কানাডার কেলগেরি শহরের এক বাঙালি সুহৃদ জানালেন এ ঘটনা।
সাত সকালে কেউ একজন তাঁর বাসার কলিং বেল টিপলেন। দরজা খুলে দেখেন এক অপরিচিত বাঙালি ভদ্রলোক। তাঁর নাম অরুন।
বাঙালি পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অরুন জানালেন, তিনি দুর্ঘটনাবশত আমার এ সুহৃদের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির ক্ষতি করে ফেলেছেন, এবং বিষয়টি রেকর্ডে আনতে পুলিশেও ফোন করেছেন। যে কোন মুহূর্তে পুলিশ চলে আসতে পারে। উল্লেখ্য, এ সুহৃদের গাড়িটি রাস্তার পাশে পার্ক করা অবস্থায় ছিল।
কয়েক মিনিটের মাথায় হর্ন বাজিয়ে দুই পুলিশ হাজির। তাঁরা দুপক্ষের স্টেটমেন্ট নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিদায় নিলেন।
বাহ্! কী সুন্দর, তাই না?
ভুলে একজনের গাড়িকে হিট করে নিজে উদ্যোগী হয়ে তা ক্ষতিগ্রস্থকে জানানো কি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন স্বাভাবিক ঘটনা? - -
চলুন, এবার সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করি, ঘটনাটি চেপে গিয়ে অরুন দ্রুত দুর্ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে তাঁর কি পরিণতি হতে পারতো।
এভাবে না বলে চলে যাওয়াকে বলে, হিট এন্ড রান। কানাডায় এ ধরণের অপরাধ সংঘটন করলে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থদন্ড এবং একই সাথে ছয় মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে হয় না, সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি বা কোন সাক্ষীর মাধ্যমেও এ ধরনের মামলা দাঁড় করানো যায়।
দেশে আইনের শাসন বজায় থাকলে বাঙালিও যে কতটা নীতিপরায়ণ হতে পারেন তা অরুন আরেকবার প্রমান করলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০