গাড়ি পাওয়া গেছে।বাইরে সকাল ও হয়েছে।হুহু ঠান্ডা বাতাস, এর মধ্যেই গাড়ি ছেড়ে দিল! গাড়ি দুটো, একটা চার সীটের ছোট টয়োটা,একদম নতুন দেখতে আর একটা টাটা, গায়ে নাম না লেখা থাকলে পাজেরো বলেই চালিয়ে দেয়া যেত।আমি সামনের ছোট গাড়িতে। তার পর ক্রমাগত উপরে উঠতে শুরু করলাম!ট্রেনে না এসে কি ভুল করেছি তখনি টের পেলাম।গাড়িতো ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে চড়ছে, আমরা হচ্ছি সমতলের লোক, এমন রাস্তায় চলাচলের অভ্যাস তো নেই।গাড়ী মোড় না ঘোরার সঙ্গেই পেটের ভেতর যেন গুলিয়ে উঠছিলো, বমি চেপে রাখা দায়!বাইরে অবিশ্বাস্য সুন্দর প্রকৃতি, এত সুন্দর! পাহাড়ের গায়ে রাস্তা, গাছপালা, নীচে ছোট ছোট ঘরবাড়ি আর এদিকে গাড়ির ভেতরে আমরা ধুকছি, বমি আটকে রাখার প্রানান্ত প্রচেষ্টা!অবশ্য পরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল।
অনেকক্ষন নিরিবিলি রাস্তায় চলার পরে একটা রেস্তোরা চোখে পড়ল, গাড়ি থামালাম, চা খেলাম ।চারপাশের অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতি দেখে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না, বিস্ময়ভূত হবার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই!কতক্ষন পথ চললাম মনে করতে পারছিনা, শিমলা এসে পৌছলাম একদম দুপুরে!রিসিভ করতে হোটেলের গাড়ি এসে হাজির!হোটেলে ঢুকে আরো অবাক হওয়ার দশা।হোটেলের রিসেপশন হচ্ছে সবার ওপর তলায়, রাস্তাটা নীচ থেকে ধীরে ধীরে উঠে গেছে হোটেলের চুড়ায়। সুতরাং আমরা সবার ওপর তলায় প্রথমে ঢুকলাম আর লিফটে করে নীচে এসে রুমে ঢুকলাম! আহ! কি শান্তি!
চলবে.....
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১০ রাত ১:২১