চলো হঠাত্‍ করে যুদ্ধ ঘোষনা করি
বেশকিছু 'অ' যুক্ত শব্দের বিরুদ্ধে..
অন্যায়, অত্যাচার, অশ্লীলতা, অধর্ম(ধর্ম নিয়ে ব্যবসা), অশিক্ষা, অভাব,
অন্ধ-নেতা(দেখেও না দেখার ভান করে যারা), অবিচার, অশান্তি এবং আরো যত অন্ধকার আছে
সব ধ্বংস করে দেই বাংলাদেশের অভিধান থেকে!
উড়িয়ে দেই টিপাইমুখ বাঁধের অবৈধ পরিকল্পনা,
থামিয়ে দেই তেল গ্যাস ও অর্থের অপচয়,
গুড়িয়ে দেই জালের মত ছড়িয়ে থাকা অসহ্য সন্ত্রাস..
এইসব আজ কেন বলছি জানো?
আমার কবিতার অনুরোধে!
কবিতা নিঃশব্দে চিত্‍কার করছিলো-
'বোধহীন মেয়ে, তোমরা সবাই নির্বোধ.. একথা জেনে রাখো।
ওদিকে খসে পড়ে যাচ্ছে স্বাধীনতা আর বিজয়ের আনন্দ,
আর এদিকে তুমি সামনের ১৬ই ডিসেম্বরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেবে বলে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা লিখছো!
প্রতিদিন একটু একটু করে কালো রঙে ঢেকে যাচ্ছে গোটা মানচিত্র,
আর তুমি একটা দিনের জন্য লাল সবুজ নিয়ে মেতে উঠেছো!
দূষিত পরিবেশের কেন্দ্রে বসে প্রকৃতি নিয়ে কবিতা লিখে যাচ্ছো!!
তোমাদের লজ্জা করেনা?
জেগে উঠতে ইচ্ছে করেনা আরব বসন্তের মত?
এতদিনে স্বপ্ন দেখতে শিখেছো,
বাস্তবায়ন করতে শিখবে কবে?
অনেক তো হলো,
এখন দেশের জন্য কবিতা না লিখে
কবিতার মত দেশকে সাজাও...'
কি আর বলবো এর উত্তরে,
আমি.. মানে.. আমরা.. ইয়ে মানে.. যুদ্ধ কেমনে করে..
কি বলি.. ধুত্তেরি ছাই...
দেশ জাহান্নামে যাক, আমাকে আমার মত থাকতে দাও!
আমি অনেক চিন্তিত.. ১৬ই ডিসেম্বরের জন্য একটা ফাটাফাটি দেশের কবিতা লিখতে হবে!!!