আগামী নতুন বছরের প্রথম মাসের জানুয়ারীতে বাড়তে যাচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল, বাড়তিটা হচ্ছে দ্বিগুন। এটা প্রথম নয়, এই সরকার অবস্থানরত অবস্থায় অনবরত প্রতি বছর খাদ্য থেকে শুরু করে তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি বাড়তেই চলেছে। এই দাম বৃদ্ধির পরিসমাপ্তির কিছু না থাকলেও, কিছু দিন সময় সাময়িক স্থগিত থাকারও গতি পথ হারা। এভাবে বিশ্বের কোন দেশ চলতে পারেনা। শুধু মাত্র আমাদের দেশে সব কিছু সম্ভব বলেই, সব কিছু হচ্ছে, আর যেমন তেমন ভাবে দেশ চলছে। আমাদের দেশ চলতে পারার মাঝে অনেক কারণ রয়েছে। যে দেশের যুব সমাজের ও দেশের সাধারণ জনগণের নৈতিকতা, মনুষ্যত্ববোধ নেই, হাতিয়ার হিসেবে হাত নেই, মুখ নেই, যে নারীই দেশ শাসন করচ্ছে, সে দেশে নারীর সংখ্যা এমনিতেই বেশি তার মাঝে আবার যদি সকল পুরুষ জাতী নারীর প্রাধান্য পায় সে দেশ চলবেই, সে দেশে শত সমস্যা থাকলেও কোন সমস্যা হয় না। একটি দেশের সরকার পরিচালিত হয়ে থাকে জনগণের টাকায়। সেই জনগনের টাকার কোন হিসেব না দিয়ে শুধু নানান ইস্যুর মাধ্যমে টাকা নিতেই থাকে, সেটাতো ডাকাতি ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। সরকার প্রথম থেকেই উন্নয়েনের দিক শুধু তুলে ধরে যাচ্ছে, কোন কাজেই উনার ব্যার্থা আছে না বললেই চলে। আসলে কথা হলো যে চুরি করে সে নিজের কথা কিভাবে বলবে যে সে চুরি করে। সেটা তো চুরি হবার পর কিছুটা বুঝা যায়। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুনে আসছি যে বিদ্যুৎ ০০০০ এতো মেগওয়ার্ড উন্নয়ন করেছেন, এই সব, সেই সব করছেন, কিন্তু জাতীয় সম্পদের এতো উন্নয়ন হয়ে থাকলে দাম বৃদ্ধির বাড়ার তো কোন প্রশ্নই আসে না। বরং আরো কমার কথা। আমাদের বাংলাদেশে দেশে কয় লক্ষ চুলা আছে ? যার কারণে বছরের পর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে ? আমাদের দেশে ৬৪টি জেলার মাঝে কয়েকটা টাউন ছাড়া ছাড়াতো সব বেশি অংশই গ্রাম অঞ্চল, গ্রাম অঞ্চলে তো গ্যাসের চুলা ব্যবহিত হয় না। এই বৃদ্ধির পর কোটি কোটি টাকা কোথায় যাবে ? বিদ্যুৎ এর কথা তো আমরা সবাই জানি যে আমাদের সরকার বিদ্যুৎ এর প্রতি কি পরিমান উন্নয়ন করেছেন, তারপরও কেন বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি হবে ? যে উন্নয়ন হয়েছে সেগুলো দিয়ে তো আরো নতুন সংযোগ দেওয়া যায়। আর যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার কথা সেখানে বালু,সিমেন্ট ও টাইস এর মধ্যে উন্নয়নের নাম লিখে উদ্বোধন করেই শেষ। সে জায়গাগুলো শুধু খুটি দাঁড় করানো হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ এই ৭/৮ বছরের এখনো সংযোগ দেওয়া হয়নি। তাহলে বিনা কারণে এই প্রতি বছর বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির টাকা গুলো কোথায় যাচ্ছে ? দেশের মানুষের কি এতই বুদ্ধিসত্বার লোপ পেয়েছে নাকি ? এর আগে এই সরকার পদ্মা সেতু নিজেই করবেন বলে দেশের মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে অনুদান চেয়েছেন সেখানে সারা বাংলাদেশে মাত্র ৩.৫/৪ লক্ষ টাকা উঠেছে মাত্র। এই ব্যাপারটা কিন্তু ১০০% সত্য ব্যাপারটা যদি হাস্যকর। এখন বাংলাদেশের মানুষ জানে ছোর কে ? সব জিনিসের একটা মাপ বা সীমাবদ্ধ থাকা উচিত কিন্তু এই সরকারের কিছুই, কারণ সীমালগ্নকারী কিছুই থাকেনা। কিন্তু সামান্য একটু ভুলের কারণে আজ দেশের সাধারণ-অসহায় মানুষ ভুক্তভূগী, কিছু করারও নেই এখন শুধু মাত্র আগের নির্বাচনের সময় আওয়ামীলীগের নির্বাচনীর জয়ে হওয়ার যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলো । সেই স্বপ্ন আজ স্বপ্নই থেকে গেলো। যে মিথ্যা কথা বলে সে গুনাগার, আর ২/৩ হজ্ব করেও যদি এসে সে মিথ্যা কথা বলে আরো বেশি গুনাগার এইরকম মিথ্যেবাদীর কখনো ক্ষমা হয় না।
মিথ্যেবাদীদের শাসনে এ দেশ কখনো চলতে পারেনা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন