কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উনার সাধারণ চলাফেরা,স্পষ্টবাদীতা, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব সহ নানান পজিটিভ কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশীদের কাছে অনেক জনপ্রিয়৷ অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও উনার রসায়ন খুব ভালো৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে দুজনের দেখা হলে উভয়ের কুশল বিনিময়ের আন্তরিকতা শুধুমাত্র ফরমালিটির চাইতেও যে বেশী কিছু তা উনাদের রসায়ন দেখলে বুঝা যায়। উভয়ের এই রসায়নের কারণ কিন্তু অনেক পুরনো।
জাস্টিন ট্রুডো'র বাবা পিয়েরে ট্রুডো যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন,তখন আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে খুব অল্প যে কয়েকজন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছিলেন তাদের মধ্যে তিনি একজন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে প্রথমদিকে স্বীকৃতি দানকারী দেশের মধ্যে কানাডা হচ্ছে অন্যতম।
আমেরিকার সেসময়কার প্রেসিডেন্ট নিক্সন পাকিস্তানকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার লক্ষে পদ্মা নামক একটি জাহাজ পাকিস্তানে পাঠাতে গেলে বাল্টিমোরের শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ করলে পিয়েরে ট্রুডোও তাদের সমর্থন দেন এবং জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে কানাডার সংসদে কথা বলেন৷ এছাড়া তিনি ভারতের শরনার্থী শিবিরে থাকা বাংলাদেশীদের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর ফান্ডে অর্থ সাহায্য পাঠান।
১৯৭১ সালে উনার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার পিয়েরে ট্রুডোকে ২০১৬ সালে বিশেষ সম্মাননা দেয়, যা উনার পক্ষে উনার ছেলে জাস্টিন ট্রুডো গ্রহণ করেন।পিয়েরে ট্রুডো ছিলেন বাংলাদেশের বন্ধু, বাংলাদেশও তার বন্ধুত্বের প্রতিদান স্বরূপ সম্মাননা দিয়েছে।একাত্তরের সেই ধারা থেকেই শেখ হাসিনা আর জাস্টিন ট্রুডো'র বন্ধুত্বের সুত্রপাত।
বাবার মতোই মুক্তচিন্তার মুক্তমনা মানুষ জাস্টিন যা তাকে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে প্রিয়পাত্র করে তুলেছে, এভাবেই তিনি সবার প্রিয় হয়ে থাকুন,বাংলাদেশ কানাডার সম্পর্ক সবসময়ই মধুর থাকুক এই প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭