somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দৃষ্টি আকর্ষণ - বেগম খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



[১]
প্রথম আলোর ১৫ ই মার্চের রিপোর্ট গুলো এড়িয়ে চলুন।
শুধু ১৫ ই মার্চ ই নয় , ওদের যেকোন রিপোর্টই এড়িয়ে চলুন।
ওরা সূক্ষ্মভাবে পলিটিক্স ম্যানুইভার করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড - সবক্ষেত্রেই এই পত্রিকার ঠাণ্ডা সুরের ধানাই পানাই কানে না তুলতে বলুন।

জনমত বোঝার দরকার হলে অফিসের জানালাটা খুলে বাইরে তাকান , মানুষের মুখের দিকে তাকান।
ওদের রিপোর্ট পড়ার প্রয়োজন নাই।
এর আগেও ওরা "নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা"র ভুয়া বরাত দিয়ে রিপোর্ট করতো।
উদ্দেশ্য - কনফিউশন তৈরি করা।

ওরা যে জরিপ চালিয়েছিলো ২০১৩ এর জানুয়ারিতে - সেটাও ভুয়া।
আওয়ামী লীগকে দেখানো হয়েছিলো ৩৫ + % সমর্থনধারী । আর বিএনপিকে সম্ভবত ৪০ % দেখানো হয়েছিলো।

ব্যাপারটা হোলো - বিএনপি যে এখন বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে সেটা আওয়ামী লীগাররাও জানে।
সেটা ওদের জরিপ থেকে জানতে হবে না।

জনসমর্থনের ব্যবধান আরও অনেক বড়।
কমপক্ষে ২০ % পার্থক্য হবেই।
কিন্তু ওরা দেখাচ্ছে মাত্র ৫ % - যেটা আর কিছুই না, স্রেফ আওয়ামী লীগকে মন্দের ভালো পুশ আপ করা।

এগুলো সবই ওদের লীগের পক্ষে পলিটিক্স ম্যানুইভারিং এর চেষ্টা।
জনমত কিংবা পরিস্থিতি বোঝার জন্য - অফিসের জানালা খুলে বাইরে তাকান।
মানুষের মুখের দিকে তাকান।

[২]
সরকার এখন মুলত ঢাকায়।
ঢাকা পতন-ই সরকার পতন।

ঢাকায় মহাসমাবেশ কিংবা ঢাকায় বাকি সব করার চিন্তাটা পুরোপুরি ঠিক না।
ঢাকাকে কর্ডন করতে হবে।
ঢাকার সাথে কানেক্টিং জেলাগুলোতে অবরোধ শক্তিশালি করার চেষ্টা করুন।

ওদের রেডিয়াস অফ অর্ডার ছোট হয়ে আসছে।
দেশের অনেক জায়গাতেই এরা এখন "নাই" হয়ে আসছে।
সেটা কেবল জামাত শিবিরের শক্তি প্রদর্শনের কারনে নয়।
পাবলিক পালস।
মানুষের জমে থাকা রাগ ক্ষোভ এদের তৃণমুলের নেতা কর্মীরাও টের পাচ্ছে।
ঢাকায় যত হম্বিতম্বিই করুকনা কেন।

জেলা পর্যায়ে আন্দোলনটাকে জোর দিয়ে করলে জামাতও মাঠে থাকবে এদেরকে পেটানোর জন্য।
বিভিন্ন জেলায় ওদের "জিরো ইফেক্ট" যতই প্রকট হয়ে উঠবে ।
" সরকার এখন ঢাকায় " বিষয়টাও প্রকট হয়ে উঠবে।

[৩]
মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি -

৭১ টিভি , এটিএন - এদের মত দালালদের কে মুখ খুলে দালাল বলুন।
ভদ্রতা দেখানো ভুল হচ্ছে।
সুস্পষ্টভাবে বলুন সারাদেশের মানুষকে যে - এরা আওয়ামী মিডিয়া , এদেরকে বিশ্বাস করবেন না।
সেদিন জয়েন্ট সেক্রেটারি সালাউদ্দিন সাহেব চ্যানেল ৭১কে সরাসরি "না" বলে দিয়েছেন মুখের ওপর।
একই ভাবে অন্য চ্যানেল গুলোকেও "না" বলতে শুরু করুন।

এর আগে চ্যানেল ৭১'এ নবনিতা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিএনপিকে মিথ্যা দোষারোপ করে কথা শুরু করেছিলো যেটা ইনাম আহমেদ সাহেব বোল্ড আঊট করেছেন ঠাণ্ডা মাথায়।

এটিএনে মুন্নি সাহা সাদেক হোসেন খোকা কে জিজ্ঞেস করেছিলো- "বিএনপি নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করবে" ।
সাদেক হোসেন খোকার পাল্টা প্রশ্নের জবাবে সে বলতে পারেনি কোথায় শুনেছে এটা।

মানুষ এদের কাছে বিএনপির খবর না পেলে , এবং এদের ব্যাপারে বিএনপির সুস্পষ্ট অবস্থান জানলে এই মিডিয়া গুলো ধাক্কা খাবে।
বিএনপি এদেরকে বয়কট করলে মানুষও চোখ ফিরিয়ে নেবে।
রাজনৈতিক ইস্যুতে এসব চ্যানেলকে বিশ্বাস করা বাদ দেবে।

যারা মোটামুটি একটা "স্পেস" রাখছে তাদের সাথেই কথা বলুন।
এসব দালাল চ্যানেলগুলোর সাথে বিএনপি হার্ড লাইনে না গেলে এদের গ্রহণযোগ্যতা বিএনপিই বাড়িয়ে দেবে।

এক তরফা ইলেকশন যেমন মানুষ মানেনা , তেমনি এক তরফা চ্যানেলও মানুষ দেখেনা , এক তরফা পত্রিকাও মানুষ পড়েনা।
এসব চ্যানেলে বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ যাবেন না।
মানুষের কাছে এরা সুস্পষ্টভাবে "আওয়ামী চ্যানেল" হিসাবে ব্র্যান্ডিং হোক।
এদেরকে "এক তরফা চ্যানেলে" পরিনত করুন।

[৪]
প্রতিটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এই সরকারের জন্য তাওয়া গরম করে দিচ্ছে।
নিজস্ব ক্যামেরাম্যান রাখুন।
এগুলো দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
এরিমধ্যে অনেক ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় এই সরকরের ভিলেন ইমেজটা পরিস্কার হচ্ছে নানা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আর স্টিল ইমেজের কারনে।

এবং এই প্রত্যেকটা ভিডিও ফুটেজ কারো না কারো মোবাইলের ক্যামেরায় গোপনে ধারনকৃত।
এইসব অপকর্মের জ্বলজ্যান্ত প্রমান ওদের দালাল মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া যাবেনা যদিও ওদের ক্যামেরায়ও রেকর্ড করা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
৯০টি মন্তব্য ৭০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×