বিশ্বের প্রতিটি দেশেই কিছু না কিছু অন্যায় করে মানুষ। তাই বলে আমাদের দেশের মতো এতো অন্যায় না, এতো দুর্নীতি না, এতো অপরাধ না। বাংলাদেশের মানুষ যে কাজে হাত দিবে সেখানেই অন্যায়, সেখানেই দুর্নীতি। বলতে গেলে মানুষ পদে পদে প্রতিনিয়ত অন্যায় কাজের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। যদি এই ভাবে দেশ চলতে থাকে তাহলে আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ধ্বংসের মুখের উবরে পরবে।
গত দু’দিন যাব পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট নামে দেশে যে বিশৃৃংঙ্খরা সৃষ্টি করেছে তার পিছেনে কারা দায়ী? কে তাদের এই ভাবে উসকানি দিয়ে রাজপথে নামিয়েছে? ওরা অন্যায় ভাবে, অবৈধ ভাবে গাড়ি চালিয়ে, মানুষ মারে, মানুষের জীবন পঙ্গু করে দেয়। এতো কিছু দেখে কি মানুষ বসে বসে ওদের বাহ বাহ দিবে! এটাই চায় ওরা। ওরা মুর্খ্য লেখাপড়া জানে না, ওরা গাড়ি চালায় আর মানুষ মারে। এই রকম মুর্খ্য ড্রাইভার দিয়ে কোনো দেশে গাড়ি চালানো লাইন্সেস দিবে তো দূরের কথা, গাড়ি মুছার কাজেও লাগায় না।
দেশের ১৮ কোটি মানুষ চেয়েছে ওদের উপযুক্ত আইন হোক, সেটা হয়েছে সংবিধানে সেই আইন উঠেছে। কিন্তু আজ ওরা ওটাকে ভাঙ্গতে বলে। ১৮ কোটি মানুষ যা চায় তাই হবে দেশে, ওদের মতো ১০ জন মূর্খ্যরা যা চায় সেটা কি ভাবে হতে দেওয়া যায়। ওরা ২১ দফা দাবি করেছে তার মধ্যে কয়েকটি হলো- বাসের নিচে মানুষ চাপা পরে মরলে ড্রাইভারকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া যাবে না, পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমান দিবে না, জেলে থাকা ড্রাইভারদের জামিন দিতে হবে, অষ্টম পাশ নয় পঞ্চম পাশ ড্রইভার নিয়োগ দিতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এতো সাধনার পর দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি আদায় করেছে সরকার। দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সংবিধান। আর সামান্য কয়েজন মুর্খ্যের দল রাজপথে নেমে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করে তারপর ১৮ কোটি মানুষের দাবি অমান্য করে। এখন কথা হলো কে সেই ব্যক্তি যে ওদের সাথে যোগ দিয়ে ওদের রাজপথে নামিয়ে তারপর এই ১৮ কোটি মানুষের দাবি অমান্য করলো। তার কিসের এতো পাওয়ার! সরকারও কি তার কিছু করতে পারে না। কি করে সরকারে মুখের উপর বলে- সংবিধান ভেঙ্গে আবার নতুন সংবিধান গঠন করুন।
আজ যদি ১৮ কোটি মানুষের দাবির সংবিধান ভেঙ্গে সামান্য কয়েকজনে ড্রাইভারের দাবিদাবা মেনে নেন সরকার, তাহলে মনে করবো এই দেশ আর স্বাধীন দেশ রইলো না। এই দেশ এখন অন্যায়কারী আর জুলমকারীদের দেশ।
আমরা ১৮ কোটি মানুষ আমরা যেটা বলবো সেটাই হবে দেশে। আমাদের চাওয়া সীমিত ,আমাদের চাওয়া ন্যায়, আমাদের চাওয়া খাটি। আমরা কখনো কোন মানুষকে চাপে ফেলতে চাই না, কোন মানুষকে মেরে ছিনিয়ে আনতে চাই না। আমরা চাই শান্তি, দেশের শান্তি, দেশের ভালোবাসা। তাই সরকারের কাছে আমার বিনিত অনুরোধ তিনি যেনো আমাদের দাবি ভেঙ্গে অন্যায় দাবি মেনে না নেন।
আজ যদি শ্রমিকরা ভাড়া ভারানো জন্য রাজপথে দাবি নিয়ে নামতো তাহলে আমাদের কিছু বলার থাকতো না। জীবন বাঁচাতে হলে ওরা এটা করতে পারে। কিন্তু ওরা জীবন বাঁচাতে না- “মানুষ মারার লাইন্সেস চাইছে সরকারের কাছে” ওদের জন্য একটি সাত মাসের বাচ্চা পর্যন্ত মারা গেছে চিকিৎসার অভাবে। ওরা কলেজ ছাত্রীদের গায়ে কালো পোড়া মবিল ছুরে মারছে। এতো বড় সাহস ওরা কোথায় পেলো। এর উপযুক্ত বিচার যেনো হয়।
ওরা মানুষের সাথে অনেক অন্যায় করে- অবৈধ গাড়ি চালায়, বেশি বেশি ভাড়া নেয়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচারণ করে তবুও কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। ছেড়ে দিয়েছে ওদের যা ইচ্ছা ওরা তাই করুন। তাই বলে “মানুষ মারার লাইন্সেস”। এটাতো মানা যায় না। এতো দূর তো ওরা আগাতে পারে না। কে, কে ওদের এতো দূর আগানো সাহায্য করছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১