somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখা-অদেখা ছবি (পর্ব - ৭)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইউরোপের অনেক দেশেই সীমানারেখা বাড়িঘরের ভিতর দিয়ে চলে গেছে। যেমন নিচের ছবিতে যেই বিল্ডিংটি দেখছেন সেটির নাম হচ্ছে Eurode Business Centre. জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডের সীমানা রেখা এই বিল্ডিঙয়ের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করেছে। বিল্ডিঙটি তাই jointly operated Dutch-German police station হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।


এটি পৃথিবীর সব থেকে ছোট আন্তঃসীমান্ত ব্রীজ। কাঠের ব্রীজের একপাশে স্পেন, আরেকপাশে পর্তুগাল।


গুহারটির নাম ‘বাঁশির গুহা’। প্রায় ১,২০০ বছর আগে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় চীনের এই গুহাটি। এটি সব সময়ই ভরে থাকে নানা রকম আলোয়। এ এক অদ্ভুত ঘটনা বৈকি! এ আলোর উৎস আসলে ভেতরে জমে থাকা চুনাপাথরের স্তর। এই বিচিত্র আলোর গুহার রূপে মানুষের মুগ্ধ হওয়ার শুরু সেই ৭৯২ সালে। তখন চীনে চলছে থাং রাজত্ব। এখনও কেবল চীনবাসীই নয়, এর রূপে মুগ্ধ হয়ে আছে সমগ্র বিশ্ববাসী। কিন্তু প্রশ্ন হল, এর নাম আলোর গুহা না হয়ে কেন বাঁশির গুহা হল? খুব সোজা, কেবল আলোই না, এই গুহাটির আছে আরও একটা বিশেষ গুণ। এর ভেতরে জন্মে এক ধরনের নলখাগড়া। সেই নলখাগড়া দিয়ে ভীষণ সুন্দর আর মিষ্টি সুরের বাঁশি বানানো যায়। আর সে জন্যই এই ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে গুহাটির নাম হয়ে গেছে বাঁশির গুহা।


এটি চীনের একটি মুরগির প্রজাতি। মুরগিটি দেখতে সাদা হলেও এর মাংস কালো রঙের। চীনে এই মুরগিগুলো ব্যবহার করা হয় মুখরোচক খাবার হিসেবে। এছাড়া এই মুরগিগুলো ডিমও দেয় প্রচুর। চীনে এই মুরগি ‘wu gu ji’ নামেও পরিচিত। এর অর্থ হচ্ছে মুরগির হাড় কালো।


বিশ্বের ভয়ংকর রোডগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দ্যা সাইবেরিয়ান রোড। স্থানীয় পর্যায়ে এই রোডটিকে , 'হাইওয়ে ফ্রম হেল' বলা হয়ে থাকে। এই রোডটি মূলত সাইবেরিয়ান একটি শহর Yakutsk এর সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের একটি মাত্র রাস্তা। এই প্রসংগে বলা যেতে পারে, Yakutsk পৃথিবীর অন্যতম ঠান্ডা শহর। শীতকালে এখানের গড় তাপমাত্রা -৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এই রাস্তাটির পাশেই আছে, লেনা নদী। এই লেনা নদীর নাম অনুসারে এই হাইওয়ের অফিসিয়াল নাম হচ্ছে লেনা হাইওয়ে। বছরের বেশিরভাগ সময় নদীর উপর বরফের কঠিন আস্তরন থাকে। অনেক গাড়ী তখন ঝুঁকি নিয়ে নদীর উপর দিয়েই যাতায়াত করে। কিন্তু যখন গরমের সময় আসতে থাকে তখন শুরু হয় বিপদ। তখন পুরো পথটি ২/৩ ফুট গভীর কাদার নিচে চলে যায়। হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। অনেক সময় গাড়ি আটকা পড়ে গেলে, খাবার, পানি এবং তেল ইত্যাদি শেষ হয়ে যায়। অনেক মানুষ মারা যায়। এইখানে উদ্ধার কার্য অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। অনেক সময় ৫ দিন /৭ দিন লেগে যায় এই পথটি পার হতে।

** এ ধরনের আরও হাজার হাজার ছবির সংগ্রহ রয়েছে এই লিংকে


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×