অনুমান করে বোঝা যায় কেউ শিশুটির মা, খালা, বোন, ভাই বাবা, নানা নানী, দাদা দাদী, তারা প্রত্যেকে মুখে মাস্ক পড়ে হাতে গ্লাফস লাগিয়ে মার্কেটে রাস্তায় হেঁটে চলে বেড়ালেও সাথের শিশুটির কোন প্রোটেকশন না থাকলেও সাথে থাকা মা বাপ ভাই বোন নিশ্চিন্ত, যেন তাদের প্রোটেকশই বাচ্চার প্রোটেকশন, হ্যান্ড গ্লাফস মাস্ক তারা পড়েছেন কাজেই বাচ্চার পড়া হয়ে গেছে।
এই অসতর্ক চলাফেরার কারন হতে পারে শিশুটি মাস্ক পড়তে চায় না, কিংবা উনার পড়ার মতন কিড মাস্ক বাসায় নাই। উনি বাবা মায়ের আত্মীয় পরিজনের সাথে বাইরে বের হবার জন্য অতিরিক্ত লাফালাফি করেছেন, যে কারনে তার পরিবারের লোকজন তার প্রোটেকশন ছাড়াই বাইরে বের করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার এইটাও একটা সম্ভাবনা যে বাসায় কার কাছে রেখে আসবেন বাচ্চাকে ওইদিকে আবার ঈদের জামা কিনে দিতেই হবে এইরকম বায়না ধরে বসে আছেন বলেই এইভাবে বের করতে বাধ্য হয়েছেন। অবুঝ অভিভাবক।
আমরা এমনিতেই অবুঝ! বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটি আমার দর্শনে বিশ্বাসী, আমরা করোনা ভাইরাসের এতসব হুমকি ধামকি, রোজ ৩ হাজার প্লাস আক্রান্ত, তিরিশ/চল্লিশ জনের মৃত্যুর খবরও এখন আর আমাদের মনে ভয়ের উদ্রেক করেনা।
এখন তো গরুর হাটে অথবা শপিং মলে কিংবা রাস্তায় ফুচকা চটপটির দোকানে মুখের মাস্ক থুঁতনিতে নামিয়ে গল্প গুজব করতে করতে; খাওয়া দাওয়া করতে করতে; বেখেয়ালে করোনা ভাইরাস বলে পৃথিবীতে আসলে কিছু আছে এই কথা আর খেয়ালে রাখতে মন চায় না।
চলার পথে, ফুটপাতে,শপিং মলে, বিশ্বাসে বাবা মা এর হাত ধরে ঈদের জামা কিনতে যাওয়া বাচ্চাগুলাকে আল্লাহ্ অলৌকিক ভাবে করোনা মুক্ত রাখুক। অথবা অভিভাবকদের শুভ বুদ্ধি হোক বাচ্চাগুলাকে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের না করুক। বাইরে বের করেই বা কোন সাহসে আশ্চর্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩