একবিংশ শতাব্দীর জন্যে নতুন হুমকি হয়ে এসেছে ভয়াবহ একটি রোগ,যার নাম MAIDS.
AIDS এর মতই শোনায় নামটা,এবং নামকরণের স্বার্থকতা আছে বৈকি।এটা AIDS এর চেয়ে কোনো অংশে কম ভয়াবহ না।বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে MAIDS সম্বন্ধে।
MAIDS কি? :এর পুরো অর্থ হচ্ছে Mobile and Internet Dependency Syndrome.ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনে অতিশয় আসক্তি থেকে এই রোগের উদ্ভব হয়।তবে মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের ভাইরাসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
MAIDS কাদের হয় : মূলত টিন এজাররাই এর প্রধান শিকার।তবে কিছু বুড়া এজারদের মধ্যেও আশংকাজনক ভাবে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
MAIDSএর লক্ষণ এবং ফলাফল: ১।সারাক্ষণ কানে সেলফোন স্টিকি করে রাখা।
২।এস.এম.এস লিখতে লিখতে নামপ্যাডের অক্ষরগুলো হাপিশ করে ফেলা।
৩।সারারাত মোবাইল নিয়ে ফিশফাশ করার ফলে ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া,ফলশ্রুতিতে বাপ মার ঝাড়ির মুখে সকালে ঘুম থেকে ওঠার ফলে সারাদিন ঝিম মেরে থাকা।
৪।ঝিম মেরে থাকার কারণে পরিক্ষায় ডিম খাওয়া।
৫।ডিম খাওয়ার ফলে মোবাইলের সিম চেন্জ করা।
নেট ইউজারদের ক্ষেত্রে: ১।ভার্চুয়াল জগৎকে রিয়্যাল লাইফের সাথে হযবরল করে ফেলা।
২।কি বোর্ডিস্ট হিসেবে দক্ষতা অর্জন করা।(তবে এই কিবোর্ড সেই কিবোর্ড নয় বলাই বাহুল্য!)
৩।সারাদিন পিসির সামনে উবু হয়ে বসে থাকার ফলে পিঠে মিঠে টাইপ ব্যথা সৃষ্টি হওয়া,পরবর্তীতে যা বানিয়ে দেয় কুঁজো(ভাইজান, বুইঝো!)
৪।নেটের কানেকশন না থাকলে প্রেশার হাই,ডিপ্রেসন,এবং ক্ষুধামন্দ্যা দেখা দেওয়া।
৫।বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি জটিল আকার ধারণ করে।রাত জেগে সারা দুনিয়ার হুরপরীদের সাথে চ্যাটিং করার ফলে ব্যাপক দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।যার ফলস্রুতিতে ডিভোর্স এবং অক্ষম ফোঁসফোঁস।
পরিত্রানের উপায়:এই রোগ সহজে নিরাময়ের নয়।তবে পরিত্রাণের জন্যে কম বয়সী ছেলেদের ক্ষেত্রে কোন পরী(বাস্তব জগতের,ভার্চুয়াল নয়) ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে।বিয়ের বয়স হলে করিয়ে দেয়াই উচিৎ।
(আফসুস....যাউকগা!),নাহলে মাইর দিয়েও দেখা যেতে পারে।এতেও কাজ না হলে মনে করবেন যে আশা শ্যাষ!এ ক্ষেত্রে পুলা বড় হৈয়া বিখ্যাত হ্যাকার হয়া পরিবারের মান রাখবে এই নিয়তে কয়েকটা ছাগু কোরবানি দেয়া যাইতে পারে
কেস স্টাডি:সম্প্রতি MAIDS(আবার অন্য মানে কৈরেন্না ) বিশেষজ্ঞ ডক্টর হাসান মাহবুব এই বিষয়ে ব্যাপক জরিপ চালিয়েছেন।তার প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকা শহরের ৪৩% টিন এজার এই রোগে আক্রান্ত।বুড়া এজারদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১২%।তিনি আশংকা প্রকাশ করেন,এই ধারা চলতে থাকলে এটি মহামারির আকার ধারণ করতে পারে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেইডস আক্রান্ত তরুনীর সাথে তার কথোপকথন নিম্নে তুলে দেয়া হল,
হা.মা: তুমি কতদিন ধরে এ রোগে আক্রান্ত?
তরুনী:বাহ,আপনার সেলফোনটা তো খুব সুইট!কোন মডেল?দেখি দেখি দেখি?
হা.মা: এটা ভোডাফোনের নতুন মডেল,নতুন এসেছে বাজারে।
তরুনী:ওয়াও!আমিও একটা কিনব।আচ্ছা স্যরি আমার একটা কল এসেছে আপনি আমার ইয়াহু এ্যাডটা রাখেন আর আপনার নাম্বারে আমি মিসকল দিবো,রাতে কথা হবে,বাই।
সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্যে ডক্টর হাসান মাহবুবের কাছে ফোন করা হলে তার ফোন অনবরত বিজি পাওয়া গ্যাছে।তাই ঘটনা কি জানার জন্যে আমাদের অনুসন্ধানি দল তার হোটেলে(বাবা আবাসিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট) গ্যালে দেখা যায় যে তিনি উবু হয়ে কম্পিউটারের মনিটরের সামনে বসে আছেন,কানে মোবাইল ফোনটা স্টিকি।
শেষের কথা: আসুন আমরা এই ভয়াবহ রোগের আক্রমন থেকে নিজেদের রক্ষা করি।আর একটি জীবনও যেন MAIDS এর কারণে ধ্বংস না হয়।আমাদের মনে রাখতে হবে....সামুতে হিট বাড়াইতে হৈলে ফান পুস্টের বিকল্প নাই হেহেহে সো জয়তু মেইডস!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৩