‘সংসদের অধিবেশন যখন চলে তখন আমাদের কাছে পুতুল নাচের নাট্যশালার মতো মনে হয়। ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র আধিপত্য দাঁড়িয়েছে জাতীয় সংসদে।’
‘সংসদীয় আচরণ সার্বিকভাবে হতাশাব্যঞ্জক। দশম সংসদে আগের তুলনায় সরকার দলীয়দের মধ্যকার পারস্পরিক ‘প্রশংসার’ পরিমাণ বেড়েছে ১২ গুণ। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক এক জোটের সমালোচনা বেড়েছে ৯ গুণ। এসব জায়গায় স্পিকারেরও দায়িত্বেও ঘাটতি দেখা গেছে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিধি অনুসারে সংসদীয় কমিটিগুলোর মাসে একটি করে বৈঠক করার কথা থাকলেও গত এক বছরে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে মাত্র চারটি।’
‘আমাদের সংসদের বর্তমান কথিত ‘বিরোধী দল’ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে না। তারা কথিত বিরোধী দল এ কারণে যে, তাদের দায়িত্ব ও অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।’
‘দশম সংসদ নির্বাচন আসলেই বিতর্কিত। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া কার্যত নির্বাচন হয় না। ফলে ওই নির্বাচনকে বিতর্কিতই বলতে হবে।’
‘যখন সরকার বিতর্কের ঊর্ধ্বে নির্বাচন দিতে পারবে তখন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন বলব।’
ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এই মত দেয়।
তিক্ত সত্য কথাগুলো বলার জন্যে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯