশিংটন সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,আমেরিকা রাজধানী যেমন মর্যাদাপূর্ণ ঠিক তদ্রুপ নিকৃষ্টতম শহর যা চারিত্রিক সামাজিক ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিক থেকে একদম অধঃপতনের শিকার হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগারের দেশ

আমেরিকার রয়েছে বিশ্ব বন্দী জনগোষ্ঠীর ২৫ শতাংশ। আর কারাবন্দী মানুষের বাড়ার বিষয়টি অর্থনৈতিক ধসের বিষয়টি ও প্রমাণ করে।
এখন নজর দেয়া যাক যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার ব্যবস্থার দিকে। বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে বেশি এবং ইতিহাসেরও সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ২.৩ মিলিয়ন (২৩ লাখ) লোক কারাগারে আটক আছে। কারাভুক্তির এ হার এক লাখে ৭৬২ জন। ব্রিটেনে এ হার লাখে ১৫২ , কানাডায় ১০৮ এবং ফ্রান্সে ৯১ জন।
ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্য কারাগারের বন্দীরা সম্প্রতি খারাপ অবস্থা ও দীর্ঘ বন্দীত্ব থেকে নিষ্কৃতির জন্য অনশন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার ব্যবস্থা আসলেই যে এতো খারাপ এর মাধ্যমে সে চবিত্র ফুটে উঠতেছে।

ধর্ষণের দেশ

এফ.বি.আই এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সালে ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৫ টি ধর্ষণের কেস রির্পোট করা হয়েছে। আরো বলেছে যে, এ রির্পোট মোট ধর্ষণের মাত্র ১৬ ভাগ কেস রির্পোট করা হয়েছে। তার মানে ১৯৯০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৬৮ টি। অর্থ্যাৎ ১৯৯০ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭শত ৫৬ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯২-৯৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৯শতেরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি ১.৩ মিনিটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে একটা। মোট ধর্ষনের কেস রির্পোট করা হয়েছে ১৬%। যতগুলো কেস রির্পোট করা হয়েছে তার ১০% অ্যারেস্ট হয়েছে। মানে ধর্ষকদের মাত্র ১.৬% এরেস্ট হয়েছে। যারা এরেস্ট হয়েছে তাদের ৫০% মুক্তি পেয়েছে বিচার আগেই বিনা বিচারে। অর্থ্যাৎ মাত্র .০৮ শতাংশ ধর্ষকের বিচার হয়েছে। ১২৫টি ধর্ষণ করলে শাস্তি পায় মাত্র একবার। আর যাদের বিচার হয়, তাদের ৫০% শাস্তি পায় ১ বছরের কম কারাদন্ড। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমেরিকায় যত ধর্ষণ সংঘঠিত হয় তার বেশির ভাগই মানে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি ধর্ষণ সংঘঠিত হয় মাতাল অবস্থায়। আর এসব ঘটনার প্রায় সব অজাচার ঘটে। মানে বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে,ভাই-বোন ইত্যাদী এদের সাথে যৌনকর্ম। পরিংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ধর্ষণের দায়ে সাজা প্রাপ্ত অপরাধীরা জেল খাটার যখন মুক্তি পায়,তাদের শতকরা ৯৫ জনই আবার ধর্ষণ করে। (জাকের নায়েক লেকচার সমগ্র)

চারিত্রিক অধঃপতনে ধস নামছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

বর্তমানে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, আমেরিকার স্কুল সমূহে সংঘঠিত অপরাধের মাত্রা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়ার্ক টাইমসে জর্জ ডাইনের এক রির্পোটের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকার বিগত ১৫-১৯ বছরের মধ্যে প্রতি হাজার মেয়ের মধ্যে ৯৬% অবৈধ গর্ভবতী হয়েছে। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় ২,৭০,০০০ লোক এইডস এ আক্রান্ত। কঠোর আইনের বদলে “সর্তকতার সাথে প্রেম করো” ”সর্তকতার সাথে মহব্বত করো” বলে যুব সমাজকে উপদেশ দেয়া হয়।। হাই স্কুলের ৮৬% দশ বছর বয়সী ছাত্রী গর্ভবতী হয়। কলেজ ছাত্রদের উপর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যা ৬২০০ নারী ও পুরুষের মাঝে ৩২ টি ক্যাম্পাসে ৩ বছর পর্যন্ত চালানো হয়। খ্যাতনামা মনোস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ম্যারিকাস বলেছেন,ঐ ক্যাম্পাস সমূহে ২০% মেয়ের সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা ৮৭৩৪০ টি। আমেরিকায় হাই স্কুলে প্রতি ২ জনে এক জন মদ্যপ, চার জনে ১ জন সিগারেট পান করে, দশ জনে ১ জন হাশীশ ব্যবহার করে। প্রতি সাত মিনিটে একটি শিশু নেশা করার দায়ে গ্রেফতার হয়। প্রতি ২৭ সেকেন্ডে একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে মা হয়। প্রতি ৪৭ সেকেন্ডে একটি শিশু ধর্ষিতা হয়। প্রতি ৩৬ মিনিটে আগ্নেয়াস্তে এক জন লোক নিহত বা আহত হয়। জর্জ লিন্ডসে লিখেন, হাই স্কুলের ৪৯৫ জন অল্প বয়সী তার কাছে স্বীকার তারা ছেলেদের সাথে দৈহিক মিলনের অভিজ্ঞা লাভ করেছে, এর মধ্যে ১২৫ জনের গর্ভ হয়। মানব সভ্যতার জন্য নতুন এক ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি খবর দিয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেড সেভেন থেকে টুয়েলভ কাসের ছাত্রীদের অর্ধেকই যৌন হয়রানির শিকার। অন্তত গত শিাবছরের ওপর পরিচালিত গবেষণা রিপোর্ট তাই বলছে। যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের শতকরা ৮৭ ভাগের ওপর পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। গবেষণায় বলা হচ্ছে, ছেলেরা যেখানে শতকরা ৪০ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার সেখানে মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫৬ ভাগ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০১০-১১ শিা বছরে গড়পড়তা শতকরা ৪৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার। শতকরা ৪৪ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী বলেছে, তারা মানুষের হাতে নির্যাতিত হয়েছে।মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ সংখ্যা শতকরা ৫২ ভাগ। এরা সবাই শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আর শতকরা ৩৬ ভাগ অনলাইনে। এর বিপরীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রদের শতকরা ৩৫ ভাগ শারীরিক যৌন হয়রানির শিকার এবং ২৪ ভাগ অনলাইনে।

বিলুপ্ত হচ্ছে পরিবার প্রথা

আমেরিকার এক ম্যাগাজিনে ইবঃঃবৎ ঐড়সবং ধহফ ঊধৎফরহং তার পাঠকদের প্রশ্ন করেছিল আপনারা কি মনে করেন, আমেরিকার পারিবারিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে? ৭৬% জবাব ছিল হ্যা, ৮৫% লোক বিবাহের ব্যাপারে তাদের আশা পূর্ণ হয়নি বলে মত দেয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়,প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজন স্ত্রী বা মহিলা মারা যায় স্বামী বা বন্ধুর হাতে। টাইমস (২৩ মার্চ ১৯৮৭) আমেরিকায় প্রায় ১৫% বিবাহিত ব্যক্তি শারীরিক দিক থেকে সন্তান প্রজননে অক্ষম (টাইমস জানু,১৯৮৭)। আামেরিকান নারী সমাজ মাতৃত্ব এবং ঘর সামনোর দায়িত্ব ১৫ বছর পূর্বে ছেড়ে দিয়েছে। বিংশ শতাব্দির শেষ প্রান্তে পৌছে আমেরিকান বৃদ্ধিজীবিরা বলতে বাধ্য হচ্ছেন,বিংশ শতাব্দির সূচনা লগ্নে আমেরিকা যে বিষয়কে উন্নতির সোপান মনে করেছিল, তা বর্তমানে তাদের জন্য ধ্বংসের সোপান প্রমাণ হচ্ছে। টাইমসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি বছর আমেরিকায় ২৫ লাখ অবিবাহিত মেয়ে মা হয়
আমেরিকায় দৈনিক ৪ হাজার গর্ভপাত করা হয়, তন্মর্ধে ৬৫% ভাগ মহিলাই অবিবাহিত। ১৯৭৩ সালে আমেরিকার সুপ্্রীমকোটের গর্ভপাতকে বে-আইনী ঘোষনার পর বার্ষিক ১৫ লাখ গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে। বিগত ২০ বছরে ৩০ কোটি শিশুকে বংশচ্যুত করা হয়েছে। প্রতি বিশ সেকেন্ডে ১ টি গর্ভপাত ঘটানো হচ্ছে। আমেরিকার প্রতি ৫ জনে একজন পাগল। আমেরিকান সাড়ে চার কোটি মানুষ মস্তিস্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত । লেজকাটা ঘৃণিত ইউরোপ ও আমেরিকায় পরিবার প্রথা ভেঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে হাজার বছর এগিয়ে গিয়েও ধ্বংসোন্মুক্ত সভাতায় পরিণত হতে চলেছে। বিকৃত সভ্যতা ভেঙ্গে দিয়েছে মা-সন্তানের শ্রদ্ধার দেয়াল, পিতাকে কাছে না পাওয়ায় সন্তানের শর্য্যাসঙ্গী হচ্ছে মা। অসৎ পিতার যৌন লালসা পূরণে আপন কন্যা হচ্ছে অঙ্গশায়িনী। এ অনৈতিকতার ছোবলে ক্ষত বিক্ষত পশ্চিমা জগৎ। সেখানকার অসভ্য মানুষগুলো শান্তির জন্য হন্যে ঘুরছে। ৫০ বছর পূর্বে আমেরিকায় পারিবারিক বন্ধন ছিল, এখন তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়েছে।

অশান্তি থেকে বাচঁতে আত্মহত্যার ব্যাপকতা

সাপ্তাহিক টাইমস এর রির্পোটের শিরোনাম “সন্তানের আত্মহত্যা” এতে বলা হয়েছে,আমেরিকায় ১০-২০ বছর বয়সী যুবকদের আত্মহত্যার হার দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। ১৯৫০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা এখন তিন গুন বেড়েছে। ১৯৮৫ সালে লাখে ৬০ যুবক (তত সংখ্যক বড়রা) আত্মহত্যা করেছে। প্রতি বছর ১৩-৩০ বয়সী ৫ হাজার যুবক আত্মহত্যা করে। বিগত ১০ বছরে ইচ্ছাকৃত আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৩৫% ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.৬ ভাগ।

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×