তোকেই দিব আমার বন্ধুত্বের সবুজ মাঠটা। তোকেই দিব আমার হাসি কান্নার সকল গল্প। তোকেই দিব আমার নির্ঘুম নীরব রাত্রি, আমার অনন্ত বন্ধুত্বের দাগ...
ফয়স, কেমন আছিস তুই? জানিস- তুই যখন সেদিন রাতে আমাকে একা রেখে চলে গেলি, তখন কান্না এসেছিলো... খুব কান্না এসেছিলো।
তোকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আমি সুপার বাসে চড়ে বাসায় ফিরছিলাম। ভাবনাতে তখন খুব তোলপাড় করছিলি তুই- ও কেন চলে গেল? সকালে গেলে কী হতো? আমাদের বাসায় কি থাকার জায়গা নেই...? ইত্যাদি, ইত্যাদি ভাবনারা আমাকে খুব জ্বালাচ্ছিলো তখন। এই ভাবনাতে ডুবে গিয়ে আমি খেয়াল করলাম আমার নামার স্টেশন পেছনে ফেলে আমি চলে এসেছি প্রায় এক কি.মি. দূরে!
কী আর করা! বাস থেকে নেমে আবার বাসের জন্য অপেক্ষা! রাত তখন পৌনে এগার। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরেও বাস না পেয়ে বাসায় ফিরলাম হেঁটে। বাসায় এসেই প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় কাতর।
দোস্ত, তোকে তো বলা হয়নি- সে দিন রাতে মাথা ব্যাথার জন্যই তোর চ্যাটিং এ আমার লেখা লাইনগুলো অত ছোট ছিল। এবার কি তোর রাগ একটু কমলো?? আচ্ছা, তুই কি জানিস- তোকে কেন অপূর্ব বলে ডাকি? জানিস না, তাই না? ঠিক আছে, একদিন তোকে বলবো...
আমি যখন এই লেখাটা লেখছি, বাইরে তখন বৃষ্টি হচ্ছে। তোর কি মনে আছে, একবার সন্ধ্যার পরে বাজার রোডে- ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিলো। তুই আর আমি এক চশমার দোকানের বারান্দায় বসে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম। নিজেদের ভিতরটাও দেখে নিয়েছিলাম একটু একটু করে। এখন বৃষ্টি দেখলেই মনে সেদিনটার কথা মনে পড়ে। আরেকটা দিনের কথা মনে পড়ে, তবে সেদিন তুই ছিলিনা আমার সাথে। ছিলো... না থাক, বলবো না!
কী যে লেখতে চাচ্ছি, আর কী যে হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছিনা। থাক, বুঝার কী দরকার! তুই তো আর এমন কেউ না যে, আমার কথা তোকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে বলতে হবে! তুই তো আমার দোস্ত ফয়স। না, অপূর্ব। দোস্ত, ভাবনারা হঠাৎ করেই কেমন যেন হয়ে গেলোরে! লেখা বেরুচ্ছে না! .... না, হচ্ছেইনা!
থাক, এখন আর কিছু লেখছিনা... সুন্দরভাবে ভালো থাক। আজ বিকেলেই তোর সাথে দেখা হবে। তখন আরো যা বলার সামনাসামনি বলবো...