somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুজাহিদ ভুলেছেন, জনগণ ভোলেননি

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

: ‘একাত্তরে কী করেছি ভুলে গেছি। আর তখন জামাতের ভূমিকা কী ছিল সেটা আপনারা খোঁজ করে দেখুন, মূল্যায়ন করুন।’ স্বাধীন বাংলাদেশে পরাজিত শক্তির অন্যতম নায়ক আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ক্ষমতার জোরে ভুলতে চেয়েছেন । ভুলতে চেয়েছেন সকল অন্যায়, অপকর্ম। তবে তিনি কী করেছেন সেটি ভুলে গেলেও জাতি আজো তার অপকর্ম ভুলেনি। তাই মুক্তিযুদ্ধের এতোগুলো বছর পরও জাতি কুখ্যাত মুজাহিদদের অপরাধের বিচারের দাবি তুলেছে।

একাত্তরকে শুধু ভুলে যাওয়াই নয়, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ। তিনি আরো বলেছিলেন, জামাত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নয়। একাত্তরে দেশে স্বাধীনতাবিরোধী কেউ ছিল না। মুজাহিদ যতোই নিজের পক্ষে সাফাই গান না কেন, জনগণ ভুলতে পারেননি তাদেরকে নির্যাতনের কথা। স্বজন হারানোদের অশ্রু বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় কুখ্যাত আল-বদর বাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের অন্ধকার দিনগুলো।

মুজাহিদের একাত্তরনামা : আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে বাঙালি হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা, রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্ব দান এবং ধর্ষণ-নির্যাতনসহ নানা অপকর্ম চালানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ফকিরাপুল, নয়াপল্টন এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে থাকতেন। তার মধ্যে একটি হলো শেখ ভিলা, ৩/৫ নয়াপল্টন। তবে তার প্রধান আড্ডা ছিল ফকিরাপুল গরম পানির গলিতে

ফিরোজ মিয়ার ১৮১ নং (এখন ২৫৮ নং) বাড়িটিতে। ফিরোজ মিয়া ছিলেন এলাকার রাজাকার কমান্ডার। তার বাড়ি ছিল ঢাকায় রাজাকারদের অন্যতম ঘাঁটি। রাজাকারদের বিভিন্ন সভা, সশস্ত্র ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি এই বাড়ি থেকে পরিচালিত হতো তাদের বিভিন্ন অপারেশন, রাজাকার রিক্রুটমেন্ট। এখানে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির লোকদের ধরে এনে নির্যাতন চালানো হতো। যুদ্ধের সময় তারা ফকিরাপুল ও আরামবাগ এলাকার শত শত বাঙালিকে হত্যা করেছে। নির্যাতন চালিয়েছে এলাকার মেয়েদের ওপর। ফিরোজ মিয়া গংয়ের নীতিনির্ধারক ছিলেন আলী আহসান মুজাহিদ। তার নেতৃত্বেই পরিচালিত হতো যাবতীয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতা। অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে শুধু ফকিরাপুল নয়, মুজাহিদের অপতৎপরতা ছিল গোটা ঢাকায়। বিজয়ের পর ফিরোজ মিয়ার বাড়ি থেকে প্রচুর মূল্যবান দলিল ও ছবি উদ্ধার করা হয়। কাগজপত্রগুলোতে ঢাকা শহরের রাজাকারদের তালিকা, বায়োডাটা, ছবি ও তাদের বিভিন্ন কর্মকা-ের দলিল ছিল যা ছাপা হয়েছে একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় নামক বইটিতে।

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে মুজাহিদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ফকিরাপুলে আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়। তার নেতৃত্বাধীন আল-বদর বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ ধরে এনে অত্যাচার-নির্যাতন ও হত্যা করার পাশাপাশি বিজয়ের আগ মুহূর্তে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের। জামাতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদের স্বাধীনতাবিরোধী এসব কর্মকা-ের জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন দলিলে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিভাগ ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি নিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া সরকারকে মাসে দুবার পাঠানো গোপন ওই প্রতিবেদনের অফিসিয়াল শিরোনাম ছিল ‘ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান’। জামাত নেতারা একাত্তরে হত্যা, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত নন বলে যতোই বলুন না কেন, এই গোপন প্রতিবেদনে এবং বিভিন্ন সময় এদেশের নানা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের ন্যক্কারজনক ভূমিকা বারবার উঠে এসেছে।

ওই গোপন প্রতিবেদনে মুজাহিদ তখন কিভাবে পাকিস্তানকে রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করতে তৎপর ছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর ইসলামী ছাত্রসংঘ ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় ‘পাকিস্তান প্িরতরক্ষা দিবস’ পালন করে। সভায় পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষায় সর্বাত্মক কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ স্বরাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ বিষয়টির উল্লেখ আছে। অক্টোবরের দ্বিতীয় ভাগের সরকারি এক গোপন প্রতিবেদনে (১৩ নভেম্বর, ১৯৭১, স্বরাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত) বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবর রংপুরে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সভায় আলী আহসান মুজাহিদ আল-বদর বাহিনী গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেছিলেন, ইসলামবিরোধী শক্তি প্রতিহত করতে হবে। এ জন্য যুবকদের সংগঠিত করে আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেয়ার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম, যিনি বর্তমানে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

গোপন রিপোর্টে আরো বলা হয়, ৭ নভেম্বর জামাতে ইসলামী ‘আল-বদর দিবস’ পালন করে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলের নেতারা এবং আল-বদর বাহিনীতে জনগণকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মুজাহিদ বলেন, যারা পাকিস্তান চায় না তারা আমাদের শত্রু। পাকিস্তানের অখ-তা রুখতে হবে ও শত্রুদের প্রতিহত করতে হবে।

একাত্তরে মুজাহিদের অপতৎপরতার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। ১১ ডিসেম্বর দৈনিক আজাদে প্রকাশিত একটি ছবির ক্যাপশন ছিল : গতকাল গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি প্রদান করিয়া আল-বদর আয়োজিত পথসভায় বক্তৃতা করিতেছেন আল-বদর প্রধান জনাব মুজাহিদ। ওই সময় আলী আহসান মুজাহিদ নিয়মিত রাজাকার এবং ইসলামী ছাত্রসংঘের সভা-সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতেন। একাত্তরের ১৫ অক্টোবর ধর্মব্যবসায়ী জামাতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামে পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদের এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়। ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পূর্ব-পাকিস্তানে দেশপ্রেমিক যুবকরা বিদেশী চরদের হাত থেকে দেশরক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছে এবং রাজাকার আল-বদর ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্য হিসেবে জাতির সেবা করছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ছাত্রসংঘ নেতাকর্মীদের ক্লাসে যোগদান করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আল-বদর ও দেশহিতৈষী (ছাত্রসংঘ কর্মীদের) ছাত্রদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে হবে। ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের ইসলামী একাডেমি হলে প্রাদেশিক সদস্যদের এক সম্মেলনে মুজাহিদ তার বক্তব্যে পাকিস্তানের ছাত্র-জনতাকে দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) চিহ্নিত করে তাদের খতম করার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান (দৈনিক সংগ্রাম, ২৬ অক্টোবর, ৭১)।

একই মাসের ২৭ তারিখে রংপুর জেলা ছাত্রসংঘের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুজাহিদ সবাইকে জিহাদি মনোভাব নিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান (দৈনিক সংগ্রাম, ২৮ অক্টোবর, ৭১)।

জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট : একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দলীয় আদর্শ অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনে সহযোগিতা করেছেন। তার নেতৃত্বাধীন আল-বদর বাহিনী বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতার বিবরণ পাওয়া গেছে সে সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তার বক্তৃতা-বিবৃতিতে।’ ১৯৭১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে ছাত্রসংঘের এক জমায়েতে ‘বিপুল করতালির মধ্যে’ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ঘোষণা করেন, ‘ঘৃণ্য শত্রু ভারত দখল করার প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদেরকে আসাম দখল করতে হবে। এজন্য আপনারা সশস্ত্র প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।’ রিপোর্টে নয়াপল্টনের শেখ ভিলা, ফকিরাপুলের গরম পানির গলিতে ফিরোজ মিয়ার বাড়ির নির্যাতন সেলের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।

ইতিহাস কথা কয় : স্বাধীনতার পর কয়েকবছর এই নরঘাতক তার অন্য সহযোগীদের সঙ্গে পালিয়ে বেড়ালেও ১৯৭৭ সাল থেকে আবার স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হন। আবির্ভূত হয়েই পুরোনো অভ্যাস ও আদর্শ অনুযায়ী হত্যার রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেই থেকে অপ্রতিরোধ্য এই নরঘাতক ক্ষমতার দাপটে প“লিত করেছেন মানবতা। যাদের রক্তদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের বাংলাদেশ সেই রক্ত ও আত্মত্যাগের সঙ্গে আজন্ম বিশ্বাসঘাতক এই মুজাহিদ চারদলীয় সরকারের ৫ বছর সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন সারা দেশে।

তবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সাবেক মন্ত্রী মুজাহিদের একাত্তরনামা তদন্তাধীন রয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মুজাহিদসহ জামাতের চার শীর্ষ নেতার তদন্ত শেষ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শীর্ষ এই চার নেতার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত ও দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

Click This Link
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×