স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত, গত ৪০ বছর ধরে যে হাতে গোন লোকগুলি ঘুরে ফিরে দেশ পরিচালনা করছে, মন্ত্রী হচ্ছে, উপদেষ্টা হচ্ছে, এমপি হচ্ছে, প্রেসিডিয়াম হচ্ছে তারা ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকেই এই দেশটাকে গনিমতের মাল হিসাবে ভেবে শুধু ভাগাভাগি করছে। কখনও ব্যক্তি আবার কখনও এসোসিয়েশন এর নামে দখল করেছে। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ দেশের সাধারন মানুষের রক্ত চুষে খেয়ে খেয়ে আজ এরা দেশ সমাজ এমন কি প্রায় প্রতিটি মানুষের চরিত্র ব্যক্তিগত পর্যায় নষ্ট করে দিয়েছে।
চলুন দেখা যাক এরা কারা ? এদের সংখ্যা আনুমানিক কত ? এদের বতর্মানে এদের বয়স কত ? এদের থেকে পরিত্রানের উপায় কি ?
১. তিন বছরে অর্থাৎ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ এ মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়ে যাওয়া কিছু সামরিক আমলা সহ দুইশ জন। যুদ্ধ শেষেই এরা ব্যাস্ত হয়ে পরে নিজের ভাগা টুকু ছিনিয়ে নিতে। এদের মধ্যে শুরুতেই একটা বিভাজন শরু হয়। যারা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল তাদের প্রথমেই দুই ব
২. তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৮৩ জন বাঙালী সিএসপি আমলা।
৩. তিন চারশ রাজনৈতিক নেতা।
৪. কয়েকশ স্মাগলার ও ব্যাবসায়ী।
৫. সেই সাথে পর্বরতীতে এদের সাথে যোগদেয়া এদের সুযোগ্য উত্তসূরী কয়েকশ আমলা, সেনা অফিসার, ও ব্যবসায়ী।
চাকরির অবসর বা অন্য যে ভাবেই হউক, খেয়াল করে দেখুন এরাই বিভিন্ন দলে ও মতে ভাগ হয়ে দেশ চালাচ্ছে আর দেশটাকে ধ্বংসের চুড়ান্ত করছে।
সব মিলিয়ে ২০০০ এরও কম হবে। অথচ এই কয়জনই ঘুনের মত কুড়েকুড়ে খাচ্ছে দেশ সমাজ আর মানুষ।
এদের কিছু মারা গেছে বাকি অধিকাংশই আজও বেঁচে আছে এবং যাদের অধিকংশের বয়স ৫৫ এর বেশী।
এদের মুখগুলি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এরা এখনও আরও তিনটা বাংলাদেশ ধ্বংস করার স্পিরিট ও লোভ রাখে। যেহেতু এরা মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দেশের ঘারে বসে খাওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে জন্মেছে তাই আমরা কেবল এদের মৃত্যু কামনা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না যেমন পারিনা মানুষ দিয়ে ঠেলে পাহাড় সরাতে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৯