somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্রমন কাহানী : : শিমলা : : যেখানে আকাশ ঘুমায়

০৪ ঠা মে, ২০১০ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালকা স্টেশনে নেমেই টের পেলাম ঠান্ডা কাকে বলে। জমে যাচ্ছিলাম ক্রমশ।গন্তব্য শিমলা, হিমাচলের রাজধানী! দিল্লি থেকে যে ট্রেনে এসেছি সেটা থেমে আছে।কালকা ছোট্ট স্টেশন, তাও প্রায় আমাদের কমলাপুরের সমান।সকাল হবে হবে করছে।বাক্স পেটরা নিয়ে বসে বসে হাত ঘসছি, দেশ থেকে নিয়ে আসা সিগারেট ফুকেই চলেছি।মন মেজাজ ভালোনা।শিমলা যাওয়ার টয় ট্রেনে টিকেট মেলেনি।পরের ট্রেন অনেক দেরীতে।মজা অর্ধেক নষ্ট।আমাদের গাইড গেছে গাড়ির খোঁজে।ব্যাটা ঘাঘু মাল, মহা ধুরন্ধর! আমরা ভাগ্যবান। এমন গাইড মেলা ভার! ও না থাকলে কত জায়গায় যে ধরা খেতাম খোদা জানে।

গাড়ি পাওয়া গেছে।বাইরে সকাল ও হয়েছে।হুহু ঠান্ডা বাতাস, এর মধ্যেই গাড়ি ছেড়ে দিল! গাড়ি দুটো, একটা চার সীটের ছোট টয়োটা,একদম নতুন দেখতে আর একটা টাটা, গায়ে নাম না লেখা থাকলে পাজেরো বলেই চালিয়ে দেয়া যেত।আমি সামনের ছোট গাড়িতে। তার পর ক্রমাগত উপরে উঠতে শুরু করলাম!ট্রেনে না এসে কি ভুল করেছি তখনি টের পেলাম।গাড়িতো ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে চড়ছে, আমরা হচ্ছি সমতলের লোক, এমন রাস্তায় চলাচলের অভ্যাস তো নেই।গাড়ী মোড় না ঘোরার সঙ্গেই পেটের ভেতর যেন গুলিয়ে উঠছিলো, বমি চেপে রাখা দায়!বাইরে অবিশ্বাস্য সুন্দর প্রকৃতি, এত সুন্দর! পাহাড়ের গায়ে রাস্তা, গাছপালা, নীচে ছোট ছোট ঘরবাড়ি আর এদিকে গাড়ির ভেতরে আমরা ধুকছি, বমি আটকে রাখার প্রানান্ত প্রচেষ্টা!অবশ্য পরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল।

অনেকক্ষন নিরিবিলি রাস্তায় চলার পরে একটা রেস্তোরা চোখে পড়ল, গাড়ি থামালাম, চা খেলাম ।চারপাশের অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতি দেখে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না, বিস্ময়ভূত হবার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই!কতক্ষন পথ চললাম মনে করতে পারছিনা, শিমলা এসে পৌছলাম একদম দুপুরে!রিসিভ করতে হোটেলের গাড়ি এসে হাজির!হোটেলে ঢুকে আরো অবাক হওয়ার দশা।হোটেলের রিসেপশন হচ্ছে সবার ওপর তলায়, রাস্তাটা নীচ থেকে ধীরে ধীরে উঠে গেছে হোটেলের চুড়ায়। সুতরাং আমরা সবার ওপর তলায় প্রথমে ঢুকলাম আর লিফটে করে নীচে এসে রুমে ঢুকলাম! আহ! কি শান্তি!


































চলবে.....


সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১০ রাত ১:২১
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×