somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নিরাশ পরশ
প্রচলিত প্রবাদে আছে, "দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো", এই পৃথিবীতে কারো কাছে আমি সেই 'দুষ্ট গরু' ! আবার ওপর এক প্রবাদে আছে, "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো", কারো কাছে আ­মি সেই 'কানা মামা' ! ফেসবুক: নিরাশ পরশ

জনৈক ব্যক্তি ও একজন পতিতা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

........রাত ১২:৪০ মিনিট,নাম না জানা একটি অথিতিশালায় জৈনিক ব্যক্তি ও একজন পতিতার আলাপ:


ব্যক্তি: তোমার নাম কি?

পতিতা: কি দরকার? যে কাজ করতে আইছেন সেইটা করেন।

ব্যক্তি: আহা! এখনই এতো রাগ দেখাচ্ছো কেন?

পতিতা: আপনি কি এইখানে টাকা দিয়া আসেন নাই,নাকি মাগনা আইসেন?

ব্যক্তি: তা কেন হবে, গুনে গুনে ২০০০টাকা দিছি সারা রাতের জন্য।

পতিতা: তাইলে সময় নষ্ট করতাছেন ক্যান ?

ব্যক্তি: সে আমি বুঝবো। নামটা কি তোমার? সেটা আগে শুনি.........

পতিতা: পাতা...............................

ব্যক্তি: পাতা! ! ! ! ! ! ! ! ! ! ! ! ! এ আবার কেমন নাম?

পতিতা: ক্যান,ভালা না? আমার জীবনের সাথে তো মিল খায়।
ব্যক্তি: মানে?

পতিতা: এই যেমন ধরনে আমি বাশঁগাছের পাতা, যা কিনা ছাগল খায়,গরু খায়, মানুষ কেটেঁ নিয়া শুঁকিয়ে আগুন জ্বালায়. . . . . . . . . . . . . .

ব্যক্তি: বাশেঁর পাতার সাথে তোমার সম্পক‍‌ কি?

পতিতা: আমরেও তো কতজনে ভাড়া নেয়, কখনো নেশাখোঁর,কখনো বড়লোকের পোলা,বস্তির পোলা, আমারেও তো সবাই খায়। কুকুর যেমন হাড্ডি খায়! ! !.......কিন্তুএই প্রথম মনে হয় আমারে ভাঁড়া করলো বেহুদা বকবক করা একটা মানুষ!

ব্যক্তি: আমাকেই মানুষ মনে হলো,নিজেকে না?

পতিতা: কে,আমি? আমি কি মানুষ? হাত-পা থাকলেই কি সবাই মানুষ হয়???

ব্যক্তি: কেন হবে না, তুমি কি কষ্ট পাইলে কাঁদো না,হাসি পাইলে হাসো না, তোমার কি অনুভূতি নাই?

পতিতা: তাতে হইছেটা কি? আমার কষ্ট-হাসির আর কি কইলেন 'অনুভূতি', ওই গুলোর মূল্য এইখানকার ম্যানেজারের কাছে নাই . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

ব্যক্তি: তুমি এইখানে কতদিন ধরে আছো?

পতিতা: দেড় বছর,ক্যান?

ব্যক্তি: কিভাবে আসলা এই ভয়ংকর জায়গায়?


[পাতা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠলো...........]


ব্যক্তি: কাঁদো ক্যান?

পতিতা: আমি একটা মানুষকে খুব ভালোবাসতাম। আমি ভাবতাম সেও আমাকে খুব ভালোবাসে,কিন্তু..................

ব্যক্তি: "ভাবতাম" এইটার মানে কি?

পতিতা: ওই আমারে এইখানে আইনা বিক্রি কইরা দিছে...........

ব্যক্তি: কি!!!!!!!!! তোমার ভালোবাসার মানুষ???

পতিতা: হ-হ-হ, ৬০ হাজার টাকায়। আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম। ক্লাস এইটে বৃওি পাইছিলাম।

ব্যক্তি: বলো কি? তুমি পড়াশোনা করতে?

পতিতা: আমারে একদিন ঘুরতে নিয়া যাবার কথা বইলা এইখানে ওই পিচাশটা রাইখ্যা চইলা গেলো। আমি কত কাঁদলাম চিৎকার করে, আমার চিৎকার কেউ কানে নিলো না!!!!

ব্যক্তি: থামো,থামো, আর কেঁদো না। একটু পানি খেয়ে নাও।

পতিতা: বাপ-মার জন্য মনটা খুব কাঁদে। কতদিন ধইরা দেখিনা...........................

ব্যক্তি: তোমার বাড়ি কোথায়?

পতিতা: দরকার নাই আপনার জানার. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

ব্যক্তি: তুমি এখন কি চাও?

পতিতা: আমার ঘুম ধরার আগেই আপনি আপনার বকবক বন্ধ করেন।

ব্যক্তি: মুক্তি চাও?

পতিতা: মানে?

ব্যক্তি: এই জীবন থেকে মুক্তি চাও?

পতিতা: আপনার কি ধারনা,আমি বন্দি?

ব্যক্তি: এটাকে কি মুক্ত জীবন বলে?

পতিতা: আমি ভালো আছি। একটা কথা কি জানেন, জাইনা শুইনা কষ্ট পাওয়া সহ্য করা যায় কিন্তু না জাইনা শুইনা কষ্ট পায়লে, সে কষ্ট সহ্য করা কঠিন।

ব্যক্তি: মানে?

পতিতা: আমার ভালোবাসার মানুষ আমারে কষ্ট দিতে পারে এইটা আমি কোনদিনই ভাবি নাই, তবুও দিছে। এইটা আমি আজ পযন্ত মানতে পারিনি‍‌‌‌‌‌। তাই এইখানে জাইনা শুইনা কষ্ট নিই, অজানায় থাকতে চাই না......................

ব্যক্তি: অনেক হয়েছে, যাও লাইটটা বন্ধ করো।


[পাতা লাইটটা বন্ধ করে দিলো]


পতিতা: কই যান, ওঠেন ক্যান?

ব্যক্তি: চলে যাচ্ছি,লাইটটা বন্ধ করতে বললাম যেন কেউ না দেখে।

পতিতা: কি কন? আপনার কাজ করবেন না? আপনে তো ট্যাকা দিছেন ম্যানেজার রে.........

ব্যক্তি: আমি পিচাঁশ নই. . . . . . . . . . . . . . . . . . .

পতিতা: আপনি সত্য করে বলেন তো, আপনি কে?

ব্যক্তি: আমি লেখক. . . . . . . . . জীবনের বাস্তব ঘটনা থেকে ছোট ছোট অবাস্তব ঘটনা লিখি। কিন্তু আজ বাস্তব জীবন থেকে বাস্তব ঘটনাই লিখবো।

পতিতা: তা ঠিক আছে কিন্তু আমি এখন সারা রাত একা থাকমু?

ব্যক্তি: হাহা-হাহা-হাহা-হাহা-হাহা-হাহা...........দরজাটা লাগিয়ে দাও। বাহিরের কাউকে বুঝতে দিও না যে, ভিতরে তুমি একা আছো। দেখি তোমার জন্য কিছু করতে পারি কিনা। ভালো থেকো, জলদি সুস্থ জীবন ফিরে পাবে।

পতিতা: দাড়াঁন, একটা কথা শুনেন।

ব্যক্তি: কি, কথা?

পতিতা: আমার আসল নাম, "মারিয়া"............................... আপনার নামটা কি?

ব্যক্তি: সেটা আগামীকাল খবরের কাগজ থেকেই জানতে পারবা, যদি খবরের কাগজ পড়ো...............!
[এরপর মারিয়ার হাতে একটি কাগজে পএিকার নামটি লিখে দিয়ে বের হয়ে গেল জনৈক ব্যক্তি]


[মারিয়া একা ঘরে বসে রইলো...............]

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×