somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিঃ মোদি হাসিনা থেকে যা শিখতে পারতেন

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাশ্মীরে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থার সম্মুখীন বাংলাদেশকেও হতে হয়েছিলো কয়েক দশক পূর্বে। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি সই করার পর শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পুরো বিশ্বের জন্যে এক অসাধারণ উপমার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের জুম্ম জাতি অস্ত্র সমর্পন করে আজ অন্যান্য জেলাগুলোর নাগরিকদের মতোই জীবন অতিবাহিত করছেন। এটা ছিলো শেখ হাসিনার জন্যে একটি বিজয়। তিনি শান্তি স্থাপন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই পথে গেলেন না। তিনি সংঘাতকেই বেছে নিলেন নিজের পথ হিসেবে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাঙালী ও উপজাতি, এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের রক্তের হোলিখেলায় মত্ত ছিলো কয়েক দশক। অনেক মানুষের জীবন ঝড়েছে সেই সময়। আজ যেমন পাকিস্তান কাশ্মীরের যোদ্ধাদের সমর্থনদাতা, তেমনি ভারত ছিলো শান্তি বাহিনী'র মদদদাতা। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শান্তিবাহিনী'র সদস্যের বক্তব্য এমনই ছিলো।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি করলেন? তিনি প্রথমে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শান্তিবাহিনী'র সদস্যদের সাধারণ জীবনের স্বাদ কি রকম তা বুঝালেন। আর, তাদের মদদদাতা ভারতের সাথে গড়ে তুললেন কৌশলগত সম্পর্ক।

মোদি কি তা করতে পারতেন না? কাশ্মীরী মোজাহিদদের সাথে একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তি করে তাদের অস্ত্রদাতা পাকিস্তান কিংবা পাকিস্তানের মদদদাতা আমেরিকার সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে কাশ্মীরের সাধারণ জনগণকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ দিতে পারতেন কি? অবশ্যই পারতেন।

অথচ মোদি কি করলেন? তিনি আমেরিকা'র সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে পাকিস্তানকে পঙ্গু করে দিলেন ঠিকই, কিন্তু, নিজের দেশের একটি অংশ কাশ্মীরের জনগণের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তোলার পাকা বন্দোবস্ত করলেন।

এখানেই, একজন 'নারী' শেখ হাসিনা'র কাছে 'পুরুষ' নরেন্দ্র মোদি হেরে গেলেন। মা জাতি'র স্নেহের কাছে বাবা জাতি'র রাগের এ এক চরম পরাজয়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
১৫টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×