আমার আশে পাশের মানুষজন দেখে মনে হচ্ছে ইউরোপ- আমেরিকার মত হাজার হাজার লাশের শাড়ি না দেখলে আমরা সচেতন হবো না। কারণ আমরা বাঙালি।
গতকালও দেখলাম মাক্স ছাড়া মানুষজন হাটছে। পাশাপাশি কথা বলছে। কেউ কেউ বুরিং হয়ে বাসার নীচে বসে গল্প করছে। অকারণে তরুণ -কিশোর রাস্তায় নামছে।
রিক্সাওয়ালার মাক্স আছেতো তার আরোহীর নেই।
কিছু মাছওয়ালা লুকিয়ে মাছ বিক্রি করছে।
সেলুন ওয়ালা লুকিয়ে কাস্টমার ঢুকাচ্ছে দোকানে তারপর ঝাপ বন্ধ করে দিয়ে দিব্যি কাজ করছে। হাত ধোয়ার বলাই নেই।
ফার্মেসীর দোকানে এক সাথে গাদাগাদি করে ঔষধ কিনছে ক্রেতা।
বিকালে রিতীমত ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে দুজন দোকানী আরেকজনতো আরও এডভ্যান্স রাস্তার উপরই পসরা সাজিয়েছে।
ঘোষণা করার পরও সমজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করছে।
পুলিশ কিংবা আর্মির গাড়ি দেখলে দৌড়ে লুকিয়ে পাড়া যেন লুকোচুড়ি খেলার আনন্দ বাজি পোলাপান আর কারে বলে।
শব-ই- বড়াতের নামজ পড়তে যাবে বলে অনেকের সে কি তোড়জোড় যেন করোনা নামে দেশে কিছু নেই।
রাতে নামাজ শেষে অনেকে রাস্তায় হাটছে বন্ধুসমেত পুলিশ তাদের বাসায় ফেরোতে বাধ্য করল।
সকালে ফজর নামাজের সময় বারান্দা দিয়ে দেখি ছোট্ট দুই বাচ্চা যাচ্ছে সমজিদে নামাজ পড়তে পুলিশ গাড়ি থেকে নেমে তাদের ফিড়ালো কিন্তু ততক্ষণে অনেকেই সমজিদে নামাজে দাড়িয়ে গেছেন।
সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগ মাঠে মারা পড়বে যদি আমরা নিজেরা সচেতন না হই। নিজেও মরবো অন্যদেরওকে মারবো।
এত সংবাদ, প্রচার প্রচারণা তবুও মানুষ কেন এত উদাসীন ? হয়তো বাঙালি বলেই । কিংবা মানব মনের রহস্যের মত এর উত্তর আমার জানা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৯