জয়নুল আবেদীন পার্ক থেকে তোলা নদ এর অপর পাড়ের দৃশ্য
হ্যা, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতই সুন্দর। ময়মনসিংহ শহর লাগোয়া ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী জয়নুল আবেদীন পার্কের ছিমছাম পরিবেশে কাটিয়ে এলাম এক বিকেল। বিকেলের মৃদুমন্দ শীত শীত আমেজ আর কুয়াশাঘেরা নরম রোদের পরশে সে সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। ব্রহ্মপুত্রের কোলে ছুটে গেলাম নৌকা ভাড়া করে। ওপাড়ের দুর্বা ঘাসের ছোঁয়া পাওয়ার বাসনায় কখন যে পৌঁছে গেছি সবুজ স্নিগ্ধ মাঠের কাছে তাও খেয়াল ছিল না। সবুজ যেন আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আহ, সবুজ শ্যামলিমার পাশে কি যে অনাবিল এক প্রশান্তি! সময় পেলে ঘুরে আসুন না একবার। মন ভরে উঠবে স্নিগ্ধতায় আনন্দে প্রকৃতির অকৃত্রিম স্পর্শে।
আমার অনভ্যস্ত, কাঁচা হাতের তোলা আরও কিছু ছবি:
ছবি তুলতে ক্যামেরাটা কেবল তাক করেছি, ইতোমধ্যেই আমাদের সফরসঙ্গী এক পাপী(!) হাটতে হাটতে এসে দাঁড়িয়েছে ক্যামেরার ঠিক সামনে!
মন ভরে যায় নদীর ধারের দারুনসব দৃশ্যে। এমন মুক্ত বাতাস, মুক্ত নি:শ্বাস আর কোথায় পাওয়া যায়?
পার্কের ভেতরের সুদর্শন বিশালাকার বটবৃক্ষ।
নদ এবং তীরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
বটবৃক্ষটির আরেকটি ভিউ।
আমাদের ভ্রমন সাথী একমাত্র ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার রজত দা।
পার্কের ভেতরের বিশালাকার গাছ।
সুদর্শন মেহগিনি গাছ।
সুবিশাল একটি রেইন ট্রি।
কাঠ বাদামের পাকা পাতা যেন ফুলের মতই বিমুগ্ধ সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে।
নৌকা থেকে তোলা নদের ছবি।
নৌকা থেকে তোলা নদের ছবি এটিও।
নৌকা থেকে তোলা নদের আরেকটি ছবি।
শুকিয়ে যাওয়া এককালের প্রমত্তা নদ এখন হেটেই পাড় হওয়া যায়। কোথাও কোমর পানি তো কোথাও হাটু পানি। নদটি পাড় হওয়ার সময় প্রায় অনেক স্থানেই আমাদের বহনকারী নৌকার তলা মাটিতে ঠেকে যাওয়ার কারনে মাঝিকে বৈঠা ফেলে রেখে নদে নেমে অনেক কষ্টে নৌকা ঠেলে নিতে হয়েছে। সব নদ নদীই কি এভাবে হারিয়ে যেতে থাকবে?
নদের অপর পাড়ের সবুজের দৃশ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩