আসলে সময়ের পাল্লাদিয়ে দিন,সপ্তাহ,এর পর মাস,তারপর বছর চলে যায় । কর্ম ব্যস্ততায় এত্ত কিছু মনে রাখাটা অনেকের পক্ষে
সম্ভব হয় না । যেমন আমি সকালে ব্রেড ফাস্ট কি দিয়ে করলাম সেটা কেউ যদি দুপুরে জিজ্ঞেস করে বলতে পারি না।
শিক্ষা যোগ্যতা অল্প,আর সংসার তাগিতে দৌড়ের ভারটা বেশি । প্রথমে হাতেখড়ি কিবোর্ড মাউস টিপেটিপি তারপর মাথায় ভূত
ঢুকলো কম্পিউটার হার্ডোয়ার সম্পর্কে জানা বোঝার তারপর জানলাম শিখলাম এরপর ওটাই আজ প্রায় ৭বছর হলো পেশা হিসেবে মেনে নিলাম । শুরু হল ওটার উপর দিয়েই জীবন যুদ্ধ................... থাক এখানেই বন্দি হয়ে ওসব কথা ।
এর পর আসি ইন্টারনেট জগতের কথায়,আমি কম্পিউটার চালাতে পারলেও তখন ইন্টারনেট জগৎ সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা ছিল
না,
রাস্তা দিয়ে হেতে যাচ্ছি হঠাৎ পিঁছন থেকে একজন সুপরিচিত জন ডাক দিলেন আমি তার ডাকে সারা দিলাম এবং তার কাছে গেলাম তাকে সালাম দিলাম উনি আমার সালামের উত্তর দিলেন । অতপর উনার হাতে একটি মডেম ছিল মডেমটিকে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন দেখতো বাবা এই জিনিস টা কি আমি বল্লাম আংঙ্কেল এতা একটি মডেম উনি পাল্টা আমাকে প্রশ্ন ছুড়লেন এটি দিয়ে কি হয় বা কি করা হয় আর এর কাজই বা কি ? আমি উনাকে বল্লাম আংঙ্কেল এইটা একটা মডেম এইতা দিয়ে ইন্টার নেট ইউজ করে ।
সে বল্লো, সে আবার কি আমি বল্লাম আংঙ্কেল যাদের কম্পিউটার আছে এবং যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের এইতা দরকার এবং তারা এইতা ব্যবহার করে দেশবিদেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করে ।
উনি আমাকে প্রশ্ন করলেন এইতার দাম কত হবে আমি বল্লাম আনুমানিক দুই হাজার থেকে পচ্চিঁশত টাকা নিবে নতুনের দাম আর যেহেতু আপনার এইটা পুরানো এটার দাম হয়ত আপনি বিক্রি করলে এক হাজার থেকে বারোশত টাকার ভিতরে বিক্রি করতে পারবেন ।
উনি আমাকে বল্লেন বাবা টাকা পয়সা দরকার নাই তুমি এইটা এমনেই নিয়ে যাও আমার বিদেশে কেউ নাই সুতারাং এই মডেমটিও আমার দরকার নাই তুমি নিয়ে যাও তুমি ব্যবহার করোগা, বইল্লা মডেমটা আমার হাতে তুলে দিলেন ।
আর আমি মডেমটিকে নিয়ে চলে আসলাম বাসায় । বাসায় এসে আগে কম্পিউটারটি ওপেন করলাম পরে মডেম টি চেক করলাম
দেখি না মডেমটি ঠিক আছে পরে সখ জাগল ফেসবুক খোলার এক বন্ধুর কাছে গেলাম বন্ধু তুমি আমাকে একটি ফেসবুক খুলে দিবে সে আমাকে বল্লো আজ হাতে সময় নাই অন্যআরেক দিন খুলে দিবো।গেলাম আরেক বড় ভাইয়ের কাছে উনি আমাকে বল্লো তোমার কি জি মেল বা ইয়াহুতে কোন অ্যাকাউন্ট খোলা আছে আমি বল্লাম না,ব্যপারটা আমি বুঝতে পারি নাই । আমি মনে করেছিলাম এইটা কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টর মত কোন অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম এই অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে কত টাকা জমা দিতে হয় ?উনি আমাকে বললো সব মিলিয়ে প্রায় একহাজার টাকার মত খরচ হবে ।আমি চুপ হয়ে গেলাম এই ভেবে যে একহাজারটাকা লাগবে তাহলে আর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার দরকার নাই । চলে আসলাম তার কাছ থেকে বাসার উদ্ধেশে পথ ধরলাম । রাস্তায় আসার পথে আরেক বন্ধুর সাথে দেখা সে আমার মন খারাপ দেখে সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল কিরে কি হয়েছে ? আমি বল্লাম কিছু হয় নাই গেছিলাম ফেসবুক খোলার জন্য হাবিব ভাইয়ের কাছে তা অ্যাকাউন্ট খুলতে নাকী হাজার খানিক টাকা লাগবে । সোহেল কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আমাকে বল্লো আয় আমার সাথে গেলাম বস বসলাম পরে সে প্রথমে আমাকে ইয়াহু অ্যাকাউন্ট খোলা শিখাইয়া দিলো এবং ইয়াহু অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে ফেসবুকও খুলে দিলো। এর কিছুদিন পর একদিন কম্পিউটার চালাতে চালাতে এই ব্লগে এসে পরি।বেশকিছুদিন এখানের পাঠক ছিলাম তাও প্রায় বছর দুই এক এরপর হঠাৎ একদিন মাথায় ভূত চাপলো এবং সখ জাগল ব্লগীং করার
ব্যস অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন ককলাম ।শুরু করলাম ব্লগীং । আজ সকালে ব্লগে লগিং করে ঢুকতেই চোখে পড়লো
"সামহোয়্যার ইন ব্লগে আমার পরিসংখ্যান বলছে
আমি এ যাবত পোস্ট করেছি ২৬৬টি
এবং মন্তব্য করেছি: ২৫৭০টি
আর মন্তব্য পেয়েছি: ২৭৪৮টি
এবং ব্লগ লিখেছি: ৩ বছর ২ দিন
আমি নিজে অনুসরণ করছি মাত্র: ১৩৭ জনকে
আর আমায় অনুসরণ করছেন: ৬২ জন"
তাই সকলের সাথে শেয়ার করা। অনেক মমতার স্পর্শে ঘেরা প্রিয় এই সামহোয়্যার ইন ব্লগ ।এখানে অনেক কিছু দেখেছি অনেক কিছু শিখেছি প্রিয় সব সহ ব্লগার ভাই বোনদের কাছ থেকে ।তবে শেখার শেষ নাই । এখনো অনেক কিছু শেখার আছে বাকি । সামহোয়্যার ইন বাংলা ব্লগের সকল সহ ব্লগার ভাই বোনদের কাছে আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞ এক মাত্র সকলের ভালোবাসায় ও সহযোগীতায় কি করে
তিনটি বছর পার হয়ে গেল বলতেও পারলাম না।
আর বেশি কিছু লিখে পাঠকদের বিরক্ত করতে চাচ্ছি না,তাই এখানেই শেষ করছি। সকল সহ ব্লগার ভাই বোনদের আমার ব্লগ জগতে
তিন বছর পূর্তির শুভেচ্ছা রইল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৭