পীরের মূরিদ হাওয়া তার জরুরী নয় যেই ব্যক্তি ঈমান ও ছহীহ আকিদায় থেকে রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামের সুন্নত মোতাবেক আল্লাহর হকুম আহকাম পালন করতে সক্ষম। যেমন: আলেম ওলামাগন পীরের মুরিদ হন না কারণ তারা কোরান হাদিসের ইলম অর্জন করেছেন এবং নিজেরা ছহীহ আমল করতে জানেন তবে "খেলাফত" একটি ভিন্ন বিষয়। কোরান হাদিসের ইলম অর্জন করেন নাই অথচ বংশ পরমপরায় মুসলমান অর্থাৎ আওয়াম মুসলমান তারা ছহীহ আমল কিভাবে করবে তাহা জানার জন্য হক্কানী আলেম ওলামাদের স্বরানাপন্ন হাওয়া উচিৎ, যার কাছ থেকে ছহীহ আমলের দিক নির্দেশনা নিবেন তিনিই ঐ আওয়ামের পীর। কোনো আমলই খেয়াল খুশি মত করা যাবেনা বরং সকল আমলই ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক হতে হবে আর এটি জানার জন্য কোরান হাদিসের ইলম অর্জন না করিয়া থকিলে যারা কোরান হাদিসের ইলম অর্জন করেছেন তাদের কাছে যেতে হবে। লোকটি যিনি বা যাদের কাছে আমল সম্পর্কে জানার জন্য গেলেন কোরান হাদিসের জ্ঞান নিয়ে আমল করছেন তিনি/তারা এই আওয়ামের পীর। এক কথায় কোরান হাদিসের জ্ঞান দানকারী ওস্তাদকেই পীর বলা হয়। আলেম ওলামাদের ভাষ্যমতে সকল পীরের পীর হইলেন হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাহিঃ) আর এই পীরের চাইতেও বড় পীর হইলেন সন্তানের জন্য তার/তাদের "বাবা এবং মা" যেই সন্তানের উপর "বাবা মা" অসন্তুষ্ট সেই সন্তানকে বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহিঃ) কে বাটিয়া খাওয়াইয়া দিলেও সে জান্নাতে যাইতে পারবেনা।
এখানে দেখতে হবে যে, যার কাছ থেকে (পীর) ইলম অর্জন করে আমল করছেন তিনি বা তার আকিদা ছহীহ আছে কিনা অর্থাৎ ঈমান ছহীহ আছে কিন্তু ঈমানের আলোকে আমল করার জন্য আকিদা ছহীহ আছে বা নাই, আকিদা ছহীহ না থাকিলে আমল ছহীহ হবেনা, আমল ছহীহ না হলে তাহা আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা, আল্লাহর দরবারে আমল কবুল না হলে ঠিকানা জাহান্নামে হবে। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন সারা দুনিয়ায় তো আছেই আমাদের দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় কিছু আলেম ওলামাগন আছেন তারা দুনিয়াবীর পেছনে দৌঁড়েন না বরং দুনিয়াবীই তাদের পেছনে দৌঁড়ে মূলত দুনিয়াতে তারাই হক্কানী আলেম ওলামা, হক্কানী পীর। আরও একটু ব্যাখ্যা করে বলিলে:- যারা মাসে ২ লক্ষ টাকা কামায় তারা অভাবের কথা বলেন, তিনি আরও পাইতে চান আবার দেখা যায় কিছুলোক আছেন যারা হক/হালাল পন্থায় মাসে ৩/৪ হাজার টাকা কামায় তারাও পেট ভরে খাচ্ছেন, চোখ ভরে গুমাচ্ছেন, অন্য ১০ জনের মত সংসার সামলাচ্ছেন সমাজেও মানী সম্মানী, শারীক ভাবেও তারা অন্যদের তুলনায় বেশী সূস্থ (হাসপালে গিয়ে দেখুন উনাদেরকে ১০ হাজারের মধ্যেও ১ জন পাবেন না, চুরি ডাকাতি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজী, দখলবাজী, ঘূষ-সূদ, চাপাবাজী, মিথ্যাচারীর মধ্যে উনারা নাই, পদ পদবী, বেতন ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলনে তো দূরের কথা উনারা এইসব সেক্টরের ধারে কাছেও নাই) অর্থাৎ অভাব অনুভব করছেন না বরং তুলানা মূলক ভাবে ঐ ২ লক্ষ টাকা উপর্জন কারী ভদ্রলোকের চাইতেও বেশী সন্তোষ্টে জীবন যাপন করছেন। মূলত উনারাই হক্কানী আলেম ওলামা এবং উনাদের অনুসারীরাই হক পথে রয়েছেন। আশাকরি বুঝাইতে পেরেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪