আকাশ জুড়িয়া ভীষণ মেঘ করিয়াছে।অচিরেই চতুর্দিক অন্ধকার করিয়া প্রবল বেগে বায়ু বহিতে লাগিল কিম্ভুত আওয়াজে ।সাথে বাজের কড়কড় ধ্বনি।
নভোনীলে মেঘ দেখিলে আমার চিত্ত বরাববরই আকুল হইয়া ওঠে, মনের অলিন্দ জুড়িয়া অপার্থিব খুশির বন্যা বহিয়া যায়। কেন যায় তাহা অন্য প্রসঙ্গ।
আজ প্রকৃতির এই তান্ডব নৃত্য প্রদর্শনকালে চতুর্দশী এক কন্যা সচকিত নয়নে দিকভ্রান্ত হরিণীসম হঠাৎ ছুটিয়া একেবারে আমার সম্মুখভাগে আসিয়া উপস্থিত হইলো । মনে হইলো সে প্রচন্ড ভয় পাইয়াছে। ভয়ে তাহার বুক কামার পাড়ার হাপরের মতো ওঠানামা করিতেছে।
আমি অবাক বিস্ময়ে চঞ্চলা হরিণীটির পানে চাহিয়া রহিলাম অপলক, নির্বাক।
আহা কে এই রুপবতী কন্যা ? কে এই চঞ্চলা? কোথা হইতে আসিলো সে?হৃদয়বীণা হঠাৎ বাজিয়া উঠিল সপ্ত সুরে,
আহা কি রূপ সৃজিল বিধাতা,
চঞ্চলা হরিণী সম নাচিছে চক্ষুপাতা।
পড়ে না পলক মোর আঁখি স্থির,
রুপতো নয় যেন শিকারী তীর।
বুক ভেদ করিয়া প্রিয়া মর্মে দিলো হানা,
পলকে হেরিলাম স্বয়ং আপন ঠিকানা।
কি নাম কওগো কন্যা কিবা পরিচয়,
জানাশোনায় সম্পর্ক গভীরতম হয়।
ছবিঃ গুগল থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৩