somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসমাপিকা,১৩শ পর্ব

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১২শ পর্ব Click This Link

একই বাড়ীর দোতলা আর তিনতলায় দুইভাইয়ের পরিবারের বসবাস । রুমানার বিয়েতে আত্মীয় স্বজনের আসা যাওয়া লেগেই আছে । এর মাঝে লীনা ইউনিভার্সিটি ঘুরে এসেছে দরকারী ক্লাসগুলো মিস করতে চায় নি বলে । দীপু জানে চাচাতো বোনের বিয়ের জন্য বাড়ী যাবার তাড়া থাকে লীনার , তবু ভাবে কি হয় আরো কিছুক্ষন থাকলে ক্যাম্পাসে । পাশে না থাক্ , ক্যাম্পাসে লীনা থাকলে দেখা হবার সম্ভাবনা থাকে । মুখ ফুটে কিছু বলে না । নিজেকে বোঝায় কটা দিন মাত্র , তারপর আবার লীনা অনেকটা সময় তার আশে পাশে কাছাকাছি কোথাও থাকবে ।
লীনা বেশ আনন্দে আছে, বাড়ীর প্রথম বিয়ে বলে কথা । তা'ছাড়া সানোয়ার সাহেব শর্ত মেনে বসে আছেন অপেক্ষায় যে তার ছেলে রাকিবের বিয়ে হয়ে গেলে এ বাড়ী ভেঙ্গে ফেলা হবে , আধুনিক বিলাসবহুল
অ্যাপার্টমেন্ট উঠবে এখানে । লীনা ভেবে কোন কূল কিনারা পায় না , তখন কেমন হবে এখানের পরিবেশ ! কারা থাকবে এখানে ? খুব একটা হৈচৈ শোরগোল জমবে , কি করে থাকবে ওরা এখানে । আর কে বা জানে লীনা আদৌ থাকবে কিনা এখানে তখন !
রুমানার বিয়ে বৌভাত সব শেষ হোল । লীনা খেয়াল করেছে এত সব অনুষ্ঠানের ভেতরেও রাকিব ভাইয়ার আলাদা একটা কেয়ার ছিল তার জন্য । তাই নিয়মিত ক্লাসে ফেরার পর দীপু যখন বলল, 'তুমি বোঝ কি বোঝনা জানি না, তোমার রাকিব ভাই তোমাকে পছন্দ করে এবং সেটা চাচাতো ভাইসুলভ নয় , আরো কিছু একটা আছে এর মধ্যে' তখন লীনা আরো দ্বন্দের মধ্যে পড়ে গেল । দীপু কেন এসব বলছে জানতে চাইলে দীপু জানাল রুমানার বউভাতে দাওয়াত ছিল বরপক্ষের আত্মীয় হিসেবে ক্লাসের মাহমুদের । সে লক্ষ্য করেছে সেদিন রাকিব বার বারই নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল লীনার দিকে এবং সে দেখায় অন্য কিছু ছিল । ইচ্ছে করেই মাহমুদ দীপুকে বলেছে, অবশ্য বলেছে সবটাই আরো যা যা যা তার মনে হয়েছে ।
লীনার ভাল লাগে না এসব কথা । নিজে থেকে বলে, রুমানা আপুটা নেপাল যাচ্ছে হানিমুনে, নিশ্চয় খুব মজা হবে ।
দীপু: বিয়ের পরে তুমিও নেপাল যেতে চাও ?
লীনা: নাহ্ , আমি যেতে চাই পারুল নদীর কাছে ।
দীপু: সেটা কোথায় ? কখনো শুনি নি পারুল নদীর কথা ।
লীনা: কুষ্টিয়ায় , নিয়ে যাবে ? আমার স্বপ্নের নদীর কাছাকাছি যাবো , বাস্তবে যাবো, ভাবতেই শিহরিত হচ্ছি ।
'এই নাও' বলে একটা কাগজে লিখে দিল ঠিকানা ; বললো , হারিয়ে ফেলবে না । এখুনি দিলাম যাতে খোঁজ নিয়ে রাখতে পারো ।
দীপু লীনার এমন ছেলেমানুষীতে মুগ্ধ হয়ে যায়, কেমন অদ্ভুত ধাঁতের মেয়ে ।

দিন বসে থাকে না, কেটে যেতে থাকে । রুমানা এখন অন্য বাড়ীতে থাকে বলে লীনার কেমন যেন লাগে । চাচীও প্রায় উদাস হয়ে যান । নববিবাহিতা রুমানারা বাড়ীতে এলে সবাই কেমন হাসিখুশী থাকে, চলে গেলে সবাই চুপ ।
একটা মেয়ে সংসারে জন্ম নিয়ে বেড়ে ওঠে সেখানে , সে একটা অংশ সেই পরিবারের । তারপর বিয়ের পর সে পরিবারের কি দশা হয় ? অনেকটা অঙ্গহানির মত । লীনা মাঝে মাঝে বিজ্ঞের মত নিজের চাচীকে, মাকে সান্ত্বনা দেয় " রুমানা আপু বিদেশে যদি পড়তে যেত তখন কি হোত? এখন তো ঢাকাতেই থাকে কতবার আসতে পারছে" ; ওর নিজেরই কেমন লাগে । তাছাড়া রুমানা বয়সে বড় হলেও এ বাড়ীতে বন্ধুর মত ছিল ওর ।
দেখতে দেখতে দিন গড়িয়ে যায় ।
সামনে মাস্টার্স পরীক্ষা, এর মধ্যে জানা গেল দীপুর বোন হাজবেন্ডের সাথে কানাডা চলে যাচ্ছে তিনমাস পর । ইমিগ্রশনের সব বন্দোবস্থ ফাইনাল । বোন হঠাৎ বায়না ধরল সে দীপুর বিয়েটা দেখে যেতে চায় ।
দীপুদের পরিবারেও কোন প্রস্তুতি নেই । তারপরেও ওরা দীপুকে বলেছে তার সিদ্ধান্ত জানাতে । অগাধ জলে পড়ে গেল সে , লীনাকে বললো বাধ্য হয়ে ।
শেষ পর্যন্ত রুমানার মধ্যস্থতায় কথাটা অভিভাবক পর্যন্ত গড়ালো ।
শুক্রবার বিকেলে লীনার বাবা , চাচা, চাচী সবাইকে পাওয়া যাবে বলে সেদিন পারিবারিকভাবে সবাই বসতে চাইল বিষয়টা নিয়ে আলাপ করবার জন্য, কিছুদিন আগে রুমানার বিয়ে গেল; তারপর অনেকটা হঠাৎ করেই এমন প্রস্তাব ।
জানে রাকিব সাধারনত: থাকে সে সময়ে তাই তাকে আগে ভাগে বলা হয় নি । শুক্রবার বিকেলে সবাই বসলো, রুমানা দুপুরেই জেনেছে রাকিবের একটা অফিসিয়াল ডিনারের জন্য বেরিয়ে যেতে হয়েছে ।
লীনার ফুফু এসেছেন, মামারা এসেছে । সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করলো বিয়ে নয়, এনগেজমেন্ট করে রাখা হবে ; সেটাও ওদের পরীক্ষার পর । দীপু একটা কোন কাজে ঢুকলে পরে এদিকে গুছিয়ে লীনার বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে । ফোনে দীপুর অভিভাবকদের এটা বুঝিয়ে বলা হল ।
লীনার যার সাথে বিয়ে হবে তার একটা পেশা থাকবেনা এটা অত্যন্ত বেমানান । দীপুদের রাজী করানো গেল ।
রাতে রাকিব বাড়ী ফিরতেই কে কার আগে খবরটা দেবে ! রিমি, রুমানা শুরু করলো একসাথে বলা ' লীনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, এনগেজমেন্টের তারিখ ঠিক করা হবে দুই একদিনের মধ্যে, দীপু ভাইয়ারা খুব তাড়া দিচ্ছে' এবং আরো কি সব অপ্রয়োজনীয় কথা ।
হ্যাঁ, অপ্রয়োজনীয় কথাই তো ! রাকিব শুধু হু হা করলো ।
রেহানা বললেন ,তুই বাড়ী ছিলি না, তোর মতামত জানা হোল না ।
রাকিব: আমার আবার কিসের মতামত ? আমি খেয়ে এসেছি । ঘুমোব আমি, টায়ার্ড ।

তারপর? রাকিব ঘুমুবে কি ভাবে ? কি করে ঘুমুতে হয় ? কখন কি করতে হয় ? সব গোল পাকিয়ে যায় । ফোন করে ইমনকে ' শোন্ লীনার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে দীপুর সাথে ; আমি কোথাও চলে যাবো , ব্যবস্থা কর '। তারপর ওদের বাড়ীতে এ বিয়ে সংক্রান্ত কি কি আলাপ হয়েছে জানাল ।
লন্ডনের বন্ধু শফিক এবং সুলতানাকে মেইল করলো একই ভাষায় ' লন্ডনে আমার জন্য কাজ রেডী করো, কামিং সুন ' ।
ও কেন এখানে থাকতে চাইছে না , কেন পালিয়ে যেতে চাইছে সে কথা শুধু বিস্ময়কর হবে নে হয়তো অনেকের কাছে হাস্যকর লাগবে ।
ওর নিজের কাছে আর কোন বিকল্প নেই । ও চলে যাবে ।
লন্ডনের স্বচ্ছল, সহজ , পরিচিত জীবন ছেড়ে পরিবারের সাথে চলে এসেছিল এই দেশে । দেশটাকে ভালবেসে , প্রিয় মানুষ তার মা রেহানার সাথে এখানে থাকতে চেয়েছিল । তখন কি জানতো একটা মেয়ের জন্য , তার আপন চাচাতো বোন মেয়েটার জন্য তাকে চলে যেতে হবে । মানুষ তার অনাগত দিনের কথা কি জানতে পারে ? পারে না । নির্নয় হয়তো করতে পারে নিশ্চিত হওয়া যায় না ।
লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ল । জ্বর আসছে মনে হল, উঠে ওষুধ খেতে ইচ্ছে করছে না , শুয়ে থাকল চোখ বন্ধ করে ।
হঠাৎ মনে হোল ছোট হাতের স্পর্শ ওর কপালে । হালকা রঙের হাটু পর্যন্ত লম্বা ফ্রক পরা ছোট মেয়েটিকে খুব যেন চেনা মনে হয় । হ্যাঁ লীনাই তো !
সেবার এসেছিল দেশে বেড়াতে সবাই লন্ডন থেকে,দাদী তখনও বেঁচে ছিলেন । তখন রাকিব স্ট্যান্ডার্ড সিক্সে পড়ত । দেশে আসবার কিছুদিন পরেই জ্বরে পড়ল সে । সবচেয়ে বেশী উৎকণ্ঠিত ছিলেন দাদী, জ্বরের তিনদিন কাছাকাছি ছিলেন । আর প্রায় সব সময়ে ওনার সাথে ছিল প্রিয় সঙ্গী লীনা ।একদিন দাদী কপালে জলপট্টি দিচ্ছিলেন, আরাম লাগছিল; তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিল কিছুটা সময় । হঠাৎ চোখ খুলে দেখে ছোট্ট লীনা তার ছোট ছোট হাতে কাপড় ভিজিয়ে ওর কপাল মুছে দিচ্ছে ।
আর লাগবে না দেওয়া বলতে থামল সে ।
রাকিব জানতে চাইল দাদী কোথায় ।
নামাজ পড়তে গেছে , তোমার জন্য অনেক দোয়া করবে বলেছে ; তুমি ভাল হয়ে যাবে ।
তারপর বিড়বিড় করে কয়েকবার কি যেন বলে লীনা ঝুকে ওর মুখে ফুঁ দিল । মনে হল অনেকটা থু থু ছিটিয়ে দিল ওর মুখের ওপর । ও ঠাস করে উঠে আম্মু আম্মু করে ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছিল ।
হো হো করে হেসে উঠল রাকিব আজ এতদিন পরেও সে সব কথা মনে করে ; উঠে বসে পড়ল । ডান হাতের তালু দিয়ে মুখটা মুছল যেন এখনও লেগে আছে মুখে । হয়তো আছে । অদৃশ্য হলেও কিছু দাগের এমন শক্তি , এমন শক্তভাবে বসে যায় যে কোনভাবে সে দাগ মুছে ফেলা যায় না ; সময় তার ওপরে আবরন টেনে দিয়ে লাগাম ধরে রাখে । ইচ্ছে মত সরিয়ে দেয় আবার ঢেকে দেয় ইচ্ছে মত ।
রাকিবের ইচ্ছে করছিল লীনাকে ডাকতে, ওর কাজিন সে ; কেন পারে না এসে ওর জ্বরতপ্ত কপালে একটু হাত রাখতে । নাহ্ বড় হয়ে গেছে লীনা, বড় হয়ে গেছে রাকিব । এখন অনেক সহজ কাজেও বাঁধা ।
থাক্ পড়ে এসব বিষয় । হয়ে যাক লীনার বিয়ে দীপুর সাথে । রাকিব খবর নিয়ে জেনেছে ছেলেটা আসলেই ভাল । সুখে রাখবে লীনাকে । আর ভাল লাগছে না । কোন যুক্তি তার গ্রহন ক্ষমতার ধারে কাছে আসছে না ।
চলে যাবে তাড়াতাড়ি , যত তাড়াতাড়ি পারা যায় এশহর ছেড়ে , এ দেশ থেকে ।

চলবে ....
পরের অধ্যায় Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×