ব্লগ, ফেবুসহ দেশের বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের সংখ্যা কম নয়। বিজ্ঞান মনস্ক সব মানুষ আবার এক নয়। এদের মধ্যে কেউ আবার কুরআন,ইসলাম এর প্রতি সম্মান দেখান ও ধর্মীয় নিয়ম কানুন, বিধি বিধান মেনে চেলেন।
আর আরেকদল আছেন- ধর্মীয় কোন কিছু দেখলেই এরা বিরোধীতায় নেমে পড়েন। বিজ্ঞান এবং ধর্ম কখনো সহঅবস্থান করে কখনো বিপরীত মুখী, কখনো সম্পূরক আবার কখনো পরিপূরক। দুটিই তার গতিমতন জার জার জায়গায় এগিয়ে চলে।
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কোন বিজ্ঞানী এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেননি। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আমরা মধ্যযুগে আছি। প্লেগ বা কলেরার মত মহামারিতে যে প্রানহানী ঘটতো এখন করোনায় তাই ঘটছে।
সভ্য আর ভভ্যরা কোথায় ? বিজ্ঞানের ধ্বজাধারীরা কোথায় ? তোমরা উপায় বের করনা ভাই, আধুনিক যুগের এত উন্নত সোপানে অবস্থান আমাদের তো সেই আমরাই ব্যর্থ?
আল্লাহ যদি কোন জাতিকে গজব দিয়ে ধ্বংস করে দিতে চান তো বিজ্ঞান আমাদের সুরক্ষা দিতে পারবে না। তাই বলে আমি বিজ্ঞান বিরোধী নই। বিজ্ঞানের ভাল ও সুন্দর দিকগুলোই আমাদের গ্রহণ করা উচিৎ।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে এটা বলা যায় যে নতুন নতুন রোগ ও মহামারিতে আক্রান্ত হবে মানুষ এটা সহজে অনুমেয় একটা ব্যাপার। অতীতেও তাই ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে। এই ব্যাপারটা শুধু ইসলাম ধর্মে আছে অন্য ধর্মে এসব ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। তাই ধর্মেকে অসারতার কোন সুযোগ নেই। রোগের ঔষধ আবিষ্কার হলে আরও নতুন নতুন রোগ বলাই দেখা দিবে। হতে পারে সেটা দিন, মাস, যুগ বা শতাব্দী পরে।
তাই আমাদের উচিৎ সচেতন হওয়া, আকঙ্ক না ছড়ানো, চিকিৎসা বিদ্যার উৎকর্ষ। আর আল্লাহর উপর ভরশা করা। দোয়া করা যাতে মহামারি দিয়ে আমাদের ধ্বংস না করেন।
কাউকে ব্যঙ্গ করার আগে একটু ভাবি এবং নিজে ভাল থাকি অন্যকে ভাল রাখি।
মহামারীতে সতর্কতা
লিংক সূত্র ঃ দেশ রূপান্তর-৯/৩/২০২০ইং।