ভিক্ষা চাইতে আসিনি- এসেছি স্বাধীন হতে অবারিত মুক্তাঙ্গণে
মুক্ত মনের জঞ্জাল, সরাতে থাকবো আমরা নিরন্তন
প্রেসক্লাব মুক্ত অঙ্গণে। নির্মোহ কথার বাণী ছড়াতে ছড়াতে
কিসের জন্য স্বাধীনতা? মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার।
সূর্য–চাঁদের গ্রহণ, যেভাবে গ্রাস করে অহরহ
ভূমি দস্যুতার বহর; তেমনি খেয়ে ফেলছে নদ-নদী-খাল
বিল-সমতট-পাহাড়। এমন স্বাধীনতা পরিহাস ফসল;
আশার বুকে নিরাশা, হারায় মাঝ দরিয়ায় লজ্জিত স্বাধীনতা।
সাপের মুখে ব্যাঙাচি অর্থনীতির রাঘব হাতি জঙ্গলে জঙ্গলে
ঢোক গিলছে অর্হনিশ; দারিদ্র পীড়িত মানুষ এখনো শুকায়
যত ময়লার বাগারে। সব শুষে নিতে চায় গ্রহণের স্তব্দতা
শুকিয়ে যায় বর্ষায়, নিদারুন ধরিত্রী সব। এঁকী স্বাধীনতা হরন?
প্রকৃতি বৈচিত্র্য এমন, যেথায় থাকে সু-মন মানবতা
পঁচে যাচ্ছে হাঙ্গর; সাগর পানে সূদুর বিষন্নতায় নিমগ্ন
প্রতি ক্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত, জনতার অনিশ্চয়তা খামছে ধরে নির্যাতিতা
যথাযথ হোক না সমাদর। ধরণীর আচঁল পাতে- উৎকর্ষতাই স্বাধীনতা।
স্বাধীন বাংলার তিতুমীর, ফকির ইলিয়াছ, সিপাহী বিদ্রোহ
বিনাস সাধন ক্ষুদিরাম-মাস্টার দা, প্রীতিলতার মহিমা ভুলুন্ঠিত।
আত্মত্যাগী মহাত্মা- ধর্ম-অধর্ম মহাভারত বিনাসী মন্ত্রণা
তৃপ্তির ঢেঁকুর সমেত বিকানো স্বাধীনতা দ্বিখন্ড কাঁটাতারে আবদ্ধ মৌণতা।
অথচ রফিক রক্তাক্ত, মুজিবুর ভাষার জন্য অধিকারের জেলে
মিছিল শ্লোগান রাজপথে। বৈষম্য রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত
দেশটা পায় সামাজিক, অর্থনৈতিক শোষণ মুক্তির আস্বাদন।
ত্রিশ লক্ষ রক্তগঙ্গা পেরিয়ে মা-বোন দুই লক্ষ লজ্জিত হয়ে পেলাম স্বাধীনতা।
আজও লুন্ঠিত মানবতা, শোষণ বৈষম্য নির্যাতিত লবঙ্গ লতার
প্রতিবাদী সমাগম। কখনো অবধারিত জনতা জোয়ারে
কৃষক, শ্রমিক মুজুরেরা; পতাকার লাল সূর্যে স্বাধীনতা উজ্জীবন সুধায় দাঁড়িয়ে
সব ক্ষয় হয়ে যাক, পৃথিবীর তবুও থাক উজ্জ্বল, সমুজ্জ্বল স্বাধীনতা।
পদ্য আকারে ভিন্ন মাত্রিকে উপস্থাপন-
স্বাধীনতার বসচা
রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু
ভিক্ষা চাইতে আসিনি- এসেছি
স্বাধীন হতে অবারিত মুক্তাঙ্গণে
মুক্ত মনের জঞ্জাল, সরাতে
থাকবো আমরা নিরন্তন
প্রেসক্লাব মুক্ত অঙ্গণে। নির্মোহ
কথার বাণী ছড়াতে ছড়াতে
কিসের জন্য স্বাধীনতা? মানুষের
মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার।
সূর্য–চাঁদের গ্রহণ,
যেভাবে গ্রাস করে অহরহ
ভূমি দস্যুতার বহর; তেমনি
খেয়ে ফেলছে নদ-নদী-খাল
বিল-সমতট-পাহাড়। এমন
স্বাধীনতা পরিহাস ফসল;
আশার বুকে নিরাশা, হারায়
মাঝ দরিয়ায় লজ্জিত স্বাধীনতা।
সাপের মুখে ব্যাঙাচি অর্থনীতির
রাঘব হাতি জঙ্গলে জঙ্গলে
ঢোক গিলছে অর্হনিশ; দারিদ্র
পীড়িত মানুষ এখনো শুকায়
যত ময়লার বাগারে। সব শুষে
নিতে চায় গ্রহণের স্তব্দতা
শুকিয়ে যায় বর্ষায়, নিদারুন ধরিত্রী
সব; এঁকী স্বাধীনতা হরন?
প্রকৃতি বৈচিত্র্য এমন, যেথায়
থাকে সু-মন মানবতা
পঁচে যাচ্ছে হাঙ্গর; সাগর
পানে সূদুর বিষন্নতায় নিমগ্ন
প্রতি ক্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত, জনতার
অনিশ্চয়তা খামছে ধরে নির্যাতিতা
যথাযথ হোক না সমাদর। ধরণীর
আচঁল পাতে- উৎকর্ষতাই স্বাধীনতা।
স্বাধীন বাংলার তিতুমীর, ফকির
ইলিয়াছ, সিপাহী বিদ্রোহ
বিনাস সাধন ক্ষুদিরাম-মাস্টার দা,
প্রীতিলতার মহিমা ভুলুন্ঠিত।
আত্মত্যাগী মহাত্মা- ধর্ম-অধর্ম
মহাভারত বিনাসী মন্ত্রণা
তৃপ্তির ঢেঁকুর সমেত বিকানো
স্বাধীনতা দ্বিখন্ড কাঁটাতারে আবদ্ধ মৌণতা।
অথচ রফিক রক্তাক্ত, মুজিবুর
ভাষার জন্য অধিকারের জেলে
মিছিল শ্লোগান রাজপথে। বৈষম্য
রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত
দেশটা পায় সামাজিক, অর্থনৈতিক
শোষণ মুক্তির আস্বাদন।
ত্রিশ লক্ষ রক্তগঙ্গা পেরিয়ে
মা-বোন দুই লক্ষ লজ্জিত হয়ে পেলাম স্বাধীনতা।
আজও লুন্ঠিত মানবতা, শোষণ
বৈষম্য নির্যাতিত লবঙ্গ লতার
প্রতিবাদী সমাগম। কখনো
অবধারিত জনতা জোয়ারে
কৃষক, শ্রমিক মুজুরেরা; পতাকার
লাল সূর্যে স্বাধীনতা উজ্জীবন সুধায় দাঁড়িয়ে
সব ক্ষয় হয়ে যাক, পৃথিবীর
তবুও থাক উজ্জ্বল, সমুজ্জ্বল স্বাধীনতা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩