কম্পিউটার এ বসে গান লোড দিচ্ছিলাম। গান লোড দেওয়ার দোকানে যা হয়, তেমনই মানুষের পছন্দমত গান দিচ্ছিলাম। আর জিজ্ঞেস করছিলাম "আর কি দেব?"
লোড দিতে দিতে একসময় একজনকে জিজ্ঞেস করলাম "মেমরিতে কি দেব?" সে মুখ কাঁচুমাচু করে বলল "জিনিস দেন"। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম "জিনিস দেব মানে?"
সে ইনিয়েবিনিয়ে যা বোঝাল, তাতে বোঝা গেল সে তার মেমরিতে পোর্ন ভিডিও দিতে বলছে।
পুরোপুরি বুঝে উঠার পরে আমি ছেলেটার দিকে তাকালাম। এগার থেকে বারো বছর বয়স হবে। আবার এরচেয়ে কমও হতে পারে। আর এই বয়সেই এসে পোর্ন ভিডিও লোড দিতে চাচ্ছে!!
এইরকম ঘটনা এরপরেও দুই একজনের সাথে ঘটেছিল। কিন্ত আমি তাদের মেমরি লোড দেই নি। কারন মন থেকে সায় দেয় নি।
কিন্তু ইন্টারনেটে এই ধরনের কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। এই ধরনের অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে ভিজিটরের মধ্যে অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু তারা অহরহ এইসব ভিডিও ডাউনলোড দিয়ে দেখতে পারছে।
কিছু ওয়েবসাইট এ হয়তো জিজ্ঞেস করে "আপনি প্রাপ্তবয়স্ক হলে এখানে ঢুকবেন। নাহলে ঢুকবেন না" ওখানে যদি অপ্রাপ্তবয়স্করাও ঢুকে পরে তবুও কোম্পানি জানবে না। কারন তারা তো সরাসরি বয়স দেখতে আসে নি।
ইউটিউব এ এইসসব ভিডিও চালু করতে লগ ইন করতে হয়। যেই ইমেইল দিয়ে লগ করতে বলা হয়, সেই ইমেইলের বয়স দেখা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক নাকি অপ্রাপ্তবয়স্ক সেটা ওখান থেকেই যাচাই করা হয়।
তবুও অপ্রাপ্তবয়স্করা ওই ঠিকই ভিডিওগুলো দেখতে পায়। কারন, ইমেইল খোলার সময় অনেকেই বয়স বাড়িয়ে দেয়।
ফেসবুকেও অনেক পেজ আছে,যেগুলোতে পোর্ন ভিডিও, ছবি দেখা যায়। এগুলোও অপ্রাপ্তবয়স্কদের কবলেই বেশি থাকছে। যেটা বন্ধের চেষ্টা হলেও চালু করার চেষ্টাও চলে।
আমাদের দেশে পোর্ন দেখার জন্য কোন বাঁধাধরা বয়স নেই। কোন নিয়মকানুন নেই। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের মত হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এই পোর্নগুলো অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুস্থ মস্তিষ্ককে অসুস্থ করে দিচ্ছে। যেটা আমাদের তরুন সমাজকে অনেক খারাপ পথে পা বাড়াতে বাধ্য করছে।
এই ভিডিও দেখেই অনেকে চলে যাচ্ছে যৌনপল্লিতে,আরো অনেক জায়গায়। কিন্তু তাদের এসবের বয়স হয় নি। তবুও তারা এদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
এউসব পোর্নভিডিও, পোর্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুকে পোর্ন পেজ এগুলো থাকবে এভাবেই। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্করা এইসবের কবলে পরলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৮