উষার সাথে আমার বিয়েটা হয়ে গেল ।
বাসর রাতে উষা বললো: তোমারতো ভিটেমাটি-চালচুলো ,টাকাকড়ি কিছুই নেই । বিয়েতো করলে আমায় ,খাওয়া-পড়ার খরচ কিভাবে আসবে শুনি ?
আমি বললাম উষাকে: আপাদত খাওয়া-পড়ার হিসেবটা বাবার উপর ছেড়ে দিয়েছি ।
উষা বললো: তোমার বৃদ্ধ বাবাকে আর কত খাটাবে ? তাছারা সব জিনিস-তো আর তোমার বাবার কাছে চাওয়া যাবে না । এখন বিয়ে করেছো কিছু একটা করো -বউয়ের সুন্দর মুখ-খানা দেখলে-তো আর পেটে ভাত আসবে না ,নিজে কিছু কর ।
উষা আমিও তাই ভাবচ্ছি- কিভাবে আয়ের চিন্তা করা যায় । আচ্ছা -উষা পুকুরে মাছের কারবার করলে কেমন হয় , নুর চাচার যে পরিত্যাক্ত পুকুরটা আছে -সেটাতে পুটি মাছের পোনা ছেড়ে দিলাম ।
উষা বললো : না - এটা কোন কারবার হলো? যা পারবে না -সেটার তো দরকার নেই । শুনেছি আগে যা করেছো সবই তো লোকসান দিয়েছো ।
তাহলে কি করা যায় উষা ? উষা বললো : আমি কি জানি ? শুধু মনে রেখ আমি পেটে ক্ষুদা নিয়ে বেশিক্ষন থাকতে পারি না । যাইহোক------এখন ঘুমাও বাসর রাতেই তোমাকে টেনশনে ফেলে দিলাম । ভয় পেও না একটা কিছু হবেই । উষার শেষের আশার বানী শুনে নিশ্চিত ঘুম দিলাম-পরস্পর শরীর জরিয়ে ।
(লেখক: মানুষ আজিজ)