[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/MdMaidulSarker/30310999|লেডিস কর্নার
সায়না প্রথমেই মৌমিতা খানকে ধন্যবাদ দিল। যদি এই লেডিস কর্নার না থাকতো তাহলে কোনদিন সায়না তার এই গোপন অধ্যায় উন্মেচন করতেন না। একটা জগদ্বল পাথরের মত ভারী বোঝা বেয়ে বেড়াতেন আজীবন। ডিমের খোসায় করা কারুকার্যের একটি
শোপিস কাচের কর্নার র্যাকে নিজ হাতে রেখে বলল-এটা লেডিস কর্নার-কে আমার প্রথম উপহার।
একটু পরেই বৃষ্টি নামবে। ধুমায়িত কপি পান করতে করতে আপনরা আমার জীবনে ঘটে যাওয়া গভীর গোপন অধ্যায়ে প্রবেশ করবেন। সংঙ্গে সংঙ্গে উপস্থিত মহিলারা হাততালি দিয়ে সহমত প্রকাশ করল। সায়না বেশি দিন হয়নি এই লেডিস কর্নার-এ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তার কথা, কাজ, রূপ আর গুণে ইতমধ্যেই এ মহলের একজন তারকা হয়ে উঠেছেন।
সত্যি সত্যিই বাহিরে বর্ষণ শুরু হলো। জানালার পর্দাটা একটু সরিয়ে দিয়ে মৌমিতা খান তার আসনে যখন বসলেন তখন এক ঝলক বাতাস এসে সায়নার উপর আছড়ে পড়ল। তার কপালের সামনের এক গোছা চুল মৃদু বাতাসে নৃত্য করে উঠল আর তখন সে গোপন ইতিহাস বলার জন্য মুখ খুলল।
আমার তখন বয়স ষোল। কিশোরী হৃদয়ে বজ্রাঘাতের মোক্ষম সময়। কারণে অকারণে ধীরে চলা মেয়েটা চঞ্চল হরিণী। মনের বনে জোনাক জ্বলে। প্রেমের তীর নিক্ষেপ করে অনেক তরুন শিকারী। বুঝতে পারি আমাকে অনেকে কামনা করে, চিরকুট পাই, চিঠি পাই, অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন পাই কিন্তু কারো সাথেই জড়িয়ে পড়ার মত কিছু ঘটেনা। বান্ধবীরা প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। কারো প্রেমিক কারো প্রেমিকা বদলে যাচ্ছে।
দেখি-দেখছি বলে কাটিয়ে দিচ্ছি দিন। দেখতে দেখতে, বুঝতে বুঝতে আরও দুই বছর চলে গেল। এর মধ্যে কত কিছু ঘটে গেল। কিন্তু আমার ভিতরের আমি খুজে পেলেমনা প্রেমিক চিল যাকে পাওয়ার জন্য মুছতে হয়না রুদ্রের ঘ্রাণ।
আঠারো বছর বয়সটা মেয়েদের জন্য প্রেমে পড়ার আদর্শ সময়। আমি আমার প্রেমিক চিলকে পেলাম পাহাড়ী এক নদীর আকাশ তলে। সদ্য স্নাত তরুণ যখন নদীজল থেকে উঠে এলো আমি যেন দেখছিলাম মধ্য যুগের কোন এক রাজপুত্র তার নগ্ন শরীরের ভাস্কর্য প্রদর্শনের জন্যই বুঝি আমার সামনে এসেছে।
বুকের মধ্যে ঢাক ঢাক গুড় গুড় বাদ্য বাজা সেই যে হলো শুরু..................................।
চলবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫