somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হয়েছিল ২০১৪ সালেই!

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আলজারিরার একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত সেই ২০১৪ সালে। সেই তথ্য নিশ্চিত করেছিল তৎকালীন আইইডিসিইআরের প্রধান মাহমুদুর রহমান। রিপোর্টটি প্রকাশও হয়েছে ২০১৪ এর জুন মাসে।


আসলে এই করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ তেমন অচেনা ভাইরাস নয়; এটা একটা বড় ভাইরাস দলের সদস্য, যার নাম করোনা। এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।

এই ভাইরাস যে হুট করেই জন্মেছে, এমনটাও নয়। এর আগেও এই ভাইরাস ছিল। এক দশক আগে ২০০৩ সালে যে ‘সার্স ভাইরাস’ (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) এর সংক্রমণে পৃথিবীতে ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেটিও ছিল এক ধরনের করোনা ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারের বেশি লোক। এটির উৎপত্তিস্থলও চীনের দক্ষিণাঞ্চল গুয়াংডং-এ। এ কারণে চীন যখন প্রথম এই ভাইরাসের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়, তখন এর নাম রাখে, SARS-CoV-2।

গবেষণা দেখা গেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বিগত ৪ মাসে প্রায় ৮ বার নিজেকে পাল্টেছে। এখন বুদ্ধি দিয়ে ভাবলে বুঝা যাবে, এই ভাইরাসটি দিন দিন খারাপ না হয়ে উল্টো ভালোও হয়ে উঠতে পারে এবং সেই সম্ভাবনার হারও বলা যেতে পারে ৫০ শতাংশ। কাজেই আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই। এটি হঠাৎ করেই নির্মূল হবে না, এই ভাইরাস থাকবেই, আমাদের ভেতরেই থাকবে, হয়ত ভাইরাস তার রূপ এবং গতিপ্রকৃতি পাল্টাতে পারে। যার ফলে সেটি আর মরণঘাতি থাকবে না। একটি সহিষ্ণু ফ্লুর মতো বেঁচে থাকবে আমাদের শরীরে।

এই কথা যদি সত্য হয়, তাহলে এটিও সত্য হতে পারে যে, আমাদের শরীরে বহমান সহিষ্ণু ভাইরাস কখনো কখনো তার রূপ এবং গতিপ্রকৃতি পাল্টে ফেলতে পারে। এবং সেটা মারণ ভাইরাসে রূপ নিতে পারে। ঠিক যেমন আগেকার পুরোনো করোনা রূপ পাল্টিয়ে এখন মরণঘাতি ভাইরাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

ভেবে দেখুন, এর আগেও যত ভাইরাসের সাথে মানবশরীরের সাক্ষাত হয়েছে, সবগুলো কিন্তু একেবারেই নির্মূল হয়ে যায়নি। যদিও ভ্যাকসিনের কাজটি হলো, সাময়িক মৃত্যুকে রোধ করা। যাতে মহামারীতে তরতর করে মানুষের মৃত্যু না ঘটে। এই ধরনের মৃত্যু আসলেই দুঃখজনক। এটি কখনো কাম্য নয়।

নিচে আলজাজিরার রিপোর্টির লিংক দেখুন। (পাঠকের বুঝার জন্য অনুবাদ করে দিলাম।)

আল জাজিরার রিপোর্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত!

আজ রবিবার বাংলাদেশে প্রথম মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ধরা পড়েছে। আবু ধাবী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এক ব্যক্তিকে এ রোগে আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, ৫৩ বছর বয়সী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি এখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসার পথে আবু ধাবিতে তিনঘণ্টা অবস্থানকালে সম্ভবত তিনি এ ভাইরাসের শিকার হয়েছে।

মাহমুদুর রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, ৫৩ বছর বয়সী ব্যক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। তিনি চলতি মাসের ৪ তারিখে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার দুই দিন পর তার ভেতর ভাইরাসের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। আর এর দ্বারা বাংলাদেশে পৃথিবীর ২২তম করোনা আক্রান্ত দেশ হিসেবে নাম লেখালো।

এ রোগটি ইতিমধ্যে সৌদি আবর, জর্ডান, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে।

উল্লেখ্য যে, মানুষের ভেতর সর্বপ্রথম করোনা সনাক্ত হয় ২০১২ সালে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভোগেন। রোগটির অন্যান্য উপসর্গগুলো ২০০৩ সালে ছড়ানো ‘সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) -এর উপসর্গের মতো।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ৪০% পর্যন্ত পৌঁছেছে। গোটা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ৮০০ জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩১০ জন। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রচণ্ড কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর হয়। আবার কখনো কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, এতদিন বাংলাদেশে করোনা আসা ছিল একটি সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশী কাজ করেন, যাদের দুই তৃতীয়াংশ তথা ২০ লাখ রয়েছেন সৌদি আরবে।

প্রকাশকাল : ৫ ই জুন, ২০১৪ ইংরেজি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫১
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×