জায়গার মায়া থাকেনা মানুষের মায়া থেকে যায়; আবার কখনো কখনো মানুষ গুলির উজ্জ্বল উপস্থিতির মাঝে ফেলে আসা স্থানের প্রকৃতি ও মন কে উদাস করে দেয়। মুম্বাইয়ের বর্ষা আমাকে টানত,ঝুমঝুম সমস্ত দিনরাত টানা তিনচার দিন।গুরগাওয়ের রুক্ষ প্রকৃতি ও শীত কেটে যাওয়া মনোরম বাতাসে রঙিন হয়ে উঠে, নাম নাজানা কত ফুলফোটে সেখানে্!! বুকভরে নিঃশ্বাস নিলে মনেহয় আমার দেশের এক টুকরো বসন্ত বাতাস মায়া ছড়িয়ে গেল।সিংগাপুরে'র প্রকৃতি আবার দেশেজ আত্মীয় টানে আপন করে নিয়েছিলো।
আরব'দের এ শহরে এসছি বছর তিনেক হয়-
আবহাওয়া,ভাষা,পোশাক পরিচ্ছদ,জাতীগত ভিন্নতা সবকিছু ছাপিয়ে ভালোলাগার জায়গা টুকু দখল করে নিয়েছিলো,স্বল্প দূরত্বে হাতের নাগালে সর্বাধুনিক সুবিধা সহ চমৎকার সব মসজিদ।এখানে মসজিদ মানে "মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ "নোটিশ ঝুলানো মসজিদ নয় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের আলদা করে রুম দেয়া মসজিদ সব।আর রামাদান মানে তো উৎসব,পথে পথে পথিকদের, সল্প আয়ের লোকদের জন্য ইফতার সেহেরি সবকিছু'ই উদার হস্তে বিলানো হয়।রামাদান মানে মুল্য বৃদ্ধির ভয় নয়,রামাদান মানে ইফতার আর যাকাতের কাপড় বিলানোর নামে আত্ম প্রচার নয়,মানুষ খুনে'র উৎসব নয়।
সে যাইহোক লিখতে বসেছি আমার আজকের মনের তৃপ্তটা নিয়ে,পরিপূর্ণতা নিয়ে।এখানে আসবার পর থেকে'ই মনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিলো মসজিদে জামাতের সাথে তারাবি নামাজ আদায়ের,গেলো কয়েক বছরে সেটা সম্ভব হয় নি বেশ কিছু কারনে।এবারে বাসার সবচাইতে কাছের মসজিদে বাসার সব কাজ গুছিয়ে ঠিকঠাক সময়ে হাজির হয়ে জীবনে প্রথম তারাবি নামাজ আদায় করেছি আলহামদুলিল্লাহ।
সমস্ত প্রশংসা অবশ্যই আল্লাহ'র।
বেশ একটু আলদা নিয়মে নামাজ আদায় করা হল,আমাদের শৈশব থেকে শিখে আসা নিয়ম থেকে ভিন্নতর খতম তারাবি নামাজ।যে কোন প্রথম কিছু'র আবেদন ই আলাদা! আর তা যদি হয় ইচ্ছেপূরন হবার মত আনন্দময় ঘটনা,সেটার আবেদন হয় আরও বেশি।
আমাদের দেশে এবং সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমার কাছের জন প্রিয়জন বন্ধু আত্মীয়'দের রোজার মাস শুরু হয়ে মাঝামাঝি তে চলে এসছি যদিও; সবার জন্য রইলো মাহে রমজানের শুভ কামনা!!
আশা করছি আপনাদের সবার প্রার্থনায় আমাকে রাখবেন। হ্যাপ্পি রামাদান!!!
অগ্রিম ঈদ মোবারক !!!!!!
ছবিঃ- আমি নিজে;
যে মসজিদে নামাজ আদায় করছি সেই মসজিদের।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০