somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনলিপিঃ গ্রীষ্মের সকালে শীতের পরশ (কানাডা জার্নাল-৫)

২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ সকালের আকাশটা....
সকাল আটটা আট, ২২ জুন ২০২৩

গতরাতে একটা দাওয়াত থেকে ফিরে আমাদের ঘুমাতে ঘুমাতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল। সময়মত স্কুলে যাবার জন্য আনায়াকে সকালে আটটার মধ্যেই উঠাতে হয়। তাই সবার আগে ওকে ঘুম পাড়ানো হলো; আমাদের ঘুমাতে ঘুমাতে রাত দেড়টা বেজে যায়। সকালে আদনান প্রথমে উঠে আটটার সময় অফিসে চলে গেল। অন্যান্যদিন সে-ই আনায়াকে ঘুম থেকে তুলে দেয়। যেদিন আনায়ার শয্যা ত্যাগ করতে ইচ্ছে করে না, সেদিন সে আব্দার ধরে ওকে কোলে করে উঠাতে। আজ আমিই ওকে ঘুম থেকে উঠাতে গেলাম। কিছুতেই সে চোখ খুলবে না। মিনিট দশেক কসরৎ করে ওকে রাজী করালাম। কিন্তু ও আব্দার ধরলো কোলে উঠতে। ফ্রোজেন শোল্ডারের ব্যথার কারণে ওকে কোলে নিতে পারি না। তাই ওকে বললাম পিঠে উঠতে। সে বিছানায় দাঁড়িয়ে এক লাফে পিঠে উঠে গলা জড়িয়ে ধরলো। আমি ওকে ওয়াশরুমের সামনে নামিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে নিতে বলে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালাম। অফিসিয়ালি কানাডায় এখন গ্রীষ্মকাল হলেও, বারান্দায় এসে অনুভব করলাম বাহিরে শীতল বাতাস বহমান, অনেকটা আমাদের দেশের 'বহে মাঘ মাসে শীতের বাতাস' এর মত। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে চলছে মেঘ আর সূর্যের মাঝে লুকোচুরি খেলা। এমন শীত শীত সকাল আমার ভালোই লাগে। কিছুক্ষণ শীতল আবেশে দাঁড়িয়ে থেকে উদার আকাশের একটি সুন্দর নৈসর্গিক শোভাকে চক্ষুর শীতলতার জন্য সেলফোন ক্যামেরায় বন্দী করলাম। যেমনটি করেছিলাম গত পরশুদিন সন্ধ্যায়, পূব-আকাশে ওঠা মনোমুগ্ধকর একটি রঙধনুর শোভাকে।


ডিভাইসঃ আই-১৩, চিত্রগ্রাহক লেখক স্বয়ং
স্থানঃ রিজাইনা, কানাডা

সময়ঃ
সকাল আটটা আট, ২২ জুন ২০২৩ (মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি খেলা)
সন্ধ্যা নয়টা বার, ২০ জুন ২০২৩ (পূব-আকাশে রঙধনু)


গোমরামুখী আকাশটা....
সকাল আটটা আট, ২২ জুন ২০২৩


"গল্প করার এই তো দিন, মেঘ কালো হোক, মন রঙিন,
সময় দিয়ে হৃদয়টাকে বাঁধবো নাকো আর"....
সকাল আটটা আট, ২২ জুন ২০২৩


অকস্মাৎ উদ্ভাসিত পূব-আকাশে রঙধনু.....
সন্ধ্যা নয়টা বার, ২০ জুন ২০২৩


"রামধনু জ্বলে তার গায়".....
সন্ধ্যা নয়টা বার, ২০ জুন ২০২৩


রঙধনুর অর্ধবৃত্ত.....
সন্ধ্যা নয়টা বার, ২০ জুন ২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৯
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×