এতো গাঢ় করে কাজল পরেছো কেন সখী?
কেমন যেন অবিন্যস্ত!
কেন আলুথালু কেশ?
কেন পরোনি আলতা পায়ে,
কিসের দুঃখ অনিঃশেষ?
হাতের কাঁকন, পায়ের নুপূর,
কেন ফেলেছো খুলে?
এইতো এসেছি আমি,
এই যে, চাও ফিরে প্রিয়তমা সম্মুখ পানে।
এধারে।
কি হলো, উদাস হলে যে বড্ড,
মান হয়েছে?
আমার সাথে কথা বলবে না?
আমার দিকে তাকাবে না?
এতো রাগ করে নাকি কেউ?
ওই দ্যাখো সন্ধ্যা তারা উঠেছে আকাশে ,
মাধবীলতা হাসনাহেনা ফুটেছে,
তার সুরভীও ছুটেছে।
স্নিগ্ধ বায়ু বইছে শনশন।
আহ! এমন মধুর লগন............
তাও কথা কইবে না? দেখবে না আমায় ফিরে?
অকস্মাৎ চোখ তুলে দেখলে আমায়,
এমন মায়াবী দৃষ্টি আমি দেখিনি আগে কখনো।
বললে,
এতোদিনে তোমার আসবার সময় হলো?
একবারও আমার কথা পড়েনি বুঝি মনে?
আমি সত্যি আপ্লুত হলাম।
আহারে! কতই না কষ্ট পেয়েছে মেয়েটি।
আমি ইরাবতীর হাত ধরলাম,
তারপর চুপচাপ বসে রইলাম দুজন মানবমানবী।
নিস্তব্দতার মাঝে।
যা কিছু মান অভিমান জমানো ছিলো,
ছিলো যত কথা।
বলে চললাম নিরবে নিরবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৫