লক্ষ্য’টা এখনও এত দূরে যে পেছন ফিরে কতটা পথ পাড়ি দিলাম তার হিসেব কষা’টা বাল্যখিল্যতাই বটে। তাহলে এই অকাল হিসেব নিকেশের প্রয়োজন কেন? উত্তর- নিরুপায় হয়ে।।
ব্লগে বা ফেসবুকে অনেক মোমিন আস্তিক ... নাস্তিক’দের একটা প্রশ্ন করে প্রায়ই বিপদে ফেলে। “ব্লগ পড়ে কেউ নাস্তিক হয়না, কারও বিশ্বাস টলে না ... এত যে নাস্তিকতা মারাও কি বাল’টা ছিড়তে পারলা??”
ব্লগে আগে অনেকবার শুনলেও সর্বশেষ ব্লগার দেশী পোলা ভাই আমারব্লগ.কমেও এরকমই একটা পোস্ট দেন (এখন নাই)। তাছাড়া অনেক মোমিন মুসলমান ভাই’ব্রাদারই এই “বালের হিসেব” প্রায়ই নেয়। তাদের হিসেব দিতে এই আলোচনার শুরু।
মোমিন ভাইদের অবগতির জন্য জানানো দরকার, নাস্তিক রিক্রুট করার জন্য আমরা ব্লগ নাস্তিক’রা মূলত তৎপর নই। ... আমাদের দাবী’টা খুবই সিম্পল – ধর্ম ভুতের অমূলক ভয় থেকে বের হয়ে আসুন। সে আপনি আস্তিকই হোন আর নাস্তিকই হোন। চিন্তা করতে শিখুন। শিখুন সংস্কার’কে বিচারের কাঠগরায় নিতে।
ঈমান খুইয়ে নাস্তিক হয়ে বসা, যুক্তির সততা, চিন্তার সাহসীকতা আর মস্তিক্যের যোগ্যতার ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই সবার পক্ষে তা সম্ভব নয়। আর এটাও মনে রাখি যে, পৃথিবীর সবথেকে প্রতিক্রিয়াশীল সংখ্যাগরিষ্ঠদের সামাজিক বাধা এমন কি মৃত্যু আশংকাকে ঠেলে বেড়িয়ে আসা বেশিরভাগের পক্ষেই সম্ভব নয়।
তাই আমরা ব্লগ নাস্তিকরা কোন বৈপ্লবিক পার্থক্য আশা করি না। অন্তত সে পর্যায়ে যেতে এখনও অনেক দেরী।
আপাতত আলোচনার বিষয় হতে পারেঃ ... নাস্তিক’দের পোস্ট পড়ে আপনার বিশ্বাসে কোন পরিবর্তন হলো কিনা; অথবা ... ধর্ম’সমালোচনায় বিশ্বাসের দেয়ালে হালকা-পাতলা চিড় ধরলো কিনা; অথবা ... কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের (কু)সংস্কার বা (অপ)বিশ্বাস থেকে আপনাকে নতুন ভাবে ভাবাতে পারলো কিনা; অথবা ... উল্টো’টাও হতে পারে।
বিশ্বাস অবিশ্বাস নির্বিশেষে সবাই’কে স্বাগতম।
দ্রঃ যে পোস্ট থেকে অনুপ্রেরণা পেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৩