somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষবেলায় স্মৃতিচারণ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই যদি তা বোঝা হয়ে ওঠে তখন জিনিসটা কেমন দেখায়? আমার তো বেশ মজারই মনে হয়।এই তো সেদিনকার কথা।তোমার আমার প্রথম কথা,কয়েকমাস পর প্রথম দেখা।আজ তো প্রায় চারটে বছর পেরিয়ে পাঁচে পা দিতে চলেছে আসছে রমজানে।এত পবিত্র একটা মাসে আমাদের পরিচয়।জানো সেবারও ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ছিল।কি জানি মনে আছে কিনা তোমার।প্রথম দেখায় যেন মুখ ফেরাতেই পারছিলাম না।কেমন কেমন জানি লাগছিল।আজ বেশ পরিপক্ব। সেই সময় গুলো বেশ ভাবায়।আর ভাবের অন্তরালে তো কখনও হাসায় আবার কখনও কাঁদায়।যাকগে সে সব বাদ দিয়ে একটু আত্মনজরবন্দি ধরনের কথা বলাই শ্রেয় বোধহয়।

আচ্ছা তোমার কাছে ভালোবাসা শব্দটা কেমন লাগে? কি বলবে জানি আমি। কিছু খারাপ আর দুঃসহ অতীত।তা না হয় বাদ দেই।যা যাবার তা তো যাবেই আর যা হওয়ার তা তো হবেই। সবই কেবল মায়া বাড়ায়।এই তো আমার কথাই বলি একটু। আমার কাছে ভালোবাসা কোনো একক শব্দ নয়।এর মধ্যে অনেকগুলো শব্দ অন্তর্নিহিত আছে।ভালোলাগা,আবেগ,প্রেম,সহনশীলতা,প্রতিশ্রুতি।অনেকেই ভাবতে পারে বিশ্বাস কোথায়? এইটা তো আসল। আসলে সম্পর্ক এবং বিশ্বাস একে অপরের পরিপূরক। যাই বলো আর তাই বলো ভালাবাসা বিশ্বাসের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়।আমাদের সম্পর্কে সবই ছিল।

জানি না এখন কেমন আছ। অনেকদিন হয়ে গেছে কথা হয় না। দুজনই ব্যস্ত।তুমি একটু বেশি। তাই আর ব্যস্ততায় কাটা হতে চাই না বলে কথা হয় না।তাই বলে ভেবনা রাগ করেছি।


মনে পড়ে কি তোমার আমাদের রঙিন অতীত গুলো? কত না কথাই হতো।ফজরের নামাজের জন্য ফোন দিয়ে তোমার আমাকে ঘুম থেকে উঠানো। আমাদের মধ্যে মাঝে মাঝে সৃষ্টি হওয়া কিছু রাগ।কয়েকদিন কথা না বলা।আবার আপনিতেই ঠিক হয়ে যাওয়া।


দুজনের মধ্যকার দুরত্ব কেবল দুরত্বই বাড়ায়।সম্পর্কের দুরত্বটা আবার ঠিক তার ব্যস্তানুপাতিক। এতে মায়া বাড়ে,কাছে আসার আকাঙ্খা বাড়ে।যা আজ আমাকে প্রবলভাবে ঘিরে ফেলেছে।তোমারও কি একই অনুভূতি?


জানো আমার পক্ষে এই কটা বছর একদিনও তোমায় ভুলে থাকা সম্ভব হয়নি।কতটা ভালোবাসা তা হয়তো বুঝো। আর যদি বুঝে না থাক তবে তা আমার ব্যর্থতা।
আমি রোজ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি,আর তোমায় খুঁজি।জানো তুমি কিন্তু আজও আছ। আর কাউকে দেইনি ঠাঁই।


"তুমিই আমার স্বপ্নে দেখা আঁধারের আলো জাগিনী
হ্যাঁ সেই তো তুমি,সেই স্বপ্নময়ী।
তুমিই তো প্রথম,জানার জগৎ জুড়ে পাইনি তো আগে,
এই তো তুমি আমার প্রথম আগমনি।"


মনে আছে কি আমাদের প্রথম বেড়াতে যাবার কথা? কতটা দূরে গিয়েছিলাম আমরা।এতটাই অজানায় গিয়েছিলাম যাতে জানা কেউ পারে নি ছুঁতে।বিশ্বাস কর আইসক্রিম খেতে যে এতটা মায়াবী সেদিন তোমায় না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।সেইদিন তুমি বলেছিলে আজ যদি বৃষ্টি হতো কতই না ভালো হতো। দুজনে একসাথে ভিজতাম। আমি কি বলেছিলাম মনে আছে?

আমি বলেছিলাম-“দেখ আমি কোনোদিনই একদিনের আনন্দে বিশ্বাসী না।আজ যদি বৃষ্টিতে ভিজে তোমার ঠান্ডা লেগে তা থেকে জ্বর হয়? এতে যদি তুমি আগামী কদিন বাসা থেকে বের না হতে পার? তাহলে আর কতদিন তোমাকে না দেখে থাকতে হবে তা কি ভেবে দেখেছ একবার?”

দেখ আজ তাই হলো।কথাও হয় না আজ।শুধু প্রেক্ষাপট ভিন্ন।


ভালোলাগার সম্পর্কটাকে ভালোবাসায় রুপ দিতে নিয়েছিলাম।বুঝিনি তা এত বড় ঝড় বয়ে আনবে।সম্পর্কের আগেই ভালোবাসায় জড়িয়ে গেলাম।যা সত্যিই বেদনাদায়ক।না পাবার অনুভূতিটা দুমড়ে মুচড়ে শেষ করে দিবে।আর ঠিক তখনই বুঝে ওঠার আগেই ভালোবাসার পিছুটান অনেক বড় বোঝা হয়ে যায়। যা সামলানো সত্যিই বড় দায়।

তবে জানি দেখা হবে,কথাও হবে একদিন।সেদিন আবার এতটাই কাছে আসব যে আমাদের আর কেউ দূরে সরাবে না।ভালো থেকো তুমি তোমার মতন করে।আসব একদিন তোমার কাছে, দেখা হোক তোমার সাথে এই কামনাই সৃষ্টিকর্তার নিকট।


দেখ আজ তোমার ইচ্ছাই পূরণ হচ্ছে।প্রতিদিনকার মতো তোমার কাছেই ফিরে আসা।দেখ আকাশ থেকে কিভাবে বৃষ্টি ঝরছে। ফুল হাতে তোমার দেওয়া সাদা পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে ভিজতেছি সাদা থানে মোড়ানো তোমার সাথে।দেখ তোমার পাশে দাঁড়ানো গাছটিতে কত সুন্দর করে সেজেছে তোমার পছন্দের লাল টকটকে কৃষ্ণচূড়া। ওদের ঘ্রাণও কি তুমি পাও না?কাছে থেকেও কত দূরে তুমি,বড্ড একা লাগে আমার।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×