somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আপুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । কথাগুলো একান্তই আমার বেক্তিগত জীবনের এবং সত্য কিছু কথা । হয়তো শুনতে কারো বিরক্ত লাগতে পারে কিন্তু স্থির হয়ে চিন্তা করবেন , আশা করি বুঝবেন ।

ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত এমন কোন বিকেল ছিলোনা যে আমার মন খারাপ হয়নি । আমি খুব চুপচাপ ছিলাম , তেমন কারো সাথে মিশতাম না তাই তেমন বন্ধুও ২/১ জন ছাড়া ছিলোনা । আমাকে এলাকার ছেলেরা এত বিরক্ত করতো যে না পারতাম ছাদে যেতে , না উঠোনে ! কোচিংএ যখন যেতাম একেক দিন একেক জন ফলো করতো ! অনবরত পিছন থেকে কথা বলতে থাকত , আমি চুপ করে মাথা নিচু করে আমার মত চলে আসতাম । আমি কখনই কারো কোন পাল্টা উত্তর দিতাম না আর এটার জন্যই আমাকে কেউ বিরক্ত করতে আসলে সেই একসময় বিরক্ত হয়ে চলে যেতো । :D আমার কিছু করা লাগত না :D কিন্তু আমি এতো কন্সাস ছিলাম তবুও অনেকের কাছে অনেক কথা শুনতাম । কেউ আমার সামনে বলতনা কিন্তু পিছনে বলতো আমি নাকি অনেক ছেলে ঘুরাই , হাজার প্রেম করি ব্লা ব্লা । তখন খুব খারাপ লাগতো যে যারা এগুলো বলতেছে তারা দেখছে আমার পিছনে ছেলেরা ঘুরছে , এটা বুঝত না যে আমাকেই ওরা ডিস্টার্ব করতেছে । গুটি কয়ক ছেলেদের এক্মটা বাজে অভ্যাস হল আঙ্গুর ফল টক এই জাতীয় । যখন পাত্তা পেতনা তখন সারা দুনিয়া ওই মেয়ের নামে বদনাম শুরু করে ! মাঝে মাঝে খুব কাঁদতাম কারন আমাকে নিয়ে এতই খারাপ কথা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে ছিল যে কেউ আমাকে নিয়ে ভাল কথা বললেও তাকে আমার সন্দেহ হতো ! আম্মুর সাথে কিছু শেয়ার করতাম যে আমিই কেন !! মা একটাই ডায়লগ দিতো যে দেখ আমরুল জামরুলে কেউ ঢিল মারে না ; সব ঢিল ফজলি আমেই পড়ে । তখন বুঝতাম না মানে তা কি আসলে :|
আমি এতই মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গেছিলাম যে কিছু বলার নাই । এক ভাইয়া আমাকে পড়াত সে আমাকে খুব বুঝাতো যে আমি তো জানি আমি কিছু করিনি । সুতরাং নিজের কাছে সৎ থাকো তাহলেই হবে । তার অনেক হেল্পে আমি পরে নিজেকে সামলে নিয়েছি। এরপর কলেজে উঠার পর , আবার আমিই সকল প্রবলেমে ! আমি কিছুই করতাম না কিন্তু ঘুরে ফিরে কিভাবে যেন আমিই পরে যেতাম ! এমনও দিন গেছে যে পড়তে যাচ্ছি স্যারের বাসায় , সিঁড়িতে ছেলে ছুরি নিয়ে দাঁড়ায় আছে কেন আমি রেসপন্স করিনা ! রাস্তায় হটাত করে রিকশা থামায় দিতো , বাসায় ফুল চিঠি পাঠাতো , ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিতো অনেক কিছু ! অনেক কিছু পার করে এসেছি !! এত যে ধৈর্য আমার , আমি নিজেই জানতাম না! যাইহক এতো গুলো কথা বলার মূল কারন হচ্ছে ঠিক এই ইভটিজিং এর কারনে আমার বয়সী অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করছে । খবরের কাগজে প্রায়ই পাওয়া যায় বখাটেদের যন্ত্রণায় আত্মহত্যা । যখন এগুলো পড়ি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয় । যে নাহ আমি হার মানিনি , কটাক্ষ শুনতে শুনতে এতই শক্ত হয়ে গিয়েছিলাম উলটো পরে আমাকেই ছেলেরা ভয় পেতো ! ;)
তাই, আপুদের বলছি এমন অনেক কিছুই হবে , অনেক কিছুই শুনতে হবে যা আপনি স্বপ্নেও ভাববেন না যে আপনাকে নিয়ে মানুষ এত বাজে কথা বলছে ! তবুও এমন ভাবে নিজেকে গড়ুন যে দুনিয়া এক পাশে আপনার বিরুদ্ধে কথা বললেও আপনার যেনও কিছুই না আসে যায় । কখনই বখাটেরদের প্রশ্রয় দিবেন না । সব নিজের দোষ ভেবে মন খারাপ করবেন না। আমার পাশের বাসার একটা মেয়েও সেম কাহিনী তে সুইসাইড করেছিলো । হয়তো ওকে সাপোর্ট দেয়ার কেউ ছিলনা । তাই , এমন একজন কে বেছে নিন যেন সে সব সময় আপনাকে সাহস যোগায় । যেমন আমার আম্মু ছিল । :) সাড়া পৃথিবী উলটিয়ে যাক কিন্তু আপনি আপনার কাছে সৎ থাকুন তাহলেই হবে । কষ্ট পেয়ে কখনই ভুল সিদ্ধান্ত নিবেন না । চলার পথে আগাছা থাকবেই , আর আমাদের বাংলাদেশের অবস্থাই এখন এমন হয়ে গেছে । তাই নিজের ঢাল নিজে হওয়া ছাড়া উপায় নাই । :(
পজিটিভ মাইন্ডের বন্ধু বানান । অনেক বই পড়ুন , যেন কোন বিকেল কোন ছেলের বাজে কথায় না কেটে চার্লি চ্যাপলিনের হাসিতে কেটে যায় । ভালো চিন্তা করুন , উন্নত মন মানসিকতার অধিকারী হন , পৃথিবীটা বদলে দিন . :) :)
৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×