somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর এমিরিটাস ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্বরণে

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর এমিরিটাস ড. জামাল নজরুল ইসলাম । তিনি ছিলেন একাধারে একজন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত্ববিদ ও অর্থনীতিবিদ। আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, কসমোলজি ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি তত্ত্বের মতো জটিল বিষয় নিয়ে করেছেন মৌলিক গবেষণা । অসম্ভব সদালাপী ও সজ্জন এ বিজ্ঞানগুরু সাহিত্য-সংগীতসহ বিশুদ্ধ ও মানবপ্রেম মুখি বিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় বেশ পারদর্শী ছিলেন। বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি চারুকলা চর্চা , সেতার ও পিয়ানো বাদনে আর প্রবল আগ্রহ ছিল । ড. জামাল নজরুল ইসলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল এন্ড ফিজিকাল সায়েন্সের এর গবেষক এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রেখেছেন অসামান্য অবদান । একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ ঠেকাতে বৃটেন ও চীনের প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেককে চিঠি লিখেছিলেন । এই মহান বিজ্ঞানী ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়স্থ মেট্টোপলিটান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন । আজ ছিল উনার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ।

প্রফেসর জামাল নজরুলের বাবা খান বাহাদুর মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম খান ছিলেন তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমার মন্সেফ । সে সুবাদে তার জন্ম হয় বাবার কর্মস্থল ঝিনাইদহে ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি । তার পৈতৃক জন্মস্থান ও পূর্ব পুরুষের আবাসস্থল চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন এর মহানগর গ্রামে ।

জামাল নজরুল ইসলামের ডিগ্রি আর সহকর্মী-বন্ধুজনের মতোই বংশপরিচয়েও ছিল বনেদিয়ানার ছাপ । তাঁর মাতামহ শামসুল ওলামা কামালউদ্দিন ছিলেন গত শতাব্দীর প্রথম ভাগে সরকারি কলেজের প্রথম মুসলমান অধ্যক্ষ। মনীষী আবু সয়ীদ আইয়ুব তাঁর মামা। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাঁর ফুফাতো ভাই। বাবা খান বাহাদুর সিরাজুল ইসলাম ব্রিটিশ আমলের প্রাদেশিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রাহাত আরা ছিলেন উর্দু ভাষার কবি, যিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর নাটিকাটি সফলভাবে উর্দুতে অনুবাদ করেছিলেন। ডাকঘর-এর উর্দু অনুবাদ ও রাহাত আরার অন্যান্য লেখা সাম্প্রতিক কালেও দিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে প্রফেসর জামাল নজরুলের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে উনার নাম রাখা হয় কবি নজরুলের সাথে মিল রেখে।

প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের বয়স যখন মাত্র এক বছর তখনই তার বাবা ঝিনাইদহ থেকে কলকাতায় বদলি হন। লেখপড়ার শুরুতে জামাল নজরুল প্রথমে ভর্তি হন কলকাতার মডেল স্কুলে। এই স্কুল থেকে পরবর্তীতে শিশু বিদ্যাপীঠে। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত এই বিদ্যাপীঠেই পড়েন।। পরবর্তীতে আবার মডেল স্কুলে ফিরে যান। কলকাতায় মডেল স্কুলের পর চট্টগ্রামে চলে আসেন। এখানে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেন। এই ভর্তি পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তাকে "ডাবল প্রমোশন" দিয়ে সরাসরি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করে নেয়া হয়। নবম শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়াশোনা করেন। নবম শ্রেণীতে উঠার পর পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। পাকিস্তানের ব্রিটিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লরেন্স কলেজ থেকে ও-লেভেল ও এ-লেভেল করে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি নিয়েছেন। এরপর যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কেমব্রিজ থেকেই খুব অল্প বয়সে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন। আর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর রয়েছে অত্যন্ত বিরল ডিএসসি বা ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি । গবেষণা আর শিক্ষকতার সূত্রে তিনি যুক্ত ছিলেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন, ওয়াশিংটন ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ।

ছাত্রজীবন থেকেই প্রফেসর ইসলামের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ঘটেছে বিজ্ঞানজগতের বিখ্যাত মনীষীদের সঙ্গে। বিস্ময়কর প্রতিভা স্টিফেন হকিং ছিলেন কেমব্রিজে তাঁর সমসাময়িক। একালের শ্রেষ্ঠ দুই পদার্থবিজ্ঞানী ডাইসন ও ফাইনম্যান তাঁর সম্পর্কে অত্যন্ত উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন । একই রকম স্নেহপূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নোবেলজয়ী জ্যোতিঃপদার্থবিদ চন্দ্রশেখর । নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও জিম মার্লিস ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু ।

কর্মজীবনে জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ডে ডক্টরাল-উত্তর ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইসলাম কেমব্রিজের ইনস্টিটিউট অফ থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমি-তে (বর্তমানে ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি)কাজ করেন ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভিজিটিং সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি কলেজ, কার্ডিফ (বর্তমানে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়) এর সায়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলে ফেলো ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং পরে রিডার পদে উন্নেএত হন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনে অবস্থিত ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিতে ১৯৬৮, ১৯৭৩ ও ১৯৮৪ সালে ভিজিটিং সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

বিদেশের লাখ টাকার মর্যাদাপূর্ণ চাকরি এবং গবেষণার অফুরন্ত সুযোগ তাকে ধরে রাখতে পারেনি বেশিদিন। দেশ মাতৃকার টানে সবকিছু ছেড়ে ১৯৮৪ সালে স্ত্রী সুরাইয়া ইসলাম ও দুই মেয়ে সাদাফ-নার্গিসকে নিয়ে তিনি স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন পৈতৃক ভূমি চট্টগ্রামে। যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতনের অধ্যাপক পদে। তারপর দ্রুত গড়ে তুলেছেন গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। এখানে তিনি নিয়মিত যেসব আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করেছেন, তাতে প্রফেসর সালাম, অমর্ত্য সেন, জিম মার্লিস, জাপানের আরাকিসহ অনেক নোবেলজয়ী পণ্ডিতের সমাগম ঘটেছে চট্টগ্রামে।

জামাল নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স (১৯৮৩)কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পর বিজ্ঞানী মহলে বিশেষ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। জাপানি, ফরাসি, পর্তুগিজ ও যুগোশ্লাভ ভাষায় অনুদিত হয় । ক্লাসিক্যাল জেনারেল রিলেটিভিটি (১৯৮৪)ডব্লিউ বি বনোর এর সাথে যৌথভাবে সম্পাদনা করেন । রোটেটিং ফিল্ড্‌স ইন জেনারেল রিলেটিভিটি (১৯৮৫) কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত । অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল কসমোলজি (১৯৯২) স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস । স্প্যানিশ ভাষায় অনুদিতদ্য ফার ফিউচার অফ দি ইউনিভার্স এনডেভারে প্রকাশিত হয় । তার লেখা বইগুলো কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড, প্রিন্সটন, হার্ভার্ডের মতো বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য ।

জামাল নজরুল ইসলাম যে সকল পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন সেগুলো হল- বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী ১৯৮৫ সালে তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে । ১৯৯৪ সালে তিনি ন্যাশনাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মেডেল পান । ১৯৯৮ সালে ইতালির আবদুস সালাম সেন্টার ফর থিওরিটিকাল ফিজিক্সে থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমী অফ সায়েন্স অনুষ্ঠানে তাঁকে মেডাল লেকচার পদক দেয়া হয় । তিনি ২০০০ সালে কাজী মাহবুবুল্লাহ এন্ড জেবুন্নেছা পদক পান। ২০০১ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন । পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০১১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজ্জাক-শামসুন আজীবন সম্মাননা পদক লাভ করেন।

দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে উনার প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা । মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন । আমিন ।

কৃতজ্ঞতাঃ
জামাল নজরুল ইসলাম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলা উকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্র পত্রিকা থেকে ।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×