somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

ইসলামে সর্বোত্তম নফল আমল কোনটি?

১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইসলামে সর্বোত্তম নফল আমল কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বিভ্রান্ত হই। সামান্য কিছু হাদিস জেনে নিয়ে বিভ্রান্তিতে নিপতিত হই। অবস্থা এমন হয়েছে যে, আমি যে হাদিসটি জানি, সেটাকেই সঠিক বলে ধরে নিতে চেষ্টা করছি। আমার জানার বাইরেও যে এই বিষয়ক আরও হাদিস থাকতে পারে, অথবা এই বিষয়ের সকল হাদিস আমার যে এখনও পড়া হয়ে ওঠেনি, বেমালূম তা ভুলে যাই। যার ফলে নিজের মতামতকে চূড়ান্ত বলে ধরে নিয়ে তাতে বিশ্বাস পোষন করে চলি এবং বাদবাকি লোকদেরও আমার মতামতের প্রতি বিশ্বাসী হতে আহবান জানাতে থাকি। যদিও কাজটি ঠিক নয়। অন্তত: এই বিষয়ক সঠিক ধারণা অসংখ্য হাদিসের ভান্ডার থেকে পরিপূর্ণভাবে গ্রহন করার পূর্বে একপাক্ষিকভাবে এমন তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকা একজন মুমিন বান্দার নৈতিক এবং ঈমানী দায়িত্বও বটে। যেমন- সহিহ মুসলিম শরিফের এক হাদিসে 'কুরআনুল কারিমের তিলাওয়াত'কে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে।

কুরআন তিলাওয়াতকে সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে হুযুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “কুরআন তিলাওয়াত শ্রেষ্ঠ ইবাদত। তোমরা কোরআন তিলাওয়াত কর। কারণ, কিয়ামতের দিন কুরআন পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে।” (সহিহ মুসলিম)।

অপর এক হাদিসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ''ছিয়ামের সমতুল্য কোন ইবাদত নেই।'' (নাসায়ি শরিফ)

আরেক হাদিসে এসেছে, ''সর্বোত্তম নেকির কাজ হচ্ছে পিতার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখা।'' (মুসলিম ৬৬৭৭)

আবার ছালাতকেও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত বলা হয়েছে অন্য হাদিসে। এছাড়া হজ্জ পালন, জিহাদ করা, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করা, চেনা-অচেনা প্রত্যেককে একে অপরের সালাম প্রদানসহ বিভিন্ন কাজকেও সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে হাদিসে। এমতাবস্থায় ইসলামের কোন্ আমলটি আসলে সর্বোত্তম?

এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, প্রত্যেক আমল তার নিজ অবস্থানে উত্তম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সবচে' বিচক্ষন। সবচে' জ্ঞানী। সবচে' বেশি হিকমতপূর্ণ ছিল তাঁর প্রতিটি কথা। কোন ব্যক্তির ভেতরে কোন্ আমলটির ঘাটতি রয়েছে প্রথমেই তিনি তা অনুধাবন করতেন। এরপরে ব্যক্তি, সময় কিংবা কখনো অবস্থার প্রেক্ষিতে একেকটি আমলকে উত্তম আমল বলে উম্মাহকে নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই কারণে আমরা দেখতে পাই, কখনো ছালাত, কখনো হজ্জ, কখনো জিহাদ আবার কখনো ছিয়ামকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ আমল সাব্যস্ত করেছেন। তবে মুহাক্কিক আলেমগনের মতে, ইবাদতগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত ছালাত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ''আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নৈকট্য লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম ছালাত। সুতরাং, যার সাধ্য রয়েছে তা অধিকহারে আদায় করার সে যেন তাই করে।'’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৭০; ছহীহুত তারগীব হা/৩৯০)

আর নাসাঈ বর্ণিত উপরোক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম সিন্ধী বলেন, প্রবৃত্তি দমনে এবং শয়তানী প্ররোচনা প্রতিহতকরণের ক্ষেত্রে বা অধিক ছওয়াবের ক্ষেত্রে ছিয়ামের সমতুল্য কিছুই নেই। এর অর্থ এটাও হতে পারে যে, আত্মাকে মন্দকর্ম থেকে বিরত রাখা। আর এটাই হল তাক্বওয়া। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, '‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক সম্মানিত ঐ ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহভীরু।'’ (হুজুরাত ৪৯/১৩; ‘হাশিয়াতুস সিন্ধী ‘আলান নাসাঈ’ অত্র হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)

আল্লাহ পাক আমাদের প্রতিটি বিষয় কুরআন হাদিসে বর্ণিত জ্ঞানের আলোকে বুঝার তাওফিক দান করুন। সেই অনুযায়ী আমল করারও শক্তি দান করে আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাত উজ্জ্বল করার খোশনসিব দান করুন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×