somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

Democracy(গণতন্ত্র) প্রকৃত অর্থে গাধার তত্ত্ব না কি ঘোড়ার তত্ত্ব?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




শিরোনাম দেখেই গালি দেবার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না প্রিয় ডেমোক্র্যাটরা। তাই প্রথমেই সেল্ফ ডিফেন্স এর জন্য হিন্দি সিনেমা "পিকে(Peekay)" আমির খানের টেকনিক অবলম্বন করে নিচ্ছি,

"Democracy is not a problematic system, but we, the people of the Republic of Bangladesh, are creating problems in this system."

উল্টো করে বলা যায়, যদি এই সিস্টেম-ই না থাকতো তবে আমরা কি এর মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে পারতাম? নিশ্চয় পারতাম না। আবার পাল্টি খেয়ে বলা যায়, তাহলে বেটার অলটারনেটিভ রাস্তা কি!
আমাকে এখন হয়তো বলা হবে, এর পরিবর্তে অদৌ আছে কিছু মি. টং দোকানের লেখক?

সত্যি বলতে, আমি জানি না।

Democracy নিয়ে সবচেয়ে মজার একটি কথায় আমি খুবই কনভিন্সড্,

"I don’t care who does the electing as long as I get to do the nominating."
- Boss Tweed

সুতরাং নমিনেশন দেবার দায়িত্ব যখন বিশেষ ব্যক্তিবর্গের নিকট থাকে অন্তত সেখানে জাস্টিস হবার আকাঙ্খা রাখা যায় না। এখন কীভাবে এই নমিনেশন দেওয়া হবে?

• নমিনেশন পাবার প্রথম শর্ত হচ্ছে টাকা। এখানে সন্দেহ রাখা আর মূর্খের স্বর্গে বসবাস করা একই কথা। কারণ, একটি দল চাইবে তাদের নির্বাচন কেন্দ্রিক ফান্ডিং। আর এই ফান্ডিং এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার দরকার। আর সেই টাকাটা দিতে সক্ষম হবেন শুধুমাত্র ধনীরা। চাই তাদের লিডারশীপ বা প্রতিনিধিত্ব শব্দ দিয়ে যেটাকে সহজ করে দেই আমরা সেটা দেবার ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক।

• একবার ভাবুন তো বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা কত? আর এর মধ্যে নমিনেশন পায় কয়জন? ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬১.৪ মিলিয়ন যা কিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার চেয়ে বেশি। এখন এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে শাসনের জন্য নমিনেশন দেওয়া হয় কতজনকে? বিভিন্ন সূত্র মতে সব দল একত্রে মোট নমিনেশন পায় ১২,০০০-১৩,০০০ এর মত। মানে ১৬১.৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার বিপরীতে নমিনেশন পায় সর্বোচ্চ ০.০১৩ মিলিয়ন মানুষ আর তাদের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব দেন ৩০০জন মানে ০.০০০৩ মিলিয়ন লোক। হাস্যকর!

• যেহেতু গণতান্ত্রিক যে সমাজ ব্যবস্থা সেটি একেক স্টেটে একেক রকম। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শিক্ষার হার কম থাকে এবং দারিদ্রতার হার বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে, ধনীদের ভয় হচ্ছে দরিদ্রদের নিয়ে। কারণ, তাদের সংখ্যা বেশি। সুতরাং তারা নিশ্চিত করবে তাদের প্রতিনিধি কে হলে তাদের আর্থিক অবস্থার মধ্যে সুবিধে পাবে বা সিকিউরিটি পাবে। ফলে এসব প্রতিনিধি এমন একটি সমাজ তৈরি করবেন বা বাধ্য হয়েই দরিদ্রদের জন্য কাজ করে যাবেন। কারণ ভোট ব্যাংক টিকে রাখা দরকার হয়ে পড়বে। সোজা বাংলায়, এখানে কিন্তু ধনীদের হাত থেকে টাকা চলে যাবার ভয়ও কাজ করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে আনুমানিক ১০শতাংশ লোক হতদরিদ্র, ২০.৫ শতাংশ লোক দরিদ্র, ৫০শতাংশের বেশি লোক মধ্যবিত্ত হবার কথা।

• টাকার মান বন্টন ধনী-গরিবের মধ্যে হচ্ছে ভেবে ডেমোক্র্যাটরা মুচকি হাসি দিতেও পারেন। কিন্তু মুশকিল হল যখন অধিকাংশ ভোটার হয় অশিক্ষিত। এখন শিক্ষিতের সংজ্ঞা যদি সাক্ষরতার হারের সাথে মিলিয়ে ফেলে দুধে লেবু দেন সেক্ষেত্রে আপনার সাথে আমার মতামত মিলবে বলে অন্তত আমার মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বর্তমানে আনুমানিক ৭৩.৯ শতাংশ। কিন্তু আপনি যখন পথে-ঘাটে হাঁটেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন তখন আপনার কি মনে হয় এই সাক্ষরতার হার ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার অদৌ যোগ্যতা রাখে? মন্তব্যে জানাবেন।

পরিবর্তে রাজকুমার রাও অভিনীত হিন্দি মুভি "নিউটন" মুভির মত যেন না হয়ে যায়। ইভিএম মেশিন বিভিন্ন কালার বোতাম যেনো ডেমোক্রেসি না হয়ে যায়। সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। সেক্ষেত্রে আমিও দুঃখ প্রকাশ করবো।

• রেফারেন্স দিয়ে তো শুধু হয় না কিছু উক্তিও উল্লেখ করা উচিত বলে মনে করছি,

গ্রীক দার্শনিক প্লেটো বলছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে মূর্খের শাসন, আরেক গ্রীক দার্শনিক এরিস্টেটল গণতন্ত্রকে বলছেন নিম্নস্তরের শাসন ব্যবস্থা। আবার ট্যালিয়ার্ড গণতন্ত্রকে মন্দ লোকদের সরকার বলে চিহ্নিত করছেন। মার্ক টোয়েন তো সরাসরি শাসকদের আঘাত দিয়ে বলছেন, "যদি ভোট দিয়েই সব হত, তাহলে হয়তো এই সিস্টেম-ই থাকতো না"।

• দুঃখজনক ভাবে সত্য এই মূহুর্তে আমার একটি উদাহরণ ঠিক কার দেয়া সেটা মনে পড়ছে না। তবে উদাহরণ টি আপনাকে কিছুটা হলেও কনভিন্স করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস,

ধরুন, একটি মাঠে বা জঙ্গলে মোট ৫১জন প্রাণী বসবাস করে। এর মধ্যে ১১জন হচ্ছে ঘোড়া এবং বাকি ৪০জন হচ্ছে ভেড়া। এখন যদি এদের শাসক কে হবে সেটা গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্ধারিত করা হয় তাহলে কিন্তু সর্বনাশ, ভেড়া জিতে যাবে। আর ঐ ৪০জন ভেড়া ১১জন ঘোড়াকে শাসন করবে। হাস্যকর!

এখন যদি ঐ ৪০জন ভেড়াকে দরিদ্র বলি এবং দরিদ্র বলেই অশিক্ষিত বলি তাহলে আমার ঠিক ভুলটা কোথায়?

‘If you think education is expensive, try ignorance.’
- Robert Orben

এক্সকিউজ মি! বই কেনা, বেতন দেয়া, টিউশন ফি ইত্যাদি এত সবের টাকা কি তবে রবার্ট সাহেব দিবেন? নিশ্চয় নয়, যদি এটা বুঝে থাকেন তাহলে মূলত, তিনি প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের কথা বলছেন না।

• মজার একটি বিষয় হচ্ছে,

"The polling both is like Pandora's Box."

পোলিং বুথ হলো, পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। স্ক্রুটিনাইজ করার ক্ষমতা এখানে সাধারণের নেই। যদিও ডেমোক্রেসিতে সাধারণ শব্দটি থাকার কথা নয়। কিন্তু নমিনেশন ব্যাপারটা সেই শব্দটি নিয়ে আসতে বাধ্য করবে আপনাকে।

• মিডিয়াতন্ত্র শব্দটি একত্রে লিখছি। কেন? কারণ, টুয়েন্টি সেঞ্চুরির মানুষও দুটি বা একটি টেলিভিশন বা বেতার দেখেছেন বা শুনেছেন। সত্য ও মিথ্যার হিড়িক সেই তবে থেকে শুরু। মিথ্যা সংবাদে প্রাণ গেছে অনেক মানুষের, তার প্রমাণও আছে। বর্তমানে হাজারো চ্যানেল, হাজারো সোশ্যাল মিডিয়া, হাজারো নিউজপেপার দেখে আপনার খানিক সময়ের জন্য হলেও মনে হতে পারে, যাক! এবার প্রাণ ভরে দেশ ও বিদেশের চর্চা করবো বা করা দেখবো। এমন যারা ভাবছেন, তাঁদের জন্যও দুঃখ রইলো। সেন্সরশিপ এখনো হয়, সবচেয়ে মুক্ত মাধ্যম ফেসবুক প্রমোট করে হিংস্রতার বার্তা, হেইট স্পিচ ও ভিডিও। টুইটারও ভিন্ন কিছু করে না, কায়দায় বেকায়দা করে। এমনকি ইউটিউবে কারো ভিডিও অপছন্দ করতে হলে অন্তত তাকে সেই ভিডিওটি দেখতে হয়। এবং প্রত্যেকটি প্লাটফর্মে একটি বা একাধিক কমিউনিটি গাইডলাইন আছে। যা ভিন্ন-ভিন্ন ধরণের ইউনিফর্মিটি পালন করে যাচ্ছে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাশালী দল। প্রশ্ন আসতে পারে, কেন ওরা এসব করছে? আরেহ্ বাবা! এতে বিজ্ঞাপন প্রচার করে ওদের বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার ইনকাম হচ্ছে।

• ভাগ-বাঁটোয়ারা ডেমোক্র্যাটদের কাছে নিয়মিত চর্চার একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তত ভারতীয় উপমহাদেশে(নিশ্চিত অর্থে এখন তিনভাগে বিভক্ত)। মুসলিম সংখ্যালঘু দেশে হাতে গোনা কিছু মুসলিম সাংসদ দেখবেন এবং হিন্দু সংখ্যালঘু দেশে হাতে গোনা কিছু হিন্দু সাংসদ দেখতে পাবেন। এমনকি চাকমা, মারমা, গারো, সাঁওতাল ইত্যাদি থেকে শুরু করে উপজাতি থেকে উঠে আসবে কোটা ভিত্তিক বা নিতান্ত ভাগ্যের চক্রে দুই একজন জনপ্রতিনিধি। এবং এটুকুই আপনাকে টেলিভিশন, নিউজপেপার এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে উঁচু আকারে প্রকাশ করে বিশ্বাস করাবেন যে ডেমোক্রেসি সফল হয়েছে।

• আমি টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরির মানুষ। সেই সূত্রে এখানে যে বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, আপনি ঠিক কতবড় ইনফ্লুয়েন্সার? এখন সেটার মাপকাঠি কি? ওকে, সেটার মাপকাঠি হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে(টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টা, ইউটিউব ইত্যাদি) আপনার কত সংখ্যক ফলোয়ার আছে। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, বর্তমানে যেসব শিল্পীদের নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে বা সাংসদ সদস্যও বটে তাঁদের শুধু ভাল শিল্পী হওয়া জরুরী নয় বা যিনি কিনা দর্শন জানেন তা নয় বরং দেখা হয় এর পাশাপাশি তাঁদের বড় অঙ্কের সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলোয়ার আছে কি না। কারণ তাঁদের চেয়ে অনেক বড় মাপের শিল্পী আমাদের সমাজে বাস করেন এবং করছেন তবুও আমাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না।

• লিংকন সাহেব একজন নিঃসন্দেহে মহান ব্যক্তিত্বের মানুষ। মানুষের জন্য মানুষের শাসক ঠিক করতে চেয়েছেন তিনি। স্পষ্টত এটি কনভে করার জন্য যে, চার্চ বা মন্দির বা মসজিদ নয় বা কোনো স্বর্গীয় কিতাব নয় বরং ডিরেক্ট মানুষকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কি চাও?

তাই মনে পড়ে গেলো- আমার এক স্যার রসাত্মক ভাবে বলতেন, "তুই যে কি জানিস না সেটাও জানিস না"। আমার মতে আমাদের বর্তমান হাল হচ্ছে এটা। আমরা যে কি চাই সেটাও আমরা জানি না।

• এরও আগে ছোটবেলায় ভাবতাম। মানে যখন লিংকন বা প্লেটো বা এরিস্টটল সাহেবদের নামও জানতাম না। তখন বরাবরই মনে হত, 1 person = 1 vote এটা বড় অঙ্কের অসামঞ্জস্য তৈরি করতে বাধ্য। একজন শিক্ষিত মানুষ আর একজন টং দোকানের চা-ওয়ালার অধিকার এক হয়ে যাচ্ছে এখানে। সম্মত কারণেই সমাজ নিয়ে দুজনের ভিশন বিশাল তফাৎ বহন করে। সে সূত্রে মজা করে ভাবতাম, ভোটের মান পর্যায়ক্রমে বা ক্লাস বিভাজনে ০.৫, ০.৭৫, ১, ১.২৫, ১.৫০, ১.৭৫, ২... এরকম হওয়া উচিত ছিলো।

অফ টপিকঃ অনেকে রেফারেন্স চেয়ে বসেন। দেখুন, আমি শুধু ফ্যাক্টগুলোন গোগল সার্চ থেকে নিয়ে থাকি। কিছু অনুচ্ছেদও প্রয়োজনে পড়তে হয়। ইউটিউবে কিছু লেকচারও শুনি। তারমানে এই নয় আমি উনাদের হুবহু কপি করি। দুঃখিত! আমি হুবহু কপি-ক্যাট হিসেবে নিজেকে মানতে নারাজ। কিছুটা হাইপোথিসিস নিশ্চয় রয়েছে। আর অনুচ্ছেদ ছোট করতে গিয়ে সব ব্যাখ্যা তুলে আনা সম্ভব হয় না। সেজন্য মাফ করবেন।

তবুও বিনম্রভাবে আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি, সেসব মনযোগ দিয়ে পড়ি। আপনাদের কাছে থেকে নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করি। ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×