ভালোবাসার আরেক রূপ বিরহ। আর বিরহের কথা বললে চলে আসে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের অমর সৃষ্টি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটের কথা। রোমিও আর জুলিয়েট ছিল কাল্পনিক চরিত্র, কিন্তু স্লোভাকিয়ার কবি আন্দ্রেজ স্লাদকোভিচ আর তার প্রেমিকা মারিনা পিসচলোভা ছিলেন বাস্তবের চরিত্র। আর সেই দুজনের অমর প্রেমকে স্মরণ করতে এক স্লোভাক শহরে ভ্যালেন্টাইন ডেতে প্রেমিক-প্রেমিকারা ভিড় করছেন ‘লাভ ব্যাংক’-এ নিজেদের ভালোবাসা জমা রাখতে। খবর এএফপি।
মারিনার ধনী বাবা-মা হতদরিদ্র স্লাদকোভিচের বদলে তাকে এক ধনী জিঞ্জারব্রেড নির্মাতার সঙ্গে বিয়ে দেন। সেই বিরহে ১৮৪৪ সালে স্লাদকোভিচ ‘মারিনা’ নামে যে ২ হাজার ৯০০ ছত্রের কবিতা লিখেছিলেন সেটি আজো বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ প্রেমের কবিতা।
বানসাকা স্টিয়াভনিকা শহরের যে বাড়িতে মারিনা থাকতেন, সেটিকে এখন ডাকা হয় ‘ভালোবাসার কেন্দ্র’ বলে। এখানে নানা প্রদর্শনীর মধ্যে আছে ‘লাভ-ও-মিটার’ যা দিয়ে যুগলদের ভালোবাসা পরিমাপ করা হয়।
তবে বেশিরভাগ যুগলের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে ‘লাভ ব্যাংক’। বাড়িটির বেসমেন্টের লম্বা টানেলটিকে একটি ভল্টে পরিণত করা হয়েছে। সেই ভল্টে ১৭৪ বছরের পুরনো ‘মারিনা’-এর পাণ্ডুলিপিটির প্রতিটি বর্ণ, শূন্যস্থান এবং বিরামচিহ্নের জন্য ঠিক ১ লাখ ছোট ড্রয়ার রাখা আছে।
বছরে বিশেষ কয়েক দিন, যেমন ভ্যালেন্টাইন ডের, দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা এখানে তাদের ভালোবাসা ‘জমা’ রাখতে পারেন। যেমন ২৪ বছর বয়স্ক ডোমিনিকা হ্রাবুসোভা বলেন, আমি ও আমার বাগদত্তা দুয়েকদিনের মাঝে এখানে আসব এবং আমাদের প্রথম ডেটের দিন দেখা সিনেমার টিকেট এখানে লুকিয়ে রাখব।
৩৮ বছরের ইয়ান মনে করেন শহরটি একটি রত্নবাক্স আর প্রদর্শনীটি অন্য। সম্ভবত ইয়ানের মতোই মুগ্ধতা থেকেই ১৯৯৩ সালে শহরটিকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দেখুন ভিডিওতে:
view this link
বোনাস হিসেবে থাকল একটা ভালবাসার কবিতাঃ
ধূসর মরুর ঊষর বুকে
বিশাল যদি শহর গড়,
একটি জীবন সফল করা
তার চাইতে কঠিন বড়-
একটি উদাস হৃদয় যদি
বাঁধতে পারো প্রেমের ডোরে
বন্দি শতেক মুক্তি দানের
চাইতে জেনো শ্রেষ্ঠ!
Happy Valentine’s Day!
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ 'বণিক বার্তা'য় প্রকাশিত এক নিবন্ধের আলোকে।
লেখার লিঙ্কঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫