পাথর যদি সত্যি গলতে পারত, তবে এত বছরে নিশ্চয় তা গলে মিশে যেত। সময় তো কম নয়। কমপক্ষে দু’হাজার বছর। হ্যাঁ দুই হাজার বছর ধরে মানুষ এই দেয়াল ধরে শুধু কাঁদতেই এখানে আসে।
ইংরেজিতে বলে ওয়েলিং ওয়াল, হিব্রুতে স্রেফ কোটেল বা দেওয়াল, তা ছোঁয়ার জন্য লম্বা লাইনে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন রোজ কয়েক'শ মানুষ
প্রায় চার হাজার ফুট দেয়ালের মাত্র ১৬০০ ফুট দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাকিটা এখন আর নেই। ওই দেওয়ালটুকু ইহুদিরা ছুঁয়ে ভাবেন, একদিন এ দেয়াল ঘিরে রেখেছিল তাঁদের ধর্মের প্রাণকেন্দ্র, হেরোডের তৈরি মন্দির। যেখানে বছরে একদিন ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হত প্রধান পুরোহিতের।
মুসলিমদের বিশ্বাস, যে জায়গাটায় ছিল ইহুদিদের মন্দির, সেখান থেকেই ‘বুরক’ নামের এক ডানাওয়ালা অতিজাগতিক জীবের পিঠে চেপে স্বর্গে গিয়েছিলেন পয়গম্বর মহম্মদ (সাঃ)। জেরুজালেমের বিলাপ দেওয়ালকে তাঁরা বলেন ‘বুরক’ দেওয়াল। তাঁদের কাছে মক্কা আর মদিনার পরেই তৃতীয় পবিত্রতম তীর্থ এই আকসা মসজিদ।
সত্যি ওইখানেই যিশুর ক্রুশ ছিল কিনা, ওটাই তাঁর সমাধি ছিল কিনা, তা নিয়ে তর্ক আছে। কিন্তু দেওয়ালের ওই টুকরোটা তখনও ওই ভাবেই ছিল, তাতে সন্দেহ নেই।
কান্নার ঐ দেয়ালে এসব ধর্মের মানুষ জামার ভাঁজ, কী ব্যাগের পকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বার করে গুঁজে দেয় পাথরের খাঁজে। কী অসম্ভব অ্যাঙ্গেলে, কত যে উচ্চতায় দেখা যায় ইচ্ছে-লেখা কাগজ! ‘‘দেওয়ালেরও কান আছে,’’ কথাটা নাকি জেরুজালেমের এই দেওয়াল থেকেই এসেছে।
আমাদের প্রায় সকলের মাঝে কতই না কান্না লুকিয়ে আছে। আমরা নিরবে নিভৃতে কাঁদি। আমাদেরও ওমন একটা কান্নার দেয়াল দরকার বৈকি।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ লেখাটি মূলত কপি-পেস্ট। লিঙ্ক নিচে দেয়া হলো।
মূল লেখার লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯