[১]
প্রথম আলোর ১৫ ই মার্চের রিপোর্ট গুলো এড়িয়ে চলুন।
শুধু ১৫ ই মার্চ ই নয় , ওদের যেকোন রিপোর্টই এড়িয়ে চলুন।
ওরা সূক্ষ্মভাবে পলিটিক্স ম্যানুইভার করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড - সবক্ষেত্রেই এই পত্রিকার ঠাণ্ডা সুরের ধানাই পানাই কানে না তুলতে বলুন।
জনমত বোঝার দরকার হলে অফিসের জানালাটা খুলে বাইরে তাকান , মানুষের মুখের দিকে তাকান।
ওদের রিপোর্ট পড়ার প্রয়োজন নাই।
এর আগেও ওরা "নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা"র ভুয়া বরাত দিয়ে রিপোর্ট করতো।
উদ্দেশ্য - কনফিউশন তৈরি করা।
ওরা যে জরিপ চালিয়েছিলো ২০১৩ এর জানুয়ারিতে - সেটাও ভুয়া।
আওয়ামী লীগকে দেখানো হয়েছিলো ৩৫ + % সমর্থনধারী । আর বিএনপিকে সম্ভবত ৪০ % দেখানো হয়েছিলো।
ব্যাপারটা হোলো - বিএনপি যে এখন বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে সেটা আওয়ামী লীগাররাও জানে।
সেটা ওদের জরিপ থেকে জানতে হবে না।
জনসমর্থনের ব্যবধান আরও অনেক বড়।
কমপক্ষে ২০ % পার্থক্য হবেই।
কিন্তু ওরা দেখাচ্ছে মাত্র ৫ % - যেটা আর কিছুই না, স্রেফ আওয়ামী লীগকে মন্দের ভালো পুশ আপ করা।
এগুলো সবই ওদের লীগের পক্ষে পলিটিক্স ম্যানুইভারিং এর চেষ্টা।
জনমত কিংবা পরিস্থিতি বোঝার জন্য - অফিসের জানালা খুলে বাইরে তাকান।
মানুষের মুখের দিকে তাকান।
[২]
সরকার এখন মুলত ঢাকায়।
ঢাকা পতন-ই সরকার পতন।
ঢাকায় মহাসমাবেশ কিংবা ঢাকায় বাকি সব করার চিন্তাটা পুরোপুরি ঠিক না।
ঢাকাকে কর্ডন করতে হবে।
ঢাকার সাথে কানেক্টিং জেলাগুলোতে অবরোধ শক্তিশালি করার চেষ্টা করুন।
ওদের রেডিয়াস অফ অর্ডার ছোট হয়ে আসছে।
দেশের অনেক জায়গাতেই এরা এখন "নাই" হয়ে আসছে।
সেটা কেবল জামাত শিবিরের শক্তি প্রদর্শনের কারনে নয়।
পাবলিক পালস।
মানুষের জমে থাকা রাগ ক্ষোভ এদের তৃণমুলের নেতা কর্মীরাও টের পাচ্ছে।
ঢাকায় যত হম্বিতম্বিই করুকনা কেন।
জেলা পর্যায়ে আন্দোলনটাকে জোর দিয়ে করলে জামাতও মাঠে থাকবে এদেরকে পেটানোর জন্য।
বিভিন্ন জেলায় ওদের "জিরো ইফেক্ট" যতই প্রকট হয়ে উঠবে ।
" সরকার এখন ঢাকায় " বিষয়টাও প্রকট হয়ে উঠবে।
[৩]
মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি -
৭১ টিভি , এটিএন - এদের মত দালালদের কে মুখ খুলে দালাল বলুন।
ভদ্রতা দেখানো ভুল হচ্ছে।
সুস্পষ্টভাবে বলুন সারাদেশের মানুষকে যে - এরা আওয়ামী মিডিয়া , এদেরকে বিশ্বাস করবেন না।
সেদিন জয়েন্ট সেক্রেটারি সালাউদ্দিন সাহেব চ্যানেল ৭১কে সরাসরি "না" বলে দিয়েছেন মুখের ওপর।
একই ভাবে অন্য চ্যানেল গুলোকেও "না" বলতে শুরু করুন।
এর আগে চ্যানেল ৭১'এ নবনিতা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিএনপিকে মিথ্যা দোষারোপ করে কথা শুরু করেছিলো যেটা ইনাম আহমেদ সাহেব বোল্ড আঊট করেছেন ঠাণ্ডা মাথায়।
এটিএনে মুন্নি সাহা সাদেক হোসেন খোকা কে জিজ্ঞেস করেছিলো- "বিএনপি নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করবে" ।
সাদেক হোসেন খোকার পাল্টা প্রশ্নের জবাবে সে বলতে পারেনি কোথায় শুনেছে এটা।
মানুষ এদের কাছে বিএনপির খবর না পেলে , এবং এদের ব্যাপারে বিএনপির সুস্পষ্ট অবস্থান জানলে এই মিডিয়া গুলো ধাক্কা খাবে।
বিএনপি এদেরকে বয়কট করলে মানুষও চোখ ফিরিয়ে নেবে।
রাজনৈতিক ইস্যুতে এসব চ্যানেলকে বিশ্বাস করা বাদ দেবে।
যারা মোটামুটি একটা "স্পেস" রাখছে তাদের সাথেই কথা বলুন।
এসব দালাল চ্যানেলগুলোর সাথে বিএনপি হার্ড লাইনে না গেলে এদের গ্রহণযোগ্যতা বিএনপিই বাড়িয়ে দেবে।
এক তরফা ইলেকশন যেমন মানুষ মানেনা , তেমনি এক তরফা চ্যানেলও মানুষ দেখেনা , এক তরফা পত্রিকাও মানুষ পড়েনা।
এসব চ্যানেলে বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ যাবেন না।
মানুষের কাছে এরা সুস্পষ্টভাবে "আওয়ামী চ্যানেল" হিসাবে ব্র্যান্ডিং হোক।
এদেরকে "এক তরফা চ্যানেলে" পরিনত করুন।
[৪]
প্রতিটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এই সরকারের জন্য তাওয়া গরম করে দিচ্ছে।
নিজস্ব ক্যামেরাম্যান রাখুন।
এগুলো দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
এরিমধ্যে অনেক ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় এই সরকরের ভিলেন ইমেজটা পরিস্কার হচ্ছে নানা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আর স্টিল ইমেজের কারনে।
এবং এই প্রত্যেকটা ভিডিও ফুটেজ কারো না কারো মোবাইলের ক্যামেরায় গোপনে ধারনকৃত।
এইসব অপকর্মের জ্বলজ্যান্ত প্রমান ওদের দালাল মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া যাবেনা যদিও ওদের ক্যামেরায়ও রেকর্ড করা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫